সিলেটপোস্ট ডেস্ক : ব্যর্থতার দায়ে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের কোচের পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে ফাবিও লোপেজকে। তার জায়গায় নতুন কোচ হয়েছেন শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের কোচ মারুফুল হক। দায়িত্ব পেয়ে জাতীয় দলকে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে সাফল্য এনে দেয়ার প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন মারুফুল।
২০১৩ সালে সাফের আগে জাতীয় দলের কাণ্ডারি হয়ে এসেছিলেন ডাচ কোচ লোডউইক ডি ক্রুইফ। ঢাক ঢোল পিটিয়ে ডি ক্রুইফকে দায়িত্ব দিলেও, সাফে ব্যর্থ হয়েছিলো মামুনুলরা। নানা নাটকের পর ক্রুইফ অধ্যায় শেষে গত সেপ্টেম্বরে দিন বদলের স্লোগান নিয়ে হঠাৎ-ই আর্বিভাব ইতালিয়ান ফাবিও লোপেজের।
এবারো মিশন সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। কিন্তু দায়িত্ব নিয়েই ফুটবলারদের পজিশন বদল করে শুরুতেই সমালোচিত হয়েছিলেন লোপেজ। মামুনুলকে রাইট উইং, রনি, জাহিদ, কমলদের মিডফিল্ডে খেলানোর কৌশল শুরু থেকেই জন্ম দিয়েছিলো নানা সমালোচনার। তবে, তাতে কান দেননি লোপেজ। নিজেই নিজের মত করে চলেছেন।
এরপরও তার ওপর আস্থা রেখেছিলো বাফুফে। কিন্তু বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে তাজিকিস্তানের কাছে ৫-০ গোলে হারের পর, দেশের মাটিতে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ভরাডুবি। সর্বশেষ চীনের ইউনান প্রদেশে আসিয়ান ইন্টারন্যাশনাল ফুটবল টুর্নামেন্টে মিয়ানমারের একটি ক্লাব ও স্বাগতিকদের তৃতীয় স্তরের ক্লাব লিজিয়ানের কাছে হারে নিশ্চিত হয়ে যায় লোপেজের ভবিষ্যৎ।
বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ বলেন, ‘সকল বিষয় বিবেচনা করে জাতীয় দল ব্যবস্থাপনা কমিটির পক্ষ থেকে আজকে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, আমাদের প্রধান প্রশিক্ষক ফাবিও লোপেজের পরিবর্তে দলের সাথে প্রধান প্রশিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন প্রশিক্ষক জনাব এ কে এম মারুফুল হক।’
লোপেজ অধ্যায় শেষ। সাফের বাকি মাত্র ১ মাস। এ মুহূর্তে বিদেশী কাউকে খুঁজে বের করা কঠিন। তাই দেশের অন্যতম শীর্ষ কোচ মারুফুল হকের ওপরই আস্থা রেখেছে বাফুফে। সম্প্রতি প্রথম দক্ষিণ এশীয় হিসেবে উয়েফা ‘এ’ সনদ পেয়েছেন মারুফুল। জাতীয় দলের প্রায় সব ফুটবলারের সঙ্গেই কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে তার। তাই দায়িত্ব পেয়ে বাফুফের আস্থার প্রতিদান দিতে চান এই কোচ।
এ দেশের ফুটবলে নতুন কোচ আসবে আবার, চুক্তি শেষের আগে চলেও যাবে, এমন সংস্কৃতি দীর্ঘদিনের। তবে, প্রশ্ন উঠেছে লোপেজ সম্পর্কে ভালভাবে খোঁজ-খবর না নিয়ে তাকে দায়িত্ব দেয়া নিয়ে। যদিও এ বিষয়ে বরাবরের মত এবারো সদুত্তর নেই বাফুফের কাছে। সময়
সিলেটপোস্ট২৪ডটকম/ফয়ছল আহমদ/২৫.১১.২০১৫