নিজস্ব প্রতিবেদক : বালাগঞ্জে চলতি মৌসুমে ৪ হাজার হেক্টর জমিতে আউশ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রান্তিক কৃষকদের মধ্যে উপজেলা কৃষি অফিস ইতোমধ্যে বিনামূল্যে বীজ, রাসায়নিক সার বিতরণ এবং সেচ ও আগাছা দমনে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান শুরু করেছে। আউশের ভাল ফলন উৎপাদনের জন্য সংশ্লিষ্ট কৃষকদের সার্বিক সহযোগিতা দিতে স্থানীয় মাঠকর্মীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ড. মো. হাসানুল কবির কামালী জানিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আউশ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে তাজপুর ইউনিয়নে ৪শ’ ৫০ হেক্টর। অপরদিকে সবচেয়ে কম আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১শ’ ২০ হেক্টর করে পশ্চিম পৈলনপুর এবং পশ্চিম গৌরীপুর ইউনিয়নে। এছাড়া অন্যান্য ইউনিয়নের মধ্যে উমরপুর ইউনিয়নে ৩শ’ হেক্টর, সাদিপুর ইউনিয়নে ১শ’ ৮০, পূর্ব পৈলনপুর ইউনিয়নে ১শ’ ৪০, বোয়ালজুড় ইউনিয়নে ৪শ’ ৩০, বুরুঙ্গাবাজার ইউনিয়নে ৩শ’ ৪০, গোয়ালাবাজার ইউনিয়নে ৩শ’ ৮০, দয়ামীর ইউনিয়নে ৪শ’, উছমানপুর ইউনিয়নে ৩শ’ ৭০, দেওয়ানবাজার ইউনিয়নে ৩শ’ ৬০, বালাগঞ্জ ১শ’ ৮০ এবং পূর্ব গৌরীপুর ২শ’ ৩০ হেক্টর। সুনির্দিষ্ট তালিকা না থাকলেও উপজেলায় আউশ চাষাবাদের সাথে প্রায় ১৪/১৫ হাজার কৃষক জড়িত রয়েছেন বলে জানা গেছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ড. মো. হাসানুল কবির কামালী জানান, চলতি মৌসুমে উপজেলার ৭শ’ ৮৫ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক আউশ চাষীকে বিনামূল্যে বীজ, রাসায়নিক সার প্রদান এবং সেচ ও আগাছা দমনের জন্য আর্থিক প্রণোদনা প্রদান করা হবে। উফশী আউশ ও উন্নত নেরিকা জাতের এসব আউশ চাষীদের প্রতিজনকে ২০ কেজি ইউরিয়া, ১০ কেজি করে ডিএপি ও এমওপি মোট ৪০ কেজি সার প্রদান করা হচ্ছে। এছাড়া সেচ ও আগাছা দমনে সহায়তা হিসেবে উফশী জাতের ৭শ’ ৫০ জন আউশ চাষীর প্রতিজনকে সেচ বাবদ নগদ ৪শ’ টাকা এবং নেরিকা জাতের ৩৫ জন আউশ চাষীকে সেচ ও আগাছা দমন বাবদ নগদ ৮শ’ টাকা করে অর্থ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। উফশী চাষীদের প্রতিজনকে বীজ দেওয়া হচ্ছে ৫ কেজি এবং নেরিকা চাষীদের দেওয়া হচ্ছে ১০ কেজি।