ডেস্ক রিপোর্ট : চাহিদামতো কিছু বিভাগে ডাক্তার পাওয়া গেলেও এখনও অর্থোপেডিক, এনেস্থিসিয়াসহ বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের অভাব রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ১৮তম প্রতিষ্ঠাদিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডা. মিলন হলে আয়োজিত আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘এখনও মেডিকেল কলেজের জন্য শিক্ষক খুঁজে পাই না। গাইনি ডাক্তার পেলেও অর্থোপেডিক ডাক্তার পাই না। এনেস্থিসিয়ারও পর্যাপ্ত ডাক্তারের অভাব রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে আমরা কীভাবে আমাদের লক্ষ্য অর্জন করবো?’
শহরের অনেক হাসপাতালে চাহিদার চেয়ে বেশি ডাক্তার থাকলেও গ্রামে কাঙ্খিত পরিমাণ ডাক্তার পাওয়া যায় না। একথা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘সকল চিকিৎসকেরাই যদি মনে করে শহরে থাকবো, তাহলে গ্রামের মানুষ কীভাবে চিকিৎসা পাবে?’
তিনি বলেন, ‘আমরা নতুন নীতিমালা করে যার যার এলাকাতে নিয়োগ দিয়ে ৬ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দিয়েছি। এই নীতিমালার ফলে এখন গ্রামে মোটামুটি ডাক্তার রয়েছে। অনেক নেতারা এসব ডাক্তারদের জন্য তদবির করলেও কাজ হয়নি। তাদেরকে বাধ্যতামূলকভাবেই গ্রামে রাখা হয়েছে।’
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় একটি সত্যিকারের চিকিৎসাকেন্দ্র হিসেবে গড়ে ওঠবে, যা দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে অন্যতম হিসেবে পরিচিত হবে। তাহলেই এই বিশ্ববিদ্যালয় দিবস স্বার্থক হবে বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
‘খালেদা আমাদের বাঁচিয়ে দিয়েছেন’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন বর্জন করেও বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা যে পরিমাণ ভোট পেয়েছে, তাতে মনে হচ্ছে নির্বাচন বর্জন করে খালেদা আমাদের বাঁচিয়ে দিয়েছেন। কারণ, ১২টা পর্যন্ত যে পরিমাণ ভোট পেয়েছে, পুরোপুরি নির্বাচন করলে না জানি কি অবস্থা হতো?’
‘নির্বাচনের মাঠে গেছেন তাহলে আবার মাঠ থেকে পালিয়ে গেছেন কেন?’ বিএনপির প্রতি এমন প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ‘পালিয়ে যাওয়া বিএনপির স্বভাব। তারা আন্দোলনেও ব্যর্থ, নির্বাচনেও ব্যর্থ।’
‘নির্বাচনের দিন পাহাড়ায় থাকবে, ভোটে কারচুপি হলে রক্তের বন্যা বয়ে যাবে’ নির্বাচনের আগে এমাজউদ্দিনের এমন বক্তব্যের প্রেক্ষিতে নাসিম বলেন, ‘ভোটের দিন তাদেরকে বাটি চালান দিয়েও খুঁজে পাওয়া যায়নি।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা এমন রাজনীতি করেছেন যে, খালেদাকে তার অধীনেই নির্বাচনে এনেছেন এবং খালেদাকে দিয়ে দোকানে দোকানে লিফলেট বিতরণ করিয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘আমি রাতের বেলায় মাঠে ঘুরে ঘুরে বুঝেছি, বেগম জিয়ার দল অনেক সিরিয়াসলি নির্বাচনে নেমেছিল। বিএনপির লোকজন নীরব বিপ্লব ঘটাতে চেয়েছিলো। কিন্তু খালেদা ভোট বর্জন করে বিপ্লব বন্ধ করে দিলো। ভোট বর্জন করলেও কখন বর্জন করতে হবে সেটাও বিএনপি জানে না।’
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সদস্য আ ফ ম রুহুল হক, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান প্রমুখ।