সিলেটপোস্টরিপোর্ট:আপন বড় ভাইয়ের বিরুদ্ধে পৈত্রিক সম্পত্তি গ্রাস করে নেয়ার অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত বৃটিশ নাগরিক বিয়ানীবাজার উপজেলার আলীনগর গ্রামের মরহুম আব্দুল মুকিত চৌধুরীর মেয়ে ইয়াসমিন চৌধুরী হ্যাপি। পাশাপাশি পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের বিরুদ্ধেও পক্ষপাতের অভিযোগ করেছেন তিনি। শনিবার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।লিখিত বক্তব্যে ইয়াসমিন চৌধুরী হ্যাপি বলেন, আমার পিতা মরহুম আব্দুল মুকিত চৌধুরী। আমাদের গ্রামের বাড়ি বিয়ানীবাজারের আলীনগরে এবং বাসা সিলেট শহরের ৩৭/৩৮ দর্শনদেউড়ী এলাকায়। আমি আমার পৈত্রিক সম্পত্তিতে যেতে পারছিনা। আমার পিতা মৃত্যুর পূর্বে একটি স্বরণলিপি করে যান। তাতে তিনি তার স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির চার ভাগের এক ভাগ মসজিদ মাদ্রাসা ও দরিদ্র মানুষের জন্য রেখে যান। বাকি তিন ভাগ সম্পত্তি আমার মা ও আমরা ভাইবোনসহ উত্তরাধিকারীরা যথা নিয়মে বাটোরা করে নেওয়ার কথা উল্লেখ করেন।সম্পত্তি দেখাশোনা করার জন্য আমার বাবা আমার বড় ভাই নাজমুল হাসান চৌধুরীর উপর দায়িত্ব প্রদান করেন। কিন্তুু পরিতাপের বিষয় আমার মরহুম পিতার নির্দেশ অমান্য করে এবং সন্তান হিসেবে আমার নিজের অধিকার খর্ব করে আমার ভাই নাজমুল হাসান চৌধুরী সকল সম্পত্তি কৌশলে গ্রাস করে নেওয়ার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। আমাকে সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করতে নানাভাবে হুমকি প্রদান করা হচ্ছে। যুক্তরাজ্যে বসবাস করতে থাকায় দেশের পৈতৃক সম্পত্তির ব্যাপারে তেমন খোজ খবর রাখতে না পারায় আমার ভাই ও অন্যান্য সহযোগিরা আমাকে অস্বীকার করে সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করতে উঠে পড়ে লেগেছেন। আমি আমার শিশু কন্যাকে নিয়ে দেশে এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।ইয়াসমিন আরো বলেন, আমি আমার পিতার রেখে যাওয়া দর্শনদেউড়ী এলাকার ৩৭/৩৮ নং বাসায় কিছুদিন পূর্বে যুক্তরাজ্য ভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আমকারীজা ও লাভ দেশ প্রতিষ্ঠা করি। কিন্তুু আমার অনুপস্থিতে আমার বড় ভাই ও তার সহযোগীরা আমার প্রতিষ্ঠানটি উচ্ছেদ করে দিয়ে আমাকে ভয়ভীতি প্রদর্শণ করে পৈতৃক সম্পত্তিতে যেতে দিচ্ছেন না। মানুষের কল্যাণে ও দেশের উন্নয়নের লক্ষ্যে আমি কাজ শুরু করি। আমি চাচ্ছি বাংলাদেশের গৌরব, সম্পদ ও সাফেল্যের দিকগুলো বিশ্ববাসীর নজরে নিয়ে আসতে। সেজন্য উপরোক্ত সংগঠন প্রতিষ্ঠা করে বাংলাদেশে রন্ধন শিল্প ও পর্যটন শিল্পকে যথাযথভাবে উপস্থাপন করার জন্য কার্যক্রম শুরু করেছি। আমি এই বিষয়ে লন্ডনে তিনদিনের বড় একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার সুযোগ পেয়েছি। এই অনুষ্ঠানে আমাদের ঐতিহ্যের দেশীয় রান্না তৈরি করে যুক্তরাজ্যে বিদেশিদের কাছে পরিবেশন করা হবে। এতে আমাদের দেশের গ্রামীণ জনপদের নারীদের কর্মসংস্থান সহ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন হবে যা দিয়ে আমি আমার পিতার মত দরিদ্র মানুষের কর্ম সংস্থান সৃষ্টি করে সহযোগিতা করতে পারবো বলে আশা করছি।তিনি আরো বলেন, আমার এসব সামাজিক কার্যক্রমকে মূল্যায়ণ না করে আমার পরিবারের কিছু সদস্য আমার বিরুদ্ধাচারণ করছেন। কারণ তারা আমার বাবার কথামত সম্পত্তির এক ভাগ মসজিদ মাদ্রাসা সহ মানুষের কল্যাণে ব্যয় করতে চান না। আমার অপরাধ আমি দেশকে এবং দেশের মানুষকে ভালবাসি। তাই নারীর টানে দেশে ফিরে এসে মানুষের জন্য কিছু করে যেতে চাই।আমার বিপদের মূহুর্তে পুলিশ প্রশাসন থেকে সহযোগিতা পাইনি। আমি বিট্রিশ নাগরিক হলেও বাংলাদেশের মেয়ে। আইনী সহায়তা পাওয়ার অধিকার আমার আছে। কিন্তুু প্রশাসন থেকে প্রয়োজনীয় আইনানুগ সহায়তা না পেয়ে আমি মর্মাহত।সংবাদ সম্মেলনে ইয়াসমিন চৌধুরী হ্যাপি প্রশাসনের উর্ধ্বতন মহলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
সিলেট প্রেসক্লাবে প্রবাসী ইয়াসমিন চৌধুরী’র সংবাদ সম্মেলন
সিলেট পোস্ট ২৪ ডট কম
: মে ৩০, ২০১৫ | ৪:৪৫ অপরাহ্ন
« « পূর্ববর্তী
পরবর্তী » »