সংবাদ শিরোনাম
দায়িত্ব বুঝে নিয়েছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের নতুন কমিশনার  » «   সিলেট বিভাগীয় অনলাইন প্রেসক্লাবের জরুরী সভা অনুষ্ঠিত  » «   বিচার করতে হবে প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের,কাজ করতে হবে ঐক্যবদ্ধভাবে- সিলেটে আল্লামা মামুনুল হক  » «   সিলেটবাসীর হৃদয়ে চির জাগরূপ হয়ে থাকবেন এম সাইফুর রহমান: মিফতাহ সিদ্দিকী  » «   আজ পদত্যাগ করতে পারে নির্বাচন কমিশন , দুপুরে সংবাদ সম্মেলন  » «   কাউন্সিলর বিহীন ৩৬নং ওয়ার্ডে নেই কোন কার্যক্রম হতাশ জনগণ  » «   পুলিশের সাবেক আইজিপি শহীদুল ও মামুনের রিমান্ড মঞ্জুর  » «   সিলেটের কানাইঘাট সীমান্তের একাধিক এলাকা দিয়ে নেতাদেরকে পালাতে সহায়তা করেছে এই প্রভাবশালী চক্র  » «   সাবেক আইজিপি শহীদুল হককে ডিবি ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন সেনা হেফাজতে  » «   নবীগঞ্জে বঙ্গবীর জেনারেল আতাউল গনি ওসমানী’র ১০৬ তম জন্মবার্ষিকী পালন  » «   নবীগঞ্জে কথাকাটির জের ধরে সিএনজি চালক হাফিজুরকে চুরিঘাতের ৫ দিন হাসপাতালে থাকার পর মৃত্যু  » «   ভিসিবিহীন বিশ্ববিদ্যালয়ের বেতন হবে সিনিয়র অধ্যাপকের স্বাক্ষরে-শিক্ষা মন্ত্রণালয়  » «   ব্যারিস্টার সুমন,ফেরদৌস,সাকিবসহ সাবেক এমপিদের ৫০টি বিলাসবহুল গাড়ি বন্দরে আটকা  » «   হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে তালামীযের উদ্যোগে রান্না করা খাবার প্রায় ৩শতাধীক বন্যার্থদের মধ্যে বিতরন  » «   সকল নাগরিকের জন্য চাই নিরাপদ খাদ্য-ইমদাদ ইসলাম  » «  

আমাদের আদিবাসী জনগোষ্ঠী

0009সিলেটপোস্ট টোয়েন্টিফোর .কম ডেস্ক : আদিবাসীরা পরিচিত হয় রাষ্ট্রের মূলধারার জনগোষ্ঠী থেকে ভিন্ন নামে। কিন্তু মূলস্রোত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েও তারা অদ্ভুত সরল জীবনযাপন করে যায়। প্রতিটি আদিবাসী গোত্রের জীবনযাত্রাই যেন ছবির মত অপূর্ব। শত অভাব-অনটন, প্রতিকূলতার মাঝেও এই মানুষগুলোর সারল্য আজও পবিত্র সেই আগের মতই।

আদিবাসীদের জীবনধারা স্বভাবতই আলাদা। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় আদিবাসীগোষ্ঠী হলো চাকমা। তাদের রাজা হন সমাজের প্রধান ব্যক্তি। চাকমারা তাদের গ্রামকে আদাম বলে, গ্রামপ্রধানকে বলে কার্বারী। বৌদ্ধধর্মের অনুসারী এই গোত্রের বর্ণিল বর্ষবরণ অনুষ্ঠানটি হলো বিজু। বিজুর দিনে চাকমাদের ঘরে ঘরে পাঁচন তৈরি হয়, যা পাঁচ রকমের সব্জির মিশেলে একটি বিশেষ পদ। চাকমা মেয়েরা বিজুর দিনে পানিতে ফুল ভাসিয়ে দিয়ে আচার পালন করে থাকে।

সাঁওতালরা এদেশের দ্বিতীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ আদিবাসী গোত্র। তারা যে এলাকায় বসবাস করে সেটিকে দেশ বলে। নিজেদের প্রধানকে তারা বলে দেশপ্রধান। তাদের প্রধান উৎসব সোহরাই। এই মানুষগুলো কথা বলে সাঁওতালী ভাষায় যার কোন লিখিত বর্ণমালা নেই।

ত্রিপুরা হলো আরেকটি আদিবাসীগোষ্ঠী যারা মঙ্গোলীয় বংশোদ্ভূত। বৈসুক তাদের মূল উৎসব। এছাড়া কের, কাথারক, গোমতী পূজা, খাচী পূজা, চুমলাই ইত্যাদি নামক আরো কিছু উৎসব তারা পালন করে থাকে। এই গোত্রের লোকেরা কথা বলে কক-বরক ভাষায়।

মঙ্গোলীয় বংশোদ্ভূত জনগোষ্ঠীর অন্য একটি আদিবাসী গোত্র হচ্ছে রাখাইন। রাখাইনদের আদি নিবাস ছিলো আরাকান(মিয়ানমার)। তাদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় অনুষ্ঠান বুদ্ধপূর্ণিমা। জলকেলি উৎসবও রাখাইনরা সাড়ম্বরে পালন করে থাকে। এই গোত্রের বর্ষবরণের অনুষ্ঠানটি সাংগ্রাই নামে পরিচিত। সাংগ্রাইয়ের দিনে রাখাইনরা ফুল তোলে। যে যতো বেশি ফুল দিয়ে বুদ্ধের অর্চনা করবে তার ততো বেশি পূণ্য হবে, এমনটিই তাদের বিশ্বাস। আদিবাসীদের বর্ষবরণ উৎসবটি সামগ্রিকভাবে বৈসাবি উৎসব নামে অভিহিত হয় যা বৈসুক, সাংগ্রাই ও বিজুর সংক্ষিপ্ত রূপ।

এই আদিবাসী গোত্রগুলো ছাড়াও এদেশে আরো অনেক আদিবাসীগোষ্ঠী রয়েছে। মনিপুরী, গারো, খিয়াং গোত্র তাদের মাঝে অন্যতম। ইসলাম ধর্মাবলম্বী পাঙনরাও আছে আদিবাসীদের প্রতিনিধি হয়ে।

পার্বত্য অঞ্চলের এই সহজসরল মানুষগুলো নানা প্রতিকূলতার মধ্যে থেকেও নিজেদের স্বতন্ত্র জীবনধারা বজায় রেখেছে। প্রতিনিয়ত তারা নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার সংগ্রামে থাকে অথচ তবুও মানুষগুলোর মুখের হাসি অমলিন। আদিবাসীদের জীবনযাত্রা তাই সবার কাছেই অন্যরকম আকর্ষণ তৈরি করে।

আইএস

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়াার করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Developed by:

.