সিলেটপোস্ট ডেস্ক ::ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আত্মগোপনে চলে যান সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী একইভাবে বিশেষ করে আওয়ামী লীগ পন্থি সকল ওয়ার্ড কাউন্সিলর গ্রেপ্তার আতঙ্কে আত্মগোপনে রয়েছেন।তবে ৫ আগষ্টের অনেক আগ থেকেই সিলেট নগরীর নবগঠিত ৩৬নং ওয়ার্ড এর কাউন্সিলর হিরন মাহমুদ নিপু একটি হত্যা মামলায় জেল হাজতে রয়েছেন।
এমন পরিস্থিতিতে জন্ম নিবন্ধন, টিকাদান কর্মসূচির পাশাপাশি মশক নিধন এবং পরিচ্ছন্নতাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে ৩৬নং ওয়ার্ডবাসী।
জানাগেছে,ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পরে ভাঙচুর করা হয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের বেশির ভাগ অফিস। এমন পরিস্থিতিতে বেশির ভাগ কাউন্সিলর অফিস করতে সাহস না পাওয়ায় নাগরিক সেবা কার্যক্রম প্রায় বন্ধ হয়ে পড়েছে। সীমিত পরিসরে পরিচ্ছন্নতা ও সড়ক সংস্কারের কাজ চললেও ৩৬ নং ওয়ার্ডবাসী এসব কাজ থেকে বঞ্চিত রয়েছেন।সরেজমিনে গিয়ে জানাযায়,নগরের নবগঠিত ৩৬নং ওয়ার্ড এর একটি ডেইনের কাজ শুরু করেন সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। এখনও সেই কাজ ধীর গতিতে চলছে।স্থানীয়রা জানান,এই ডেইন এর কাজ আরিফুল হক চৌধুরী ও ৩৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর উদ্ভোদন করে শুরু করেন। এরপর কাউন্সিলর হিরন মাহমুদ নিপু একটি হত্যা মামলায় জেল হাজতে চলে যান।আর এই কাজ ইন্জিনিয়াার তার মন ইচ্ছে মত করছেন,এখানে দেখারমত কেউ নেই। তাছাড়া এই কাজ ছাড়া আর কোন কাজের বরাদ্দ এই ওয়ার্ডে আসেনি বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।স্থানীয় লোকজনজান আরো বলেন,কাউন্সিলর জেল হাজতে যাওয়ার আগেই এই হত্যা মামলায় তিনি পলাতক ছিলেন নতুন অফিস করে কাউন্সিলর একদিনও বসার সুযোগ পাননি। এর পর থেকেই কার্যালয়টি বন্ধ। ওয়ার্ড কাউন্সিলর কিংবা সচিব, কেউইকার্যালয়ে আসছেন না। কিন্তু বিভিন্ন সেবা নিতে প্রতিদিন অনেকেই কার্যালয়ে গিয়ে ফিরেযাচ্ছেন।
এদিকে ওয়ার্ড কাউন্সিলররা কার্যালয়ে অনুপস্থিত থাকলেও প্রশাসকের নির্দেশে অফিস করছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তবে ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয় থেকে জন্ম নিবন্ধন সনদ, জাতীয়তা সনদ, চারিত্রিক সনদ, উত্তরাধিকার সনদ, ওয়ারিশান সনদসহ প্রয়োজনীয় সব সনদ দেওয়া হয়। এসব সনদে ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের সই লাগে। কাউন্সিলরদের অনুপস্থিতিতে বর্তমানে নাগরিক সেবামূলক এই কাজগুলো বন্ধ আছে।
মশক নিধনে গতি নেই
বর্ষা মৌসুমে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে গেলেও সিলেট নগরীতে মশক নিধন কার্যক্রম নেই বললেই চলে। তবে সিটি করপোরেশনের মশক নিধন বিভাগ বলছে, লোকবল ও যন্ত্রপাতির সংকটে নগরীতে সীমিত আকারে মশক নিধন কার্যক্রম চললেও সেই কার্যক্রম থেকে বঞ্চিত ৩৬নং ওয়ার্ডবাসী।
পঠিত : 106
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়াার করুন