সিলেট পোষ্ট রিপোর্ট : ২০১৪ সালের ১০ই এপ্রিল,সেন্টমার্টিনে বেড়াতে গিয়ে হারিয়ে গিয়েছিল সাব্বির।
সেই হারিয়ে যাওয়া সাব্বির হাসানকে খুঁজে পাওয়ার দাবি করেছে তার পরিবার। তবে তা নিয়ে চলছে তোলপাড়।
আসলেই কি সেই সাব্বির এই সাব্বির?
পরিবারের অভিযোগ,ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশে উদ্ধার হওয়া বাংলাদেশীদের মধ্যে তাদের সন্তানও রয়েছে। উদ্ধার হওয়া বাংলাদেশিদের দ্রুত ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছে ওই পরিবার।
প্রসঙ্গত,১৩ মাস আগে সেন্ট মার্টিনে বেড়াতে গিয়ে হারিয়ে যায় সাব্বির।সাব্বির ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়াশোনা করা তাঁর শখ ছিলো ফটোগ্রাফি। সাব্বিরসহ ৬ বন্ধু মিলে সেন্টমার্টিনে বেড়াতে গিয়ে নিখোঁজ। পরে সমুদ্র থেকে ৪ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা গেলেও খোঁজ মেলেনি সাব্বির ও তার বন্ধু উদয়ের।
তখন থেকে তাঁর পরিবার আশায় বুক বেধেছেন। সময় গড়িয়েছে অনেক। ছেলের খোঁজে কোস্ট গার্ড,স্থানীয় প্রশাসনে যোগাযোগ করেও কিছুতেই কোনো ফল হয়নি।
সাব্বিরের মা ছেলে ফিরে পাওয়ার আশায় আল্লাহর কাছে দোয়া করে বলেন,আমি আল্লাহর কাছে আঁচল পেতে সব সময় দোয়া করেছি, আমার ছেলেকে আমার বুকে ফিরিয়ে দাও। আমার বিশ্বাস আল্লাহ যে ছেলেকে আমাকে দিয়েছেন তাকে এভাবে আমার কাছ থেকে কেড়ে নিতে পারেন না। ছেলেকে ফিরে পেলে, তাকে নিয়ে ওমরাহ হজ্জ্ব করার কথাও জানান তিনি।
হঠাৎ এক সকালে পত্রিকা দেখে চমকে ওঠেন তারা। ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশের সমূদ্র উপকূলে উদ্ধার হওয়া যে বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গাদের ছবি ছাপা হয়েছে তাদের মধ্যে সাব্বিরের দেখা মিলে। নির্যাতন-নিপীড়ন-অবহেলায় চেহারা অনেকটাই বিকৃত হয়ে গেলেও মায়ের চোখ এড়িয়ে যেতে পারে না ছেলের মুখ।
এ প্রসঙ্গে সাব্বিরের মা বলেন, মায়ের চোখ কখনও ভুল করতে পারে না। আমি একবার দেখেই চিনতে পেরেছি এটাই আমার হারিয়ে যাওয়া ছেলে। এরপর ইন্দোনেশিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসসহ বিভিন্ন স্থানে যোগাযোগ করেছেন তারা। কিন্তু তেমন কোনো ইতিবাচক সাড়া পাননি এখনও।
সাব্বিরকে ফিরিয়ে আনার দ্বায়িত্ব এখন সরকারের উল্লেখ করে সাব্বিরের বাবা বলেন, আল্লাহ যখন ১৩ মাস পরে আমার ছেলেকে ফিরিয়ে দিয়েছে। তখন কেউ আমাদের থেকে তাকে দূরে রাখতে পারবে না। এখন দ্বায়িত্ব সরকারের আমার ছেলের মতো যারা উদ্ধার হয়েছে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। সাব্বিরের বাবা-মার ধারণা, সমুদ্র সৈকত থেকে অপহরণ করা হয়েছে তাদের সন্তানকে।
তিনি আরো বলেন,বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী চাইলেই আমার ছেলেকে আমার কাছে ফিরিয়ে দিতে পারেন।তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর সাহায্য সহযোগিতা কামনা করেন।