বুলবুল আহমেদ, নবীগঞ্জ(হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি::হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় ৬ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক মুদি ব্যবসায়ী চাচার বিরুদ্ধে। গত বুধবার সন্ধ্যায় এ ঘটনার পর বৃহস্পতিবার রাতে শিশুটির চাচাকে এলাকাবাসী আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। এ ঘটনায় মামলার পর শুক্রবার তাকে হবিগঞ্জ জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। পরে প্রথম শ্রেনীর ম্যাজিষ্ট্রেটের কাছে শিশুর জবান বন্ধী প্রদান করা হয়। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী শিশুর বাবা ফোরকান আলী একজন কৃষক। এ জন্য তার মেয়ে স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় নার্সারী ওয়ানে পড়ালেখা করে। গত বুধবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে সে একই ক্লাসের বান্ধবীর বাড়িতে পড়া শুনার বিষয়ে আলোচনা করতে যায়। পথিমধ্যে একটি মুদি দোকান তার বাড়ির বাসিন্ধা সম্পর্কে চাচা হয়। সে নবীগঞ্জ উপজেলার দেবপাড়া ইউপির ফুটারচর গ্রামের ইউনুছ আলীর পুত্র আনহার মিয়া (৩৫)। সে চকলেটের প্রলোভন দিয়ে তার দোকানে নিয়ে যায়। আমার শিশুটিকে নিয়ে ফাঁকা দোকান ঘরে মুখে চেপে ধরে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে দোকান ঘর বন্ধ করে পালিয়ে যায়।
ঘটনাটি জানতে পেরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এলাকাবাসীর সহায়তায় লম্পট আনহার মিয়াকে আটক করে থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় শিশুটির বাবা ফোরকান আলী হোসেন বাদী হয়ে নবীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ওই মামলায় আনহার মিয়াকে গ্রেফতার দেখিয়ে হবিগঞ্জ জেল হাজতে প্রেরন করেন।
এ ব্যাপারে ঐ গ্রামের বিভিন্ন নারী পুরুষের সাথে আলাপ কালে তারা জানান, আমাদের শিশু বাচ্চাদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে আমরা দীর্ঘদিন ধর্য্য সহকারে শুনে আসছিলাম তার কু-কর্ম কথা। কিন্তু কোন প্রমান না থাকায় আমরা কোন ব্যবস্থা নিতে পারছিলাম না তার বিরুদ্ধে। কথায় আছে না- চোরের দশদিন গিরস্তের একদিন। এই লম্পটের বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। সে আরো অনেক শিশুদের চকলেটের লোভ দেখিয়ে তার দোকান ঘরে নিয়ে অর্থ লগ্ন করে মোবাইল ফোনে বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গির ছবি ও ভিডিও ধারন করে রাখে। ঐ সব শিশুরা তাদের ঘরে এসে মা- বাবাকে জানালে তারা প্রতিবাদ করতে চাইলেও করতে পারেন না, কারণ ঔ লম্পটের মোবাইল ফোনে তাদের মেয়েদের অর্থ লঙ্গ ছবি থাকার কারণে কেউ কোন প্রতিবাদ করতে পারেন নি। তারা ঐ লম্পটের ফাঁসির দাবী জানান।
ঐ লন্পট আটকের ঘটনার খবরে বিভিন্ন এলাকার লোকজন তাকে এক নজর দেখার জন্য আটককৃত বাড়িতে সন্ধা থেকে মধ্য রাত পর্যন্ত ভিড় জমান। পরে প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক সহ নবীগঞ্জ থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘটনার সত্যতা পাওয়া পেয়ে তাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো: মাসুক আলী জানান, এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ওই মামলায় আনহার মিয়াকে গ্রেফতার করে শুক্রবর দুপুরে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। শিশুটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং একজন ম্যাজিস্ট্রেট শিশুর জবান বন্ধী গ্রহন করেছেন।