সংবাদ শিরোনাম
কোটা আন্দোলন ঘিরে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ আরও ২ শিক্ষার্থীর মৃত্যু  » «   সিলেটে আজ সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরদিন ভোর ৬টা পর্যন্ত কারফিউ  » «   আগামী ২৮ জুলাই পর্যন্ত আপাতত ফেসবুকসহ সব ধরনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমও বন্ধ থাকবে-প্রতিমন্ত্রী পলক  » «   আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ চলাকালে সিয়াম নামে এক তরুণ নিহত  » «   কোটা বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনকারীদের পক্ষে বিক্ষোভের ঘোষণা হেফাজতে ইসলামের  » «   আগামীকাল সারাদেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’কর্মসূচি ঘোষণা  » «   দোয়ারাবাজারে প্রকাশ্যে চলছে টিলা কাটার মহোৎসব! নিরব প্রশাসন  » «   মাদকের ভয়ালগ্রাস থেকে আমাদের সন্তানদের বাচাতে হবে- বিভাগীয় কমিশনার আহমদ ছিদ্দীকী  » «   আরিফ হত্যা মামলায় ৩৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নিপু কারাগারে  » «   ধর্মপাশার মুগরাইন হাওরে গোসল করতে নেমে ডুবে শাশুড়ি ও তার অন্তঃসত্ত্বা পুত্রবধূর মৃত্য  » «   তৃতীয় দফা বন্যার মুখোমুখি সুনামগঞ্জের হাওরপাড়ের লাখ লাখ মানুষজন  » «   বন্যায়ও থেমে নেই ভারত থেকে অবৈধভাবে আসা চিনির চোরাচালান  » «   সিলেটে নতুন পুলিশ সুপার এর যোগদান  » «   র‌্যাব সদস্যরা দেশের যেকোন সংকটময় মূহুূর্তে সব সময়ই জনগনের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছে -র‌্যাব মহাপরিচালক  » «   সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার জন্য একজন গানম্যান নিয়োগ পেলেন ব্যারিস্টার সুমন  » «  

শিশু সাঈদ হত্যা: আদালতে যা বললেন মা সালেহা

3.jpegসিলেটপোস্ট রিপোর্ট :সিলেটে ৯ বছরের শিশু সাঈদ অপহরণ ও হত্যা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে। গত ১৯ নভেম্বর আদালতে সাঈদের বাবা মতিন মিয়াসহ সাক্ষ্য দেন চারজন। রবিবার (২২ নভেম্বর) সাঈদের মা সালেহা বেগমসহ আরো ছয়জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।আদালত সূত্র জানায়, সাক্ষ্য প্রদানকালে সাঈদের মা সালেহা বেগম আবেগাপ্লুত হয়ে বক্তব্য রেখেছেন। আদালতে তিনি বলেছেন, ‘আবু সাঈদ আমার মেঝো ছেলে। ঘটনার আগের দিন অর্থাৎ গত ১০ মার্চ স্বামীসহ আমি, আমার বড় মেয়ে সাউদা মতিন (১২), ভিকটিম আবু সাঈদ (৯) ও ছোট ছেলে আবু সাফী (৫) আমার মায়ের বাসা ৭৩ এভারগ্রীন, ঝেরঝেরি পাড়ায় যাই। আমার ভাড়া করা বাসা বসুন্ধরা ৭৪/বি দর্জিবন্দ, রায়নগর থেকে আমার মায়ের ভাড়া করা বাসা ৭৩ এভারগ্রীন, ঝেরঝেরি পাড়ার দুরত্ব এক কিলোমিটারের কাছাকাছি। মূলত আমার প্রবাসী ভাই কবির দেশে আসার সুবাদে আমরা সেখানে বেড়াতে গিয়েছিলাম। রাতের খাবার শেষে আমার স্বামী মতিন মিয়া ছেলে আবু সাঈদকে নিয়ে নিজেদের বাসায় চলে যায়।’‘পরদিন যোহরের পর সাঈদের বাবা আমার মায়ের বাসায় এসে তাকে (সাঈদ) না দেখে সে কোথায় তা জিজ্ঞেস করেন। তিনি বলেন, সাঈদ ওইদিন (১১ মার্চ) সকাল ১১টায় দর্জিবন্দস্থ নিজ বাসা থেকে আমার মায়ের বাসা ঝেরঝেরি পাড়ার উদ্দেশ্যে বের হয়েছে। এসময় আমি তাকে (মতিন মিয়া) জানাই, সাঈদ এখানে আসেনি।’আদালতে সাঈদের মা আরো বলেন, ‘এরপর আমরা সবাই সাঈদের খোঁজে বের হই। একপর্যায়ে জানতে পারি, সাঈদ সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বাসার পাশ্ববর্তী রাজিয়া ভেরাইটিজ স্টোর থেকে ১৮ টাকায় একটি আইসক্রিম ক্রয় করে। সন্ধ্যার পরও সাঈদের খোঁজ না পাওয়ায় আমরা মাইকিংয়ের ব্যবস্থা করি এবং থানায় জিডি দায়ের করি। পরে মামলার আসামিরা ফোনে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ চাইলে মামলা রুজু হয়। ১৪ মার্চ পুলিশ এবাদুর নামক এক কনস্টেবলকে গ্রেফতার করে। ওই কন্সটেবলের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তার ভাড়া করা বাসা ঝেরঝেরি পাড়া সবুজ ৩৭ এর তৃতীয় তলার সিঁড়ির কাছের কক্ষ থেকে আমার ছেলে সাঈদের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।’‘কনস্টেবল এবাদুর একসময় আমাদের সাথে রায়নগরে সাবলেট হিসাবে পরিবারসহ বাস করতো। আমার ছেলে-মেয়েরা তাকে মামা বলে ডাকতো।’
আদালত সূত্র জানায়, সাঈদের মা কান্নাজড়িত কন্ঠে তার ছেলের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়াার করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Developed by:

.