বিজনেস ডেস্ক, সিলেটপোস্ট২৪ডটকম : সিলেট থেকে পান, কচু ও সুপারি রফতানি শুরু হতে যাচ্ছে। আগামী ১ জুলাই থেকে পান রফতানি শুরু হবে। সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি ও রফতারি উন্নয়ন ব্যুরো আয়োজিত সেমিনারে এ তথ্য জানানো হয়। সিলেট চেম্বার কনফারেন্স হলে Rules of Origin for GSP, SAFTA, APTA, KPT and BIMSTEC : and their application শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা সিলেট থেকে রফতানি বৃদ্ধির উপর জোর দিয়ে বিমানের ভাড়া হ্রাস, শেওলা, তামাবিল শুল্ক স্টেশন ও ওসমানী বিমানবন্দরে ওয়্যার হাউস নির্মান, প্যারা ট্যারিফ ও নন ট্যারিফ প্রতিবন্ধকতা দূর, কৃষিজাত যন্ত্র রফতানির ক্ষেত্রে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বা শাহ্জালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা প্রতিবেদনকে স্বীকৃতি প্রদান, বাংলাদেশ থেকে পান, কচু, সুপারী ইত্যাদি পণ্য রফতানিতে জটিলতা দূরীকরণ ও মনিপুরী উদ্যোক্তাদের পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে প্রণোদনা প্রদানসহ বিভিন্ন দাবি উত্থাপন করেন।
সিলেট চেম্বারের সভাপতি সালাহ উদ্দিন আলী আহমদের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, রফতানি খাতের উন্নয়নে শুধু সরকারের উপর নির্ভরশীল হলে চলবেনা, এ ব্যাপারে বেসরকারী খাতের রফতানিকারকদেরকে এগিয়ে আসতে হবে। রফতানি খাত বাংলাদেশের বৈদেশিক মূদ্রা আয়ের অন্যতম প্রধান খাত। বাংলাদেশ সরকার এ খাতের উন্নয়নে যথেষ্ট কাজ করে যাচ্ছে। যার মধ্যে কৃষিজাত ও অন্যান্য পণ্য রফতানির বিপরীতে নগদ ইনসেনটিভ প্রদান অন্যতম।
সেমিনারে আলোচ্যসূচির উপর বক্তব্যে রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো পরিচালক আবদুল মঈন। জিএসপি, সাফটাসহ অন্যান্য চুক্তির উপর আলোচনা করেন। ব্যবসায়ীদের দাবির প্রেক্ষিতে তিনি জানান, আগামী ১ জুলাই থেকে বাংলাদেশ থেকে পান রফতানিতে আর কোন বাঁধা থাকবেনা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ভারতে বাংলাদেশি পণ্যের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। কিন্তু কিছুু নীতিগত অসুবিধার কারণে চাহিদা অনুযায়ী সেদেশের রফতানি করা যাচ্ছে না। এ ব্যাপারে ভারতের অঙ্গরাজ্যগুলোর স্থানীয় প্রশাসনের একাধিকবার আলাপ-আলোচনা হয়েছে। আমাদের মত তাদেরও কিছু নীতিগত সীমাবদ্ধতা রয়েছে, যা কাটিয়ে উঠার জন্য দুদেশের পক্ষ থেকেই প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।
সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিলেট চেম্বারের সিনিয়র সহ সভাপতি মো. মামুন কিবরিয়া সুমন, রফতানি সাব কমিটির আহবায়ক মো. হিজকিল গুলজার, রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো, সিলেটের উপ-পরিচালক মো. আলতাফ হোসেন ভূঁইয়া, কাস্টম্স এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট সিলেটের সহকারী কমিশনার ওমর মবিন, বিসিকের উপ-মহাব্যবস্থাপক একেএম আবদুল হাই প্রমুখ।