সিলেটপোস্টরিপোর্ট:বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় তালাক দেয়া স্ত্রীর সঙ্গে আবারও ঘর-সংসার করার অভিযোগে এক পরিবারকে সমাজচ্যুত করা হয়েছে। এতে ওই পরিবারের সঙ্গে এলাকাবাসীর বিরোধী সৃষ্টি হয়। বিরোধের এক পর্যায়ে হামলা-মামলা ও গ্রেফতারের ঘটনাও ঘটে উপজেলার উনাহত সিংড়া গ্রামে।জানা গেছে, দুপচাঁচিয়া উপজেলার উনাহত সিংড়া গ্রামের লইমুদ্দিন প্রামানিক (৫২) ১৬ বছর আগে তার স্ত্রীকে মৌখিকভাবে তালাক দেয়। এর কিছুদিন পর লইমুদ্দিন দ্বিতীয় বিয়ে করে। চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি লইমুদ্দিন তার তালাক দেয়া প্রথম স্ত্রীকে আবারও ঘরে তোলেন। এতে গ্রামের লোকজন ক্ষিপ্ত হয় এবং শরীয়ত মোমাবেক সংসার করার প্রস্তাব দেয়। কিন্তু লইমুদ্দিন গ্রামবাসীর পরামর্শ না মানায় তাকে সমাজচ্যুত করার ঘোষণা দেয় স্থানীয় মাতব্বরগণ। একই সঙ্গে গ্রামের লোকজন লইমুদ্দিন ও তার পরিবারের সঙ্গে মেলামেশা বন্ধ করে দেয় এবং সামাজিক অনুষ্ঠানে তাকে বাধা দেয়।গত ১৭ মে লইমুদ্দিন তার বাড়ির সীমানায় বেড়া দিতে গেলে কয়েকজন মাতব্বর লইমুদ্দিনকে মারপিট করে। এতে লইমুদ্দিন আহত হয়। পরে তাকে প্রথমে দুপচাঁচিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।এ ঘটনায় রোববার সন্ধ্যায় লইমুদ্দিনের ছেলে এলাহী (নয়ন) বাদী হয়ে চারজনকে আসামি করে দুপচাঁচিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করে। পুলিশ ওই রাতেই অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত ৩ আসামিকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতরা হলো- একই গ্রামের নওফেল আকন্দ (৫৮), খায়রুল বারী (৫৬) ও সোয়াইব আকন্দ (৪৫)।দুপচাঁচিয়া থানার ওসি গোপাল চন্দ্র চক্রবর্তী জানান, গ্রাম্য সালিশ করে ফতোয়া দেয়া ও মারপিটের ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়েছে। ৩ জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
তালাকের ১৬ বছর পর সাবেক স্ত্রীর সঙ্গে সংসার শুরু
সিলেট পোস্ট ২৪ ডট কম
: মে ২৬, ২০১৫ | ২:২১ পূর্বাহ্ন
« « পূর্ববর্তী
পরবর্তী » »