সংবাদ শিরোনাম
সিলেটেের আবাসিক হোটেলগুলোতে চলছে অসামাজিক কর্মকাণ্ড: আধ্যাত্মিক ও সামাজিক অবস্থারও অবনতি  » «   সিলেট নগরীতে ছিনতাই আতঙ্ক বাড়ছে, সর্বস্ব কেড়ে নিতে মরিয়া হয়ে উঠছে ছিনতাইকারীরা  » «   সিলেটে আট তরুণ-তরুণীকে আটক করে বিয়ে নিযে সোশ্যাল মিভিযায তোলপাড়  » «   রিজেন্ট পার্ক রিসোর্ট থেকে ১৬ তরুণ-তরুণীকে আটক করে বিয়ে দিয়েছে এলাকাবাসী  » «   খেলাধুলার সঙ্গে রাজনীতির সম্পর্ক থাকা উচিত না: মির্জা ফখরুল  » «   খাদিমপাড়া ইউনিয়নের সিরাজনগরে নিরাপদ পানি ব্যবস্থাপনা নেটওয়ার্কের উদ্বোধন  » «   সুনামগঞ্জের ধোপাজান নদীতে ৬টি বালুভর্তি নৌকা আটক  » «   ৪৫ বৎসর পর রুট শিন্নি অনুষ্টান পালন করল মিটাভরাং মজলিশপুরবাসী  » «   সিলেট বিমানবন্দর থেকে লন্ডন যাওয়ার সময় অভিনেত্রী নিপুণকে আটকে দিয়েছে ইমিগ্রেশন পুলিশ  » «   তামাবিল মহাসড়কে দুর্ঘটনা রোধকল্পে হাইওয়ে থানা পুলিশের মতবিনিময় সভা  » «   দেশের কৃষকদের উন্নয়নে শহীদ জিয়া অবদান অপরিসিম: আনিসুল হক  » «   জৈন্তাপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত  » «   মাস্ক পরে গোপনে কেক কেটে প্রতিষ্ঠাতা বার্ষিকী পালন করতে গিয়ে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের এক নেতা আটক  » «   দোয়ারাবাজারে সরকারি প্রতিষ্ঠান ও উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শনে ডিসি  » «   সমাজ সেবক ও প্রবাসী কমিউনিটি নেতা কাদিরকে সংবর্ধনা প্রদান  » «  

সংবাদ সম্মেলনে হয়রানির অভিযোগ গোয়াইনঘাট থানার ওসি আবদুল হাই’র প্রত্যাহার দাবি

pসিলেটপোস্টরিপোর্ট:সিলেটের গোয়াইনঘাট থানার ওসি আবদুল হাই’র বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে এলাকার নিরীহ লোকজনকে হয়রানির অভিযোগ তুলে তার প্রত্যাহার দাবি করেছেন জাফলং এলাকাবাসী। গতকাল শনিবার সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে এলাকাবাসীর উদ্যোগে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করা হয়।সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়- ২০১৪ সালের ১৩ ডিসেম্বর জাফলং সড়কে সওজ ও বনবিভাগের জায়গা থেকে অবৈধ স্টোন ক্রাসার উচ্ছেদে টাস্কফোর্স অভিযান চালায়। এসময় ক্রাসার মিলের মালিক ও শ্রমিকরা মিলে হামলা চালায়। ভাঙচুর করা হয় গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সরকারী গাড়ি। এ ঘটনায় গোয়াইনঘাটের সহকারী কমিশনার (ভূমি) এসএম ফেরদৌস ইসলাম বাদি হয়ে ৩৫ জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৩০০-৪০০ জনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেন। এই মামলা দায়েরের পর ওসি আবদুল হাই ও তদন্ত কর্মকর্তা এসআই ইউনূস বাণিজ্যে মেতে ওঠেন। মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে তারা হামলায় নেতৃত্বদানকারী ৬ জনসহ এজহারনামীয় ২৫ জনকে বাদ দিয়ে এলাকার নিরীহ ১৩ জনকে অর্ন্তভূক্ত করে ২৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেন। আদালত এই চার্জশিট আমলে না নিয়ে মামলা তদন্তের দায়িত্ব দেন পুলিশ ইনভেস্টিগেশন ব্যুরোকে (পিআইবি)। এ ঘটনায় এসআই ইউনূসকে ক্লোজডও করা হয়।সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়- বিভিন্ন সময় পুলিশের হয়রানি ও দুর্নীতির বির¤œদ্ধে জাফলং এলাকার যেসব লোকজন প্রতিবাদ করেছেন তাদেরকে চার্জশিটভূক্তি আসামী করেন ওসি আবদুল হাই ও এসআই ইউনুস। নিরীহ লোকজনকে আসামী করে আদালতে চার্জশিট দেয়ার প্রতিবাদে এলাকার লোকজন প্রতিবাদী হয়ে ওঠায় এবং আদালত চার্জশিট গ্রহণ না করায় ক্ষেপে ওঠেছেন ওসি আবদুল হাই। এর বদলা নিতে তিনি এখন মরিয়া। এলাকার প্রতিবাদী লোকজনের বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পুলিশ পাঠিয়ে হয়রানি শুরু করেছেন ওসি। প্রশাসনের উপর হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলা, তদন্ত ও আদালতে দাখিলকৃত চার্জশিটের বির¤œদ্ধে যে কথা বলবে তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়ারও হুমকি দিচ্ছেন ওসি- এমন অভিযোগও করা হয় সংবাদ সম্মেলনে। এতে এলাকার যুবসমাজ ও নিরীহ লোকজনের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। সংবাদ সম্মেলনে এলাকার লোকজন প্রশাসনের উপর হামলার সুষ্ঠু তদন্ত এবং জাফলংসহ গোয়াইনঘাটবাসীর জানমালের নিরাপত্তায় ওসি আবদুল হাইকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে নিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আব্দুল মালিক। এসময় উপস্থিত ছিলেন- নাছির উদ্দিন, মুজিবুল হক, সিরাজ মিয়া, আবুল হোসেন, মফিজ উদ্দিন প্রমুখ।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়াার করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Developed by:

.