সংবাদ শিরোনাম
গোলাপগঞ্জে নির্দোষ ব্যক্তিকে আন্দোলনের মামলায় আসামি দিয়ে হয়রানির অভিযোগ  » «   ব্যক্তিগত স্বার্থের জেরে শরীফপুর ইউপিতে তালা, ভেঙে ফেলল বিক্ষুব্ধ জনতা  » «   নবীগঞ্জে দখলদারদের কবলে ডেবনা নদী উপর ঘর-বাড়ি! অল্প বৃষ্টি বা বন্যার পানি আসলেই তলিয়ে যায় এলাকা  » «   দায়িত্ব বুঝে নিয়েছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের নতুন কমিশনার  » «   সিলেট বিভাগীয় অনলাইন প্রেসক্লাবের জরুরী সভা অনুষ্ঠিত  » «   বিচার করতে হবে প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের,কাজ করতে হবে ঐক্যবদ্ধভাবে- সিলেটে আল্লামা মামুনুল হক  » «   সিলেটবাসীর হৃদয়ে চির জাগরূপ হয়ে থাকবেন এম সাইফুর রহমান: মিফতাহ সিদ্দিকী  » «   আজ পদত্যাগ করতে পারে নির্বাচন কমিশন , দুপুরে সংবাদ সম্মেলন  » «   কাউন্সিলর বিহীন ৩৬নং ওয়ার্ডে নেই কোন কার্যক্রম হতাশ জনগণ  » «   পুলিশের সাবেক আইজিপি শহীদুল ও মামুনের রিমান্ড মঞ্জুর  » «   সিলেটের কানাইঘাট সীমান্তের একাধিক এলাকা দিয়ে নেতাদেরকে পালাতে সহায়তা করেছে এই প্রভাবশালী চক্র  » «   সাবেক আইজিপি শহীদুল হককে ডিবি ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন সেনা হেফাজতে  » «   নবীগঞ্জে বঙ্গবীর জেনারেল আতাউল গনি ওসমানী’র ১০৬ তম জন্মবার্ষিকী পালন  » «   নবীগঞ্জে কথাকাটির জের ধরে সিএনজি চালক হাফিজুরকে চুরিঘাতের ৫ দিন হাসপাতালে থাকার পর মৃত্যু  » «   ভিসিবিহীন বিশ্ববিদ্যালয়ের বেতন হবে সিনিয়র অধ্যাপকের স্বাক্ষরে-শিক্ষা মন্ত্রণালয়  » «  

কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় রাজনকে চোর সাজায় ময়না চৌকিদার: আদালতে সাক্ষি

lসিলেটপোস্টরিপোর্ট:সিলেটে শিশু সামিউল আলম রাজন হত্যা মামলায় ৬ম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। সোমবার দুপুর ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত আরো ৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আকবর হোসেন মৃধা।আদালতে সাক্ষ্য প্রদানকারীরা হচ্ছেন- শেখপাড়ার বাসিন্দা গিয়াস উদ্দিন মেম্বার, কুমারগাঁওয়ের বাসিন্দা কুরবান আলী, আব্দুল করিম ও আফতাব মিয়া।এ তথ্য জানিয়েছেন- রাজনের বাবার নিযুক্ত আইনজীবী শওকত চৌধুরী।তিনি জানান, গিয়াস মেম্বার আদলতে আসামিদের নাম বলতে টালবাহানা করলে রাষ্ট্রপক্ষ তাকে বৈরী সাক্ষি হিসেবে ঘোষণা করি। তবে আসামি পক্ষের আইনজীবীদের জেরার মূখে গিয়াস মেম্বার বলেছেন, আসামি ময়দা চৌকিদার একজন শিশু ধর্ষনকারী। সে রাজনকে বলাৎকারের প্রস্তাব দেয়। রাজন তার কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ময়না চৌকিদার চোর চোর বলে চিৎকার দিলে তাকে চোর সন্দেহে পিটানো হয়। কে বা কারা তাকে পিটিয়েছেন তা আমি দেখিনি।রাজনের বাবা আজিজুল রহমান জানান, রাজন হত্যার পরপরই আসামিদের পালিয়ে যেতে সহযোগীতা ও অর্থের বিনিময়ে পুলিশের মাধ্যমে আপসরফার চেষ্ঠার করেছিল গিয়াস উদ্দিন মেম্বার।তিনি আরো বলেন, কামরুলকে সৌদি পালাতে গিয়াস উদ্দিনই পুলিশের সাথে মধ্যস্থকারীর ভূমিকা পালন করেন।আইনজীবী শওকত চৌধুরী জানান, কুরবান আলী, আব্দুল করিম ও আফতাব মিয়া তাদের সাক্ষ্যগ্রহণকালে আদালতকে বলেন, গত ৮ জুলাই বেলা দেড়টার দিকে কুমারগাঁও বাস স্ট্যান্ডের বেলালের দোকানের সামনে স্প্রিট বেকারের একটি মাইক্রোবাসের স্ট্রাডবন্ধ হয়ে যায়। এ সময় আমারাসহ লোকজন দৌঁড়ে গিয়ে কারণ জানতে চাইলে মাইক্রোবাসের ভিতরে একটি শিশুর লাশ দেখা যায়। তখন আমরা কারণ জানতে চাইলে মুহিদ, কামরুল, শামীম ও আলী হায়দার মাইক্রোবাস থেকে নেমে দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। আমরা দৌঁড়ে শেখপাড়ার সামনে থেকে মুহিদকে আটক করি। পরে তাকে পুলিশে কাছে তুলে দেই। পুলিশ আমাদের সামনে রাজনের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে।রাজনের বাবার নিযুক্ত আইনজীবী শওকত চৌধুরী জানান, আজকের ৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে রাজন হত্যা মামলায় মোট ২১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। তিনি জানান, ১৩ ও ১৪ অক্টোবর এ মামলায় টানা সাক্ষ্যগ্রহণ করবেন আদালত।এর আগে গতকাল ওই মামলায় সাক্ষি প্রদান করেছিলেন- পশ্চিম জাঙ্গাইলের বাসিন্দা মৃত আবদুস সাত্তারের ছেলে আনোয়ারুল হক, কুমারগাঁয়ের বাসিন্দা জাকিরের ছেলে বেলাল আহমদ ও দকির গ্রামের বাসিন্দা ইসকন্দর আলীর ছেলে আবদুল হান্নান।গত ৮ অক্টোবর সিলেট নগরীর কুমারগাঁয়ের বাসিন্দা লুৎফুর রহমান, বাবুল মিয়া, কাচা মিয়া ও পূর্ব জাঙ্গাইল গ্রামের বাসিন্দা কাঁচা মিয়া ওরফে কচি আদালতে সাক্ষ্য দেন।৭ অক্টোবর রাজনের গ্রাম বাদেআলির ইশতিয়াক আহমদ রায়হান, নিজাম উদ্দিন, পার্শ্ববর্তী গ্রাম অনন্তপুরের আবদুজ জাহির মেম্বার, শেখপাড়ার পংকি মিয়া সাক্ষ্য প্রদান করেন।গত ৪ অক্টোবর আলোচিত এই হত্যা মামলায় সাক্ষ্য প্রদান করেন রাজনের মা লুবনা বেগম, জিয়াউল হক, আল আমিন ও মাসুক মিয়া। তবে মাসুক মিয়া আসামিপক্ষে কথা বলা শুরু করলে বাদিপক্ষের আইনজীবীরা তাকে বৈরী ঘোষণা করতে আদালতে আবেদন জানান। এর আগে গত ১ অক্টোবর রাজনের বাবা আজিজুর রহমান ও মামলার বাদি জালালাবাদ থানার এসআই (বরখাস্তকৃত) আমিনুল ইসলাম আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেন।তারও আগে গত ২২ সেপ্টেম্বর ১৩ জনকে অভিযুক্ত করে রাজন হত্যা মামলায় অভিযোগ গঠন করেন আদালত। অভিযুক্তরা হচ্ছেন সৌদিতে আটককৃত সিলেট সদর উপজেলার কুমারগাঁও শেখপাড়ার মৃত আবদুল মালিকের ছেলে কামরুল ইসলাম, পলাতক থাকা তার ভাই শামীম আহমদ, পলাতক থাকা দিরাইয়ের বাসিন্দা পাভেল, কামরুলের ভাই গ্রেফতারকৃত মুহিদ আলম, আলী হায়দার, তাজ উদ্দিন আহমদ বাদল, ময়না চৌকিদার, রুহুল আমিন, দুলাল আহমদ, নগরীর জালালাবাদ থানার পূর্ব জাঙ্গাইল গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে ভিডিওচিত্র ধারণকারী নুর মিয়া, ফিরোজ মিয়া, আছমত উল্লাহ ও আয়াজ আলী। হত্যার পর লাশ গুম চেষ্টার অভিযোগে আদালতের বিচারক মুহিদ আলম, ময়না চৌকিদার, তাজ উদ্দিন আহমদ বাদল ও শামীম আহমদের বিরুদ্ধে আলাদা অভিযোগ এনেছেন।প্রসঙ্গত, গত ১৬ আগস্ট রাজন হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিলেট মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক সুরঞ্জিত তালুকদার ১৩ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটে সৌদিতে আটককৃত কামরুল ইসলাম, তার ভাই শামীম আহমদ এবং আরেক হোতা পাভেলকে পলাতক দেখানো হয়। আদালত ২৪ আগস্ট, সোমবার চার্জশিট আমলে নেন।পরদিন, ২৫ আগস্ট পলাতক কামরুল ও শামীমের মালামাল ক্রোক করে নগরীর জালালাবাদ থানা পুলিশ। গত ৩১ আগস্ট রাজন হত্যাকাণ্ডের মূল আসামি পলাতক কামরুল ইসলাম, তার ভাই শামীম আহমদ ও আরেক হোতা পাভেলকে পলাতক দেখিয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত।গত ৭ সেপ্টেম্বর রাজন হত্যা মামলা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে মহানগর দায়রা জজ আদালতে হস্তান্তর করা হয়।গত ৮ জুলাই সিলেটের কুমারগাঁওয়ে সামিউল আলম রাজনকে নির্মম নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যা করা হয়।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়াার করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Developed by:

.