নিজস্ব প্রতিবেদক : সিলেটের ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সার (টমটম) বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে মাঠে নেমেছে পুলিশ। যেকোনো মূল্যে সিলেট নগরীকে টমটমমুক্ত করতে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু করেছে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ (এসএমপি)। ‘অবৈধ’ এ বাহনটি নগরী থেকে বিদায় করতে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ে মাঠে নেমে প্রথম দিনের অভিযানে সুফল আনতে না পারলেও টমটম মালিক-চালকদের আতঙ্কিত করে তুলেছে। ফলে পুরো দিনই সিলেট নগরী ছিলো টমটমমুক্ত।
জানা গেছে, গত বছরের জুলাই মাসে সিলেট নগরী থেকে টমটম তুলে দেওয়ার লক্ষে অভিযান শুরু করে সিসিক ও এসএমপি। অভিযানের কারণে নগরী টমটমমুক্ত হলে যানজট অনেকটা কমে যায়। এ অভিযানের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামে টমটম মালিক চালকরা। সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরানসহ রাজনৈতিক নেতাদের কাছে ধর্ণা দিয়েও কাজ হয়নি। অবশেষে নগরীর বাইরে টমটম চলাচল ও ধীরে ধীরে টমটম উঠিয়ে নেওয়ার শর্তে সাময়িকভাবে চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়। এর পর থেকে টমটম চলাচল সীমিত থাকায় নগরীতে যানজট অনেকটা কমে আসে। কিন্তু পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে সিসিক ও এসএমপি আর না এগুনোয় নগর জুড়ে আবারো টমটমের অবাধ চলাচল শুরু হয়।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ১২ পর্যন্ত নগরীর সুরমা মার্কেট পয়েন্ট, আম্বরখানা, মদীনা মার্কেট, সুবহানীঘাটে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসমা বেগমের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালিত হয়। দুই ঘন্টার অভিযানে ৪টি টমটম আটক করা হয়। অভিযানের খবর ছড়িয়ে পড়লে মুহুর্তেই নগরী টমটম শূণ্য হয়ে পড়ে।
এ ব্যাপারে এসএমপির উপ-কমিশনার (ট্রাফিক) মো. রেজাউল করিম সিলেটপোস্টকে বলেন, তিনি বলেন, এটি একটি অবৈধ বাহন। সিলেট নগরীতে অবৈধ টমটম চলাচল করতে দেওয়া হবে না। অভিযানে এসএমপির জালালাবাদ থানা এলাকা থেকে ৩টি ও বিমানবন্দর থানা এলাকা থেকে ১ টমটম জব্দ করা হয়। অভিযানের খবর পেয়ে চালকরা সতর্ক হয়ে যাওয়ায় ধরা যায়নি। তবে আগামী রোববার থেকে ফের অভিযান শুরু হবে। এটা নিয়মিত চলবে জানিয়ে তিনি বলেন, আমারে টার্গেট এখন একটাই, যেকোনো মূল্যে নগরীকে টমটমমুক্ত করা।