নিজস্ব প্রতিবেদক : সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও প্যানেল স্পীকার মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী বলেছেন, বর্তমান সরকার কৃষকদের কৃষিখাতে উৎসাহিত করতে বিভিন্ন প্রকল্প চালু করেছে। যাতে কৃষকরা অনাবাদি জমি চাষাবাদের আওতায় এনে অধিক ফসল উৎপাদন করতে সক্ষম হন। সরকারের এই সুযোগ সুবিধা কাজে লাগিয়ে কৃষকরা ফসল উৎপাদন করায় দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। যার ফলে বিদেশে খাদ্য রফতানি করা সম্ভব হচ্ছে। এ সরকার যখনই ক্ষমতায় আসে কৃষকদেরকে বীজ ও সারের জন্য প্রাণ দিতে হয়নি। সরকারের এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে দেশ অচিরে মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হবে।
রোববার সকালে কৃষি সম্প্রসার অধিদফতর দক্ষিণ সুরমা উপজেলা আয়োজিত আউশ প্রনোদনা ২০১৫-১৬ উপলক্ষে কৃষকদের মধ্যে উফশী আউশ ও নেরিকা জাতের ধানের বীজ, রাসায়নিক সার এবং পাওয়ার টিলার বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. মনিরুজ্জামান এর সভাপতিত্বে ও উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা চন্দন দত্তের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন দক্ষিণ সুরমা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবু জাহিদ, কৃষি সম্প্রসার অধিদপ্তর সিলেটের উপ-পরিচালক খায়রুল বাশার, বিএডিসি সিলেটের উপ-পরিচালক সুভাষ চন্দ্র ঘোষ, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মো. ইমাদ উদ্দিন নাসিরী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীম আরা পান্না, দক্ষিণ সুরমা থানার ওসি এসএম আতাউর রহমান, মোগলাবাজার থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইফুল আলম, জেলা আওয়ামীলীগ নেতা আলহাজ্ব ময়নুল ইসলাম।
উপজেলা কৃষক অফিসার আবাহন মজুমদারের স্বাগত বক্তব্যের মধ্যেমে সুচিত অনুষ্ঠানে অন্যান্যের বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি চুনু মিয়া, যুগ্ম সম্পাদক রাজ্জাক হোসেন, আওয়ামীলীগ নেতা শাহ ছমির উদ্দিন, ফজলুল করিম হেলাল, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার কুটি মিয়া, দাউদপুর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম আলম, সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দ মকবুল হোসেন মাখন, কৃষক আব্দুস সবুর। পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন উপজেলা মসজিদের ইমাম মাওলানা আব্দুল বাসিত। গীতা পাঠ করেন বিজিত কুমার আচার্য্য।
অনুষ্ঠানে উফশী আউশ চাষে ৮০০ জন কৃষক পরিবারে প্রত্যেককে ৫ কেজি ধান বীজ, ২০ কেজি ইউরিয়া, ১০ কেজি ডিএপি, ১০ কেজি এমওপি ও সেচ সহায়তা বাবদ ৪০০ টাকা এবং নেরিকা আউশ চাষে ৪৫ জন কৃষক পরিবারে প্রত্যেককে ১০ কেজি ধান বীজ, ২০ কেজি ইউরিয়া, ১০ কেজি ডিএপি, ১০ কেজি এমওপি ও সেচ সহায়তা বাবদ ৮০০ টাকা প্রদান করা হয়।
এছাড়াও খামার যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে ফসল উৎপাদান বৃদ্ধি প্রকল্প এর কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরনের আওয়াত মোট মূল্যের ২৫ শতাংশ ভর্তুকী সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে ৫ জন কৃষককে ৫টি পাওয়ার টিলার ও ১ জন কৃষককে ১টি পাওয়ার থ্রেসা প্রদান করা হয়।