সিলেটপোস্ট রিপোর্ট : নানা উদ্ভাবনী শটে নিত্য মুগ্ধ করে চলেছেন ডি ভিলিয়ার্স। ফাইল ছবি অভিযোগ বেশ ‘গুরুতর’ দেখা যাচ্ছে! অভিযোগটা করেছেন ইরফান পাঠান। অভিযোগ না করেই বা কী করবে বলুন! এমন ইচ্ছেমতো ধোলাই দিলে কাঁহাতক সহ্য করা যায়! বোলাররা যেন তাঁর খেলার পুতুল। হাতের মুঠোয় নিয়ে যা ইচ্ছে তা-ই করবেন! আর কত?
ইরফানের ‘অভিযোগ’টা এবি ডি ভিলিয়ার্সের বিরুদ্ধে। ভারতীয় পেসার টুইট করেছেন, ‘একজন বোলার হিসেবে একটি আনুষ্ঠানিক অভিযোগ লিখছি এবি ডি ভিলিয়ার্সের বিরুদ্ধে। সব বোলার দয়া করে আমার সঙ্গে যোগ দিন।’ পাঠানের এ ‘বৈপ্লবিক আহ্বান’ যে স্রেফ রসিকতা, বোঝাই যাচ্ছে। কিন্তু সত্যি যদি বোলারদের মনের কথা পড়া যেত, তাহলে হয়তো ইরাফানের সঙ্গে সত্যি ‘যোগ’ দেওয়ার কথাটাই জানা যেত!
গতকাল আইপিএলে কী কাণ্ডটাই না করলেন এবি। তুলোধুনা করলেন মুম্বাই বোলারদের। তাঁর ব্যাট থেকে এল ৫৯ বলে ১৩৩ রানের এক টর্নেডো ইনিংস। আইপিএলে যেটি তৃতীয় সর্বোচ্চ রান। সাধে কী আর জ্যাক ক্যালিস বিশ্বকাপ চলার সময় নিজের কলামে লিখেছিলেন, ‘এই মুহূর্তে সে-ই বিশ্ব ক্রিকেটের সবচেয়ে ভয়ংকর ব্যাটসম্যান ডি ভিলিয়ার্স…’
ওয়ানডেতে সবচেয়ে দ্রুত গতির সেঞ্চুরির (৩১ বলে) রেকর্ড তাঁর, দ্রুত ১৫০ রানের রেকর্ডটিও (৬৪)। দুটি রেকর্ড গড়ার দিন কীভাবে কপাল পুড়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলারদের, নিশ্চয় মনে আছে। উদ্ভাবনী, চোখধাঁধানো সব শটে নির্ভারচিত্তে মুহূর্তেই এলোমেলো করে দেন প্রতিপক্ষকে। ২২ গজে তাঁর কীর্তি দেখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এবিকে অভিহিত করা হচ্ছে ‘ক্রিকেটের লিওনেল মেসি’ হিসেবে। প্রতিপক্ষের সব কৌশল মুহূর্তে মাটি করে দিতে সিদ্ধহস্ত প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান। কী টেস্ট, কী ওয়ানডে কিংবা টি-টোয়েন্টি-ডি ভিলিয়ার্স ক্রিকেট বলটাকে দেখছেন ফুটবলের মতো! ব্যাটটা হয়ে উঠছে ঝকমকিয়ে ওঠা খাপখোলা তলোয়ার! যে তলোয়ারের সামনে বোলারদের নিয়তি কেবলই মার খাওয়া!
কী এমন শক্তি কাজ করে ডি ভিলিয়ার্সের মধ্যে? বিনয়ের সঙ্গে প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান বললেন, ‘টেস্ট, ওয়ানডে এমনকি টি-টোয়েন্টির জন্য একই নীতি বজায় রাখি। প্রতি খেলায় আমার কৌশল পরিবর্তন হয়। দলের ছন্দের জন্য অপেক্ষা করি। এরপর এগিয়ে যাই। বলটাকে খুব ভালোভাবে দেখার চেষ্টা করি এবং মাথাটা ঠান্ডা রাখার চেষ্টা করি।’
কৌশলেও দেখা যাচ্ছে মেসির সঙ্গে অনেক মিল! দুজনই একইভাবে ঠান্ডা মাথায় তছনছ করে চলেন প্রতিপক্ষের সব রণকৌশল। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া