সংবাদ শিরোনাম
দায়িত্ব বুঝে নিয়েছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের নতুন কমিশনার  » «   সিলেট বিভাগীয় অনলাইন প্রেসক্লাবের জরুরী সভা অনুষ্ঠিত  » «   বিচার করতে হবে প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের,কাজ করতে হবে ঐক্যবদ্ধভাবে- সিলেটে আল্লামা মামুনুল হক  » «   সিলেটবাসীর হৃদয়ে চির জাগরূপ হয়ে থাকবেন এম সাইফুর রহমান: মিফতাহ সিদ্দিকী  » «   আজ পদত্যাগ করতে পারে নির্বাচন কমিশন , দুপুরে সংবাদ সম্মেলন  » «   কাউন্সিলর বিহীন ৩৬নং ওয়ার্ডে নেই কোন কার্যক্রম হতাশ জনগণ  » «   পুলিশের সাবেক আইজিপি শহীদুল ও মামুনের রিমান্ড মঞ্জুর  » «   সিলেটের কানাইঘাট সীমান্তের একাধিক এলাকা দিয়ে নেতাদেরকে পালাতে সহায়তা করেছে এই প্রভাবশালী চক্র  » «   সাবেক আইজিপি শহীদুল হককে ডিবি ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন সেনা হেফাজতে  » «   নবীগঞ্জে বঙ্গবীর জেনারেল আতাউল গনি ওসমানী’র ১০৬ তম জন্মবার্ষিকী পালন  » «   নবীগঞ্জে কথাকাটির জের ধরে সিএনজি চালক হাফিজুরকে চুরিঘাতের ৫ দিন হাসপাতালে থাকার পর মৃত্যু  » «   ভিসিবিহীন বিশ্ববিদ্যালয়ের বেতন হবে সিনিয়র অধ্যাপকের স্বাক্ষরে-শিক্ষা মন্ত্রণালয়  » «   ব্যারিস্টার সুমন,ফেরদৌস,সাকিবসহ সাবেক এমপিদের ৫০টি বিলাসবহুল গাড়ি বন্দরে আটকা  » «   হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে তালামীযের উদ্যোগে রান্না করা খাবার প্রায় ৩শতাধীক বন্যার্থদের মধ্যে বিতরন  » «   সকল নাগরিকের জন্য চাই নিরাপদ খাদ্য-ইমদাদ ইসলাম  » «  

ফেলানী হত্যার বিচার না পেয়ে হতাশ বাবা

13সিলেটপোষ্ট রিপোর্ট :কুড়িগ্রাম সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে নিহত ফেলানী খাতুনের বাবা বলছেন, পাঁচ বছরেও মেয়ে হত্যার বিচার না পাওয়ায় তিনি মর্মাহত এবং হতাশ হয়ে পড়েছেন।

তবে তিনি এখনো বিচার চান।

২০১১ সালের ৭ই জানুয়ারি কুড়িগ্রাম সীমান্তে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে ফেলানী খাতুন নামের একজন বাংলাদেশি কিশোরী নিহত হয়।

দীর্ঘক্ষণ তার মৃতদেহ কাঁটাতারে ঝুলে থাকে, যা গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে বিশ্বজুড়ে ব্যাপক আলোড়ন তোলে।

এই ঘটনায় দীর্ঘ দুই বছর আট মাস পর ভারতের কোচবিহারে বিশেষ আদালতে অভিযুক্ত বিএসএফ সদস্যের বিচার শুরু হলেও, সে নির্দোষ বলে প্রমাণিত হয়।

ফেলানী খাতুনের বাবা নুরুল ইসলাম বলছিলেন, মেয়ে হত্যার বিচার চেয়ে তিনি কয়েক দফা ভারতে গিয়েছেন। কিন্তু সেখানে বিএসএফের আদালতে অমিয় ঘোষকে খালাস দেয়া হয়েছে। এখন মামলাটি ভারতের সুপ্রিম কোর্টে রয়েছে।

বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি মামলাটির তদারকি করছে।

তিনি বলছিলেন, এই দীর্ঘদিনেও মেয়ে হত্যার বিচার না পাওয়ায় তিনি হতাশ হয়ে পড়ছেন।

এই ঘটনার পর বাংলাদেশের সরকার ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাকে সহায়তার কথা ঘোষণা করলেও, কারো কাছ থেকে তেমন সহায়তা পাননি। এখন পরিবার নিয়ে চরম আর্থিক সংকটে রয়েছেন।

এক সময় আমাকে পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন ফেলানী খাতুনে পরিবার। সেখানে তাদের একটি দোকানও ছিল।

নুরুল ইসলাম বলছেন, এই ঘটনার পর আসামের সব ফেলে রেখে আমরা দেশে চলে এসেছিলাম। অনেকে বলেছিল যে, আমাদের দায়িত্ব নেবে। কিন্তু কেউ আমাদের খোজ নিচ্ছে না। আমি যে ঘটনার জন্য ভারত থেকে চলে আসলাম, আর্থিক সংকটের কারণে, কাজের খোজে আমাকে হয়ত আবার সেখানে চলে যেতে হবে।

গত বছরের মাঝামাঝিতে, ফেলানী খাতুনের পরিবারকে পাঁচ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশ দিয়েছিল ভারতের জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। ক্ষতিপূরণ দিতে ছয় সপ্তাহ সময় বেধে দেয়া হয়েছিল।

তবে এখনো কোন ক্ষতিপূরণ পায়নি পরিবার।

পাঁচ বছরের মধ্যে সীমান্তে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশী নিহত

বাংলাদেশ ভারত সীমান্তে প্রতিমাসেই বিএসএফের গুলিতে হতাহতের ঘটনা ঘটছে।

ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গুলিতে গত পাঁচ বছরের মধ্যে ২০১৫ সালে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি নিহত হয়েছে বলে বলছে বাংলাদেশের মানবাধিকার সংস্থাগুলো।

আইন ও সালিশ কেন্দ্র বলছে, ২০১৫ সালে বিএসএফের গুলিতে ৪৫জন বাংলাদেশি নিহত হয়েছে।

আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পরিচালক নুর খান লিটন জানিয়েছেন, ২০১৫ সালে মারা যাওয়া ৪৫ জনের মধ্যে ৩১ জন গুলিতে আর ১৪জন শারীরিক নির্যাতনে নিহত হয়েছে।

২০১৪ সালে এই সংখ্যা ছিল ৩৩জন।

তিনি বলেন, দুই দেশের সরকারপ্রধানদের মধ্যে সীমান্তে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা শূন্যে নামিয়ে আনার আলোচনা হয়েছে, ভারত প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিল। কিন্তু তা আর কার্যকর হয়নি।

এ ধরণের হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়াটা এর একটি বড় কারণ বলে তিনি মনে করেন।

অধিকারের সাধারণ সম্পাদক আদিলুর রহমান খান বলেন, ২০১০ সালের পর এ বছর বিএসএফের গুলিতে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি নিহত হয়েছে। বাংলাদেশের নাগরিকদের প্রতি বিএসএফ কোন প্রকার সম্মানই দেখাচ্ছে না। বরং তারা আগ্রাসী ভূমিকা নিয়েছে।

অধিকারের হিসাবে, ২০১৫ সালের নভেম্বর পর্যন্ত বিএসএফের গুলিতে ৪১জন বাংলাদেশি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে অন্তত ৬০জন। আর ২৭ জন বাংলাদেশিকে বিএসএফ অপহরণ করেছে।

২০১৩ সালে সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহতের সংখ্যা ছিল ২৯জন। ২০১২ সালে ৩৮জন আর ২০১১ সালে ৩১জন।

এরআগে ২০১০ সালে এই সংখ্যা ছিল ৭৪জন।

সূত্র:বিবিসি

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়াার করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Developed by:

.