সংবাদ শিরোনাম
নিয়োগ প্রাপ্ত পাবলিক প্রসিকিউটর এড. ফয়েজকে প্রত্যাখ্যান করে সিলেট আইনজীবী ফোরামের প্রতিবাদ সমাবেশ  » «   তারেক রহমান আইনী ব্যবস্থার মাধ্যমে অচিরে দেশে ফিরে আসবেন”-এম এ মালেক  » «   আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী মারা গেছেন  » «   জাফলংয়ের ইসিএভুক্ত এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৭০০ নৌকাসহ বালু ও পাথর জব্দ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত  » «   সিলেটের দুই হোটেলের বিরুদ্ধে মালপত্র আটকে হয়রানির অভিযোগ যুক্তরাজ্য প্রবাসীর  » «   ওসমানীনগরে চিনি ভর্তি ট্রাক ছিনতাই চেষ্ঠাকালে ৬ জনকে আটক করেছে থানা পুলিশ   » «   কুলাউড়া সদর ইউপি চেয়ারম্যান নোমানের বিরুদ্ধেব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ  » «   ১৭ অক্টোবর সিলেট আসছেন বিএনপি যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালিক  » «   হাজার মানুষের ভালোবাসায় সিদ্ধ যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক  » «   শারদীয় দুর্গোৎসব শান্তি ও সমপ্রীতির বার্তা ছড়িয়ে দেয় আবু আহমদ ছিদ্দীকী এনডিসি  » «   দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাসে জনগণ ও সংশ্লিষ্টদের সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে-সিলেটের জেলা প্রশাসক  » «   আজ যুক্তরাজ্য থেকে দেশে আসছেন বিএনপির চেয়াপার্সনের উপদেষ্টা এমএ মালিক-স্বাগত জানাবেন নেতাকর্মীরা  » «   শারদীয় দুর্গাপূজায় বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ পরিদর্শনে সিলেট মহানগর কৃষক দলের নেতাকর্মীরা  » «   ইসলামী ছাত্র মজলিস সিলেট মহানগর, জেলা ও শাবিপ্রবি’র সহযোগী সদস্য সমাবেশ অনুষ্ঠিত  » «   বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মোক্তাদিরকে সিলেট মহানগর কৃষক দলের ফুলেল শুভেচ্ছা  » «  

ম্যাচ বাঁচানোর চ্যালেঞ্জে মাঠে বাংলাদেশ

1সিলেটপোস্ট রিপোর্ট : আগের দিন পেসার মোহাম্মদ শহীদের বলে আজহার আলির ক্যাচ গ্লাভসে নিতে গিয়ে ডান হাতের অনামিকায় ব্যথা পেয়ে সেই যে মাঠের বাইরে-বৃহস্পতিবার সারা দিন আর ফিল্ডিংয়ে নামেননি অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। নিয়মিত কিপারের বদলে দ্বিতীয় দিন শেষ ঘণ্টা থেকে উইকেটকিপারের ভূমিকায় ইমরুল কায়েস।

অনিয়মিত কিপারকে দিয়ে টেস্টে সারা দিন কিপিং করানোর অর্থ রাজ্যের ঝুঁকিতে থাকা। এটা এক ধরনের মাইনাস পয়েন্ট। তবু রক্ষা ইমরুল কোনো সহজ ক্যাচ ফেলেননি। তার হাতে কোনো ক্যাচ যায়নি। তার সঙ্গে যোগ হল নিয়মিত অধিনায়কের অনুপস্থিতি। দল পরিচালনা করেন সহঅধিনায়ক তামিম ইকবাল।

বোলার ব্যবহার, ফিল্ডিং সাজানো এবং ব্যাটসম্যানের মতি-গতি বুঝে কৌশল নির্ধারণের কাজটা কাল তাকেই সারতে হয়েছে। এটুকু শুনে হয়তো মনে হচ্ছে অধিনায়ক আর কিপার মুশফিকের মাঠে নামতে না পারাই বুঝি মূল সমস্যা।

আসলে তা নয়। মূল চিন্তার জায়গা অন্য। শেষ কথা হল-বাংলাদেশ এখন কঠিন চাপে। কাল তৃতীয় দিনের খেলা শেষে ২০৫ রানের বড়সড় লিড পেয়ে গেছে পাকিস্তান। বোলিংয়ে আজ সকালের সেশনে অতিনাটকীয় কিছু ঘটাতে না পারলে ব্যবধান বাড়বে আরও। পাকিস্তান আরও বড় ব্যবধানে এগিয়ে যাবে। কারণ তাদের ইনিংসের অর্ধেকটাই বাকি।

ক্রিজে দুই সেট ব্যাটসম্যান আসাদ শফিক (৫১) ও সরফরাজ আহমেদ (৫১)। কাজেই বাংলাদেশ এখন ম্যাচ বাঁচানোর চিন্তায় আচ্ছন্ন। এমন অবস্থায় অধিনায়ক ও উইকেটকিপার মুশফিকের চেয়ে যত চিন্তা ব্যাটসম্যান মুশফিককে নিয়ে। এখনকার পরিস্থিতিতে অধিনায়ক-কিপার মুশফিকের চেয়ে ব্যাটসম্যান মুশফিককেই বেশি দরকার।

শেষ খবর-বৃহস্পতিবার সারা দিন মাঠে নামতে না পারলেও খেলা শেষে অনেকটা সময় মাঠে দৌড়েছেন তিনি। টিম ম্যানেজমেন্ট জানিয়েছে-মুশফিক ৪৮ ঘণ্টার নিবিড় পর্যবেক্ষণে। তার ফোলা ও ব্যথা কমছে। দলের প্রয়োজনে শুক্রবার চতুর্থ দিন ব্যাট হাতে নামতে পারবে।তার আগের কাজটা বোলারদের।

পাকিস্তানিদের থামানোর দায়িত্বটা এখন রুবেল, শহীদ, সাকিব, তাইজুল ও শুভগতদের ওপর। গত দেড় দিন তারা ব্যর্থতার ঘানি টেনে মাত্র ৫ উইকেটের পতন ঘটিয়েছেন। বাংলাদেশের বোলারদের ব্যর্থতাটা প্রবল হয়েছে ট্রাম্পকার্ড সাকিব আল হাসান উইকেটশূন্য থাকায়। সাকিব কাল আরও ১৯ ওভার বল করেও উইকেট পাননি।

এ অলরাউন্ডারের বাজে দিনে উজ্জ্বল পাকিস্তানি ওপেনার মোহাম্মদ হাফিজ। দ্বিতীয় দিন শতরান করা হাফিজ কাল ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন। আর কেউ তিন অঙ্কে পৌঁছতে না পারলেও দ্বিতীয় উইকেটে হাফিজ ও আজহারের ২২৭ রানের বিশাল জুটিতেই ব্যাকফুটে বাংলাদেশ। আজহার ৮৩ রান করার পর শুভগত হোমের অফ স্পিনে বোল্ড হয়েছেন। সকালের প্রথম ঘণ্টায় ওই গুরুত্বপূর্ণ ব্রেক থ্রু এলেও তা কাজে লাগিয়ে আর পাকিস্তানিদের চাপে ফেলা যায়নি।

হাফিজ অনেকটা সময় একদিক আগলে রাখেন। আর দুই অভিজ্ঞ ও পরিণত পারফরমার ইউনুস খান (৩৩) এবং অধিনায়ক মিসবাহ (৫৯) লম্বা ইনিংস খেলতে না পারলেও রানের চাকা সচল রাখেন। দু’জনকেই আউট করেন তাইজুল।

সাড়ে সাত ঘণ্টার কিছু বেশি সময় ক্রিজে থেকে ৩৩২ বলে ২২৪ রান করার পর শুভগত হোমের বলে লেগ গালিতে ক্যাচ দেন হাফিজ। শেষ সেশনে অধিনায়ক মিসবাহ আউট হওয়ার পর উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান সরফরাজ হাত খুলে খেলে রানগতি বাড়িয়ে বসেন। শেষ ঘণ্টায় ষষ্ঠ উইকেটে আসাদের সঙ্গে অবিছিন্ন ৬৯ রানের মধ্যে ৫১-ই সরফরাজের। এ জুটি বিপজ্জনক হয়ে উঠলে বাংলাদেশ আরও চাপে পড়ে যাবে।

যদিও দিনশেষে শুভগত হোমের কণ্ঠে আশাবাদী সংলাপ-‘আমরা চেষ্টা করব পাকিস্তানের ইনিংসের শেষ ৫ উইকেট দ্রুত নেওয়ার জন্য।’ নিজ দলের ব্যাটিং শক্তির ওপর আস্থাটা বেশি শুভগতর। তাই এমন কথা-‘আমাদের ব্যাটিংটা ভালো। তাই আশা করছি ম্যাচ বাঁচানো সম্ভব।’

ওদিকে পাকিস্তানিরা জয়ের স্বপ্নে বিভোর। হাফিজ জানান-‘অন্তত ৩০০ রানে লিড নেওয়ার সর্বাত্মক চেষ্টা থাকবে। আর তা করা গেলে বাংলাদেশকে দ্বিতীয়বার অল আউট করার পর্যাপ্ত সময়ও মিলবে।’

এখন কোন পক্ষের আশা পূরণ হয়-শুক্রবার ম্যাচের চতুর্থ দিন মিলবে তার উত্তর।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়াার করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Developed by:

.