সিলেটপোস্ট ডেস্ক::জামেয়া রাহমানিয়া তায়ীদুল ইসলাম ফতেহপুর কামিল মাদ্রাসার অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও সাবেক অবসরপ্রাপ্ত সকল শিক্ষক মন্ডলীর বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আবেগময়ী বক্তব্যে সদ্য বিদায়ী প্রিন্সিপাল আল্লামা মোহাম্মদ শামসুজ্জোহা বলেন, আমার ছাত্র জীবন থেকে অবসর জীবন পর্যন্ত পুরো জীবন যৌবন এখন বার্ধক্ষ্য ব্যয় করেছি এই প্রতিষ্ঠানের জন্য ও এলাকার উন্নয়নের জন্য। বাবার রেখে যাওয়া প্রতিষ্ঠানের হাল ধরে চেষ্ঠা করেছি ইলমে দ্বীনের জন্য কাজ করে যেতে। দুনিয়াবী অনেক সুযোগ সুবিধা ও লোভনীয় অফার বাদ দিয়ে বাবার কথায় এই প্রতিষ্ঠানে সময় দিয়েছি। চাইলে দেশ-বিদেশের বড় জায়গায় যেতে পারতাম।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. প্রফেসর শামছুল আলম। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, সংবর্ধিত ব্যক্তিদের চেহারা দেখে মনে হচ্ছে তারা দ্বীনের খেদমত করেছেন। দ্বীন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে মাদ্রাসা শিক্ষা, গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে ৭নং মোগলগাঁও ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও জামেয়ার গভর্ণিং বডির সাবেক সহ সভাপতি এ কে এম আব্দুল্লাহ বলেন, মাদ্রাসা থেকে অফিসিয়ালী বিদায় হলেও আমরা বিদায় দিব না। আমরা আজীবন এই মাদ্রাসার খেদমতে রাখতে চাই।
সিলেট জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আবু সাঈদ মো. আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, শিক্ষা ক্ষেত্রে প্রিন্সিপালের অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তার আচার-আচরণ খুব চমৎকার। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার রুমমেট ছিলেন।
সাবেক শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে কামিল ২য় ব্যাচের শিক্ষার্থী ফেঞ্চুগঞ্জ সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের ধর্মীয় শিক্ষক মাহবুবুল আলম তার বক্তব্যে আবেগ-আপ্লুত হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, প্রিন্সিপাল হুজুর নিজের সন্তানের মতো আমাদের স্নেহ করতেন। আমাদের লেখাপাড়ার জন্য মানসম্পন্ন শিক্ষকদের ব্যবস্থা করতেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সিলেট সরকারী আলিয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল প্রফেসর মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান বলেন, আমি বিদায় শব্দটাকে ব্যবহার করতে চাই না। তার বাবা দ্বীনের বাগান তৈরী করে গেছেন। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আমরাও সংবর্ধিত হচ্ছি।
বিশেষ অতিথির হিসেবে বক্তব্য রাখেন, আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার আইউব হোসেন, শাহজালাল জামেয়া ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসা পাঠানটুলার প্রিন্সিপাল লুৎফুর রহমান হুমায়দী, সৎপুর কামিল মাদ্রাসার সাবেক প্রিন্সিপাল আবু জাফর মো. নোমান, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক (অব.) এডভোকেট আবু ছিদ্দিকুর রহমান, পাথারিয়া গাংকুল মন্সুরিয়া ফাজিল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল ফজলুল হাসান মো. ইউসুফ আলী।
বক্তব্য রাখেন, সোবহানীঘাট কামিল মাদ্রাসার ভাইস প্রিন্সিপাল কুতুবুল আলম, বানিয়াচং ফাজিল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল আব্দাল হোসেন খান, গভর্ণিং বডির সাবেক সদস্য নাজিম উদ্দিন, শিক্ষকদের পক্ষে এম এ মালেক, রাহমানিয়া ছাত্র সংসদের ভিপি ফয়সল আহমদ।
হযরতুল আল্লামা আব্দুল গফফার রায়পুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জামেয়ার ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল মাওলানা আব্দুশ শাকুর ও পরিচালনা করেন যৌথভাবে মাহবুবুল আলম ও আ.ফ.ম বখতিয়ার।
বি.দ্র: বিদায়ী প্রিন্সিপাল হুজুরকে ক্রেস্ট, উমরাহ টিকেট, পোষাক ও সুন্নাহ সামগ্রী, সকল শিক্ষকদেরকে নগদ অর্থ, ক্রেস্ট, পোষাক ও সুন্নাহ সামগ্রী দেওয়া হয়। জামেয়ার ক্বারী ইসহাকের তিলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। সঙ্গীত পরিচালনা করেন ইমাম উদ্দিন ও তার শিল্পী গোষ্ঠী