বালুচরে যুবদল নেতা খসরু ও তার ছোট ভাইকে কুপিয়ে আহতর ঘটনায় লাহিনসহ ১৭ জনের নামে মামলা

সিলেটপোস্ট ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ০৪ মে ২০২৫, ৫:৪৬ অপরাহ্ণসিলেট মহানগরের বালুচরের চিহ্নিত শীর্ষ চাঁদাবাজ ক্যাডার লাহিনকে চাঁদা না দেয়ায় সে এবং তার সন্ত্রাসী বাহিনীরা হামলায় যুবদল নেতা খসরু ও তার ছোট ভাইকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে।
এ ঘটনায় হযরত শাহপরান (রঃ) থানায় গিয়ে হামলায় আহত যুবদল নেতা খছরুর মা সুরুজ বেগম বাদী হয়ে ক্যাডার সাইদুল এনাম চৌধুরী লাহিনসহ ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে গত ৩মে মামলা করেছেন, মামলা নং ১ বাৎসরিক নম্বর ১১১।
জানাযায়, গত ১ মে বিকাল ৪ টা উত্তর বালুচর এলাকার সোনার বাংলা গলির ভিতরে বাদীর ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে চাঁদা দাবী করে সাইদুল এনাম চৌধুরী লাহিন গ্রুপের ক্যাডাররা। চাঁদা দিতে অসম্মতি জানালে লাহিন বাহিনীর ক্যাডাররা বাদীর দুই ছেলের উপর ক্ষীপ্ত হয়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়।এসময় তাদের হামলায় বাদীর দুই ছেলে যুবদল নেতা খসরু ও তার ছোট ভাইকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যায় ক্যাডাররা।পরে স্থানীয় লোকজন এসে এ অবস্থা দেখে আহতদেরকে সিলেট এম এ জি ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান।
এ ব্যাপারে মামলার বাদী জানান,আমার ব্যাবসা প্রতিষ্টানে বে-আইনী ভাবে অনধিকার প্রবেশ করে চাঁদাদাবী ও আমার দুই ছেলেকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র ধারা গুরুতর কাটা রক্তাক্ত জখম লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে নীলাফুলা জখম, ক্ষতিসাধণ, প্রান নাশের হুমকি প্রদান করে যায় ক্যাডাররা।ও ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান এর ক্ষতির পরিমান-১,২০,০০০/-(এক লক্ষ বিশ হাজার) টাকা।
বাদী আরও বলেন,গত ৫ আগষ্টের পর থেকে সে বালুচর এলাকায় দলের নাম ভাংগিয়ে একের পর এক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড,চাঁদাবাজি করে যাচ্ছে।
তার ভয়ে বালুচর এলাকার মানুষ মুখ খুলতে ও প্রতিবাদ করতে ভয় পাচ্ছে।
কিছুদিন পূর্বে সে বালুচর নতুনবাজার একটি মার্কেটে ব্যবসায়ীর কাছে চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না পেয়ে দোকান তালা মেরে রাখে।এই ঘটনায় মার্কেট মালিক শাহপরান থানায় জিডি করলেও সে তার তার দলের নাম ভাংগিয়ে প্রভাব কাটিয়ে মামলা শেষ করে ফেলে।
বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে সে টিলাগড়ের আজাদ গ্রুপের ক্যাডারদের নিয়ে প্রবাসী এক ভুক্তভোগী মহিলার বাসা দখল করে।
এখন ও তার দখলে সেই বাসাটি রয়েছে। সে ছাত্রলীগ,যুবলীগের চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের সাথে নিয়ে তার গ্রুপ ভারী করার জন্য চলাফেরা করে ওপেন। তার নামে বেনামে রয়েছে অসংখ্য ফেইক আইডি। এলাকার কেউ তার কার্যকলাপের বিরুধীতা করলে সে তার ঐসব ফেইক আইডি দিয়ে তাকে আওয়ামীলীগ তকমা দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে লেখালেখি শুরু করে।তাই তার ভয়ে বালুচর এলাকার সাধারণ মানুষ মুখ খুলতে ভয় পাচ্ছে।