মঙ্গলবার গণমাধ্যম পাঠানো এক বিবৃতিতে এই প্রতিক্রিয়া জানান সিলেট জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ।
গণমাধ্যম পাঠানো এক বিবৃতিতে জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ বলেন, ডামি নির্বাচনের নামে বিনাভোটে নগর ভবনের কর্তৃত্ব দখল করে লাগামহীন লুটপাট শুরু হয়েছে। সিলেট সিটি কর্পোরেশনের বর্ধিত নতুন ওয়ার্ড সমূহে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগা তো দুরের কথা পুরাতন ২৭টি ওয়ার্ডেও এখন পর্যন্ত সকল নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত হয়নি। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় এখনো পানির সংকট রয়েছে। এমন অপর্যাপ্ত নাগরিক সুযোগ-সুবিধা ও নগরবাসীকে অবর্ণনীয় দুর্ভোগের মধ্যে রেখেই নতুন এ্যসেসম্যান্টের নামে শতকরা ৫ হাজার শতাংশ থেকে শুরু করে ১০/১১ হাজার শতাংশ পর্যন্ত হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়ানো হয়েছে। যা সম্পূর্ণ অন্যায়, অমাবনবিক ও নগরবাসীর প্রতি জুলুম। নতুন এই হোল্ডিং ট্যাক্স নাগরিক সুযোগ-সুবিধা বঞ্চিত নগরবাসীর উপর ‘মরার উপর খাড়ার ঘা’য়ে পরিণত হয়েছে।
জেলা বিএনপি নেতৃবৃন্দ বলেন, রাষ্ট্রের প্রতিটি প্রতিষ্ঠান লাগামহীন দুর্নীতির মাধ্যমে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে, লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা লুটপাট করে বিদেশে পাচার করা হয়েছে, রাষ্ট্রের পুরো অর্থনীতিকে ধ্বংস করে এখন মানুষের উপর জোর করে ট্যাক্সের বুঝা চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। এমন অবস্থায় একটি শহর কিংবা একটি রাষ্ট্র চলতে পারে না। তাই অবিলম্বে সিলেটবাসীর উপর চাপিয়ে দেয়া এই অনৈতিক, অযৌক্তিক ও অমানবিক ট্যাক্স প্রত্যাহার করে যুক্তিসঙ্গত ন্যায্য হোল্ডিং ট্যাক্স নির্ধারণ করতে হবে।
বিএনপি নেতৃবৃন্দ বলেন, বিএনপির নেতৃত্বে সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো দেশের সাধারণ মানুষকে সাথে নিয়ে গণতন্ত্র, ভোটাধিকার ও বাকস্বাধীনতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা সহ লুটেরা সরকার নামক রেজিমের পদত্যাগের একদফা দাবীতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। দলমত নির্বিশেষে দেশের সকল মজলুম নাগরিকদের সাথে সিলেটবাসীকেও এই আন্দোলনে শামিল হতে হবে। এই রেজিমের হাত থেকে মুক্ত হতে পারলে সকল সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।