সিলেটপোস্ট রিপোর্ট : ছয় ম্যাচের (তিনটি ওডিআই, একটি টি ২০ ও দুটি টেস্ট) সিরিজ ৫-০। ফলটা দেখে কতই না আনন্দিত হবে বাংলাদেশ। আজ শুরু হওয়া পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের ফল স্বাগতিকদের অনুকূলে এলে পরিস্থিতি এমনই হবে। পাকিস্তানকে প্রায় ২ কোটি ৬০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়ে সিরিজটা আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সিরিজ শেষ হয়ে এসেছে। বিসিবি এখন বলতেই পারে, আমরা সফল। ওয়ানডে সিরিজে ৩-০, টি ২০-তে ১-০, শেষ টেস্ট জিতলে হবে ১-০। তিন ফরম্যাটের সিরিজই হবে বাংলাদেশের।
২০০৭ সালে মিরপুর স্টেডিয়ামে টেস্ট অভিষেক হওয়ার পর আজ এই ভেন্যুতে ১৩তম টেস্টে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। সিরিজ শুরুর আগে পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের রেকর্ড বারবার সামনে চলে এসেছে। কিন্তু সিরিজ শুরু হওয়ার পর সেসব রেকর্ড তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়ে নতুন বিশ্বরেকর্ডের জন্ম দিয়েছে আত্মপ্রত্যয়ী বাংলাদেশ। খুলনায় প্রথম টেস্টে ইমরুল কায়েস ও তামিম ইকবালের ৩১২ রানের বিশ্বরেকর্ড জুটিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথমবার ড্র করেছে টাইগাররা। দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ জয় পেলেই সেটা হবে মুশফিকুরদের জন্য আরেকটি প্রথম। কাল মুশফিক জানালেন, লক্ষ্য অবশ্যই জয়। জয়ের জন্য যা যা করা দরকার, আমরা সবই করব। জয়ের জন্য সবাই কষ্ট করছে। মুশফিকের লক্ষ্য পাকিস্তানকে জয়শূন্য রেখে ফেরানো।
উইকেটে সামান্য ঘাস আছে। দুদলের অধিনায়কই জানালেন, পেসার যেমন, তেমনি স্পিনাররাও এই উইকেট থেকে সুবিধা পেতে পারেন। মিরপুরে এর আগে ১২ টেস্টের সবকটিতেই ফল হয়েছে। এবারও ফলের আশা করছেন দুই অধিনায়ক। মঙ্গলবার ইনডোরে যেতে হঠাৎ মিডিয়াকর্মীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা। নেটে তখন নিজেদের ঝালিয়ে নিচ্ছেন মুশফিকরা। পরে জানা গেল কারণটা। অবশ্য তা কিছু গোপন করার জন্য নয়। বাংলাদেশ দলের ইনজুরির কথা প্রায় সবাই জেনে গেছেন। আঙুলে চোট মুশফিকের, ইনজুরির কারণে দল থেকে ছিটকে যেতে হয়েছে রুবেল হোসেনকে। প্রথম টেস্টে তামিম ইকবালের পায়ে বল লেগেছিল। সেখানে এখনও ব্যথা রয়েছে। কাল দুপুরে উইকেটের পেছনে মুশফিকুর, স্লিপে মাহমুদউল্লাহ, সৌম্য সরকার ও ইমরুল কায়েসকে নিয়ে ক্যাচ অনুশীলন করালেন কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। তবে মুশফিককে উইকেটের পেছনে দাঁড়ানো দেখে এটা ভাবার কারণ নেই যে, আজ তিনি কিপিং করবেন। গ্লাভস কার হাতে উঠবে তা এখনও স্পষ্ট হয়নি। আগের ম্যাচে ইমরুল কায়েস কিপিং করেছিলেন। মুশফিক কিপিং না করলে আজ অভিষেক হতে পারে লিটন কুমার দাসের। লিটন সুযোগ পেলে সৌম্যকে বাদ পড়তে হবে। দ্বিতীয় টেস্টেও তিন পেসার নিয়ে মাঠে নামতে পারে বাংলাদেশ। রুবেলের জায়গায় খেলবেন শাহাদাত হোসেন। মোহাম্মদ শহীদের সঙ্গে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে আবুল হাসানের। শুভাগত হোমের জায়গায় ফিরতে পারেন জুবায়ের হোসেন। ওপেনিংয়ে তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েসের ব্যাটিং এখন আরও বেশি আত্মবিশ্বাসী করেছে মুশফিকদের। প্রথম টেস্টের বোলিং নিয়ে খুশি হতে পারেননি অধিনায়ক মুশফিক। দ্বিতীয় টেস্টে একজন পেসার বা স্পিনার বেশি নিয়ে খেলবে স্বাগতিকরা। সেরা স্পিনার সাকিব আল হাসানের ফর্মে ফেরার অপেক্ষায় আছেন টাইগার অধিনায়ক।
এদিকে পাকিস্তান একটি জয় নিয়ে দেশে ফিরতে মরিয়া। খুলনা থেকে ফিরে টানা দুদিন অনুশীলন করেছে তারা। সাঈদ আজমলকে মাঠের বাইরে রেখে একাদশ সাজাতে পারে পাকিস্তান। সিরিজের এই পর্যায়ে দুদলের কাউকেই ফেভারিট মনে করছেন না মিসবাহ। সিরিজ জয়ের জন্য দুদলের সমান সুযোগ দেখছেন তিনি। মুশফিক বলেন, সিরিজে এখন কাউকেই ফেভারিট বলা যাচ্ছে না। দুদলেরই সুযোগ রয়েছে। যারা ভালো করবে, তারাই ম্যাচ জিতবে।