সিলেটপোস্ট ডেস্ক::খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব ডাক্তার এএ তাওসীফ বলেছেন, ‘এ জাতি বৈষম্যের বিরুদ্ধে বার বার সংগ্রাম করেছে, কিন্তু কখনো এদেশে বৈষম্য দূর হয়নি। চব্বিশের গণ অভ্যুত্থানে জন মানুষের ব্যাপক অংশগ্রহণ ছিল, বঞ্চনার চির অবসানের জন্য। এ আন্দোলনের মাধ্যমে জনগণ বৈষম্যের চির অবসান চেয়েছে। আজ যেসব বন্দোবস্তের কথা শুনতে পাচ্ছি, যত সংস্কারের কথা জানানো হচ্ছে, এসব বন্দোবস্ত ও সংস্কার জনগণকে বৈষম্য মুক্ত করার জন্য যথেষ্ট নয়। এ জাতি সেদিন বৈষম্য মুক্ত হবে, যেদিন এদেশে খোলাফায়ে রাশেদার আদর্শের সরকার গঠিত হবে। এছাড়া এদেশ থেকে বৈষম্য দূর করা সম্ভব নয়।’
তিনি বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) জকিগঞ্জ উপজেলা সদরের একটি মিলনায়তনে খেলাফত মজলিস উপজেলা ও পৌর শাখার যৌথ কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন।
উপজেলা সভাপতি মাওলানা শায়খ আবদুল মুছাব্বিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে মুখ্য আলোচনা রাখেন, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিসের প্রাক্তন কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা রুহুল আমীন সাদী। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সিলেট জেলা সহ সভাপতি মাওলানা মুখলিছুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা দিলওয়ার হোসাইন।
মাওলানা রুহুল আমীন সাদী তাঁর বক্তব্যে ইসলামী আদর্শের আলোকে নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আমরা একটি জগদ্দল পাথর সরিয়ে নতুনভাবে স্বাধীনতা লাভ করেছি। এ স্বাধীনতা বেহাত হতে দেয়া যাবেনা। সকল ইসলামী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশ ও ইসলাম বিরোধী ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে লক্ষপানে এগিয়ে যেতে হবে।’
উপজেলা সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আলাউদ্দিন তাপাদার, পৌর সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবুল কালাম আজাদের যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, যুব মজলিসের সিলেট জেলা সাধারণ সম্পাদক হাফিজ মাওলানা জারির হোসাইন, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিস সিলেট পূর্ব জেলা সভাপতি মুজিবুর রহমান খান, খায়রুল ইসলাম, খেলাফত মজলিস জকিগঞ্জ পৌর সভাপতি মাওলানা আবদুস সালাম,উপজেলা সহ সভাপতি মাওলানা সালেহ আহমদ, মাওলানা ফরীদ উদ্দিন,যুবায়ের আহমদ চৌধুরী আলমগীর,সহ সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবদুল আহাদ, হাফিজ আবদুল হালিম, যুব মজলিস সভাপতি শাহ জাহান মোহাম্মদ শেলিম,সেক্রেটারী মাওলানা আবদুল হামিদ জালাল, সাংবাদিক রহমত আলী হেলালী ও খেলাফত মজলিস জকিগঞ্জ উপজেলা সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আবদুল কাইয়ূম সিদ্দিকী প্রমূখ।
সমাবেশ শেষে ভারতে মহানবী সা. এর অবমাননার প্রতিবাদে এবং জুলাই গণহত্যার সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে উপজেলা সদরে এক গণ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি পৌর শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে এমএ হক চত্বরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।