সিলেটপোস্ট রিপোর্ট : বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টুর মরদেহে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
সোমবার সকাল ১১টা ৩৭ মিনিটে বেগম জিয়া নয়াপল্টনে এসে পৌঁছান। এরপর পিন্টুর কফিনে ফুল দেন তিনি। এ সময় কফিনের পাশে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন চেয়ারপারসন।
সাবেক এই ছাত্রদল সভাপতির মরদেহ সকাল সাড়ে ১০টায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় আনা হয়েছে। শেষবারের মতো ফুলেল শ্রদ্ধা জানাতে সকাল ১০টা থেকে নয়াপল্টনে আসতে শুরু করেন দলের নেতাকর্মীরা। এর আগে রাজশাহী থেকে সোমবার ভোর সাড়ে ৫টায় পুরান ঢাকার হাজারীবাগ থানাধীন মনেশ্বর রোডের পিন্টুর বাসায় তার মরদেহ নিয়ে আসা হয়।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে রবিবার দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে কর্তব্যরত ডাক্তার পিন্টুকে মৃত ঘোষণা করেন।
পিন্টুর স্ত্রী-পরিজন, বিএনপি ও দলের চেয়ারপারসনের অভিযোগ, ‘চিকিৎসায় অবহেলা করে পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে রাজশাহীতে নেওয়া হয়।’
পিন্টুর স্ত্রী নাসিমা আক্তার কল্পনা লালবাগের নিজ বাসায় রোববার বিকেল সাড়ে ৪টায় উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ করেন, ‘হাইকোর্টের নির্দেশনা ছিল, পিন্টুকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসা দেওয়া। আমরা আদালতের ওই নির্দেশনার কাগজ আইজি প্রিজনের কাছে দিলেও তাকে রাজশাহী নিয়ে যাওয়া হয়।’
তবে এ সব অভিযোগ ভিত্তিহীন উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ‘বিএনপি নেতা নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টুর চিকিৎসায় কোনো গাফিলতি ছিল না। এটা নিয়ে কেউ কোনো রাজনৈতিক বক্তব্য দিলে তা হবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ভিত্তিহীন।’ রোববার ঢাকা রেঞ্জের ত্রৈমাসিক ক্রাইম কনফারেন্স শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘কারা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। পিন্টু হার্ট এ্র্যাটাকে মারা গেছেন। তাকে কারাগার থেকে রাজশাহী মেডিকেলে নেওয়া হলে সেখানে ডাক্তাররা মৃত ঘোষণা করেন।’
পিলখানা হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত নাসির উদ্দিন পিন্টুকে ২০ এপ্রিল রাত ১১টা ৪০ মিনিটে নারায়ণগঞ্জ কারাগার থেকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয়।
নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টুর বিরুদ্ধে পিলখানা হত্যা মামলাসহ দুর্নীতি ও ভাংচুরের সাতটি মামলা রয়েছে।
সাত মামলার মধ্যে পিলখানা হত্যা মামলায় ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর রাজধানীর লালবাগে অবস্থিত আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত বিশেষ ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ড. মো. আখতারুজ্জামান পিন্টুকে যাবজ্জীবন দণ্ড দেন।
পিন্টুর আইনজীবী সৈয়েদ জয়নুল আবেদীন মেজবা রোববার দুপুরে বলেন, তার (পিন্টুর) বিরুদ্ধে সাতটি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে পিলখানা হত্যা মামলায় সাজা হয়েছে। বাকি ছয়টি হাইকোর্টে স্থগিত রয়েছে।