সিলেটপোস্ট রিপোর্ট : আবেদনকারীদের হয়রানী ও অসদাচরণ বন্ধের দাবীতে বৃহত্তর সিলেট গণদাবী পরিষদ (তৃণমূল) কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে শনিবার দুপুরে নগরীর দক্ষিণ সুরমার আলমপুরস্থ সিলেট বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসে বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এনএম জিয়াউল আলম এর হাতে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে- বৃহত্তর সিলেটের জনসাধারণ পাসপোর্ট করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হচ্ছেন। ট্রেভেলস ও দালালদের মাধ্যমে ফাইল জমা দিলে সে ফাইলে ভুল থাকলেও তা জমা নেয়া হয়। কিন্তু আবেদনকারী নিজে নির্ভুলভাবে ফরম পূরণ করে জমা করতে চাইলে অযথা ভুল বের করে ফাইল গ্রহণ না করায় আবেদনকারী উপায়ন্তর না পেয়ে বাড়তি টাকা দিয়ে দালালের মাধ্যমে ফাইল জমা দেন। কখনও কোন আবেদনকারীর ফাইল জমা নিলেও পুলিশ রিপোর্ট ও ঢাকায় পাসপোর্ট প্রিন্টের জন্য পাঠাতে অনেক দেরী করে। ফলে ২/৩ মাস সময় চলে যায়। অনুসন্ধান শাখায় টাকা ছাড়া কোন তথ্য জানা যায় না। সিলেট জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আসা জনগণকে ২/৩ দিন লাইনে দাড়িয়ে ফাইল জমা দিতে হয়। ফাইল জমা নেয়ার সময় প্রদানকৃত রসিদে ডেলিভারির তারিখ উল্লেখ থাকলেও সেই তারিখে পাসপোর্ট পাওয়া যায় না এবং গ্রাহকের মোবাইল ফোনে কোনরূপ ডেলিভারী ম্যাসেজ পাঠানো হয় না। পাসপোর্ট দেরিতে পাওয়ায় অনেকের ভিসার মেয়াদ পর্যন্ত ফুরিয়ে যায়। একই ধরনের অভিযোগ রয়েছে সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ পাসপোর্ট অফিসের বিরুদ্ধে। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত কয়েক শ’ পাসপোর্ট ফরম জমা দেয়া যায়; কিন্তু কর্তৃপক্ষের অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে শ’খানেক ফাইলও জমা নেয়া হয় না। এ বিষয়ে পরিচালকের নিকট অভিযোগ দেয়ার চেষ্টা করলে পিয়নরা কোন অবস্থাতেই সে সুযোগ দেয় না।
স্মারকলিপিতে আরো উল্লেখ করা হয়, ট্রেভেলস অথবা দালালদের মাধ্যমে ফাইল জমা দিলে যথাসময়ে পাসপোর্ট পাওয়া যায়। আর তা না করা হলে পাসপোর্ট পেতে অনেক দেরি হয়, এতে ভিসার মেয়াদ পর্যন্ত চলে যায়। পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তাদের এ সকল আচরণ দেখে মনে হয়, এটা কোন সরকারি অফিস নয়, এটা একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এছাড়াও প্রবাসী অধ্যুষিত সিলেটিরা বিভিন্ন দেশে এমআরপি পাসপোর্টের জন্য বিভিন্ন প্রকার হয়রানির শিকার হচ্ছেন এবং পাসপোর্ট পেতে বিলম্ব হওয়াতে তারা নতুন ভিসা, একামা ও দেশে টাকা পাঠাতে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। এ সকল সমস্যা সমাধানের জন্য মহাপরিচালক বরাবরে স্মারকলিপিতে জোর দাবি জানানো হয়।
স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের আহবায়ক আখলাক আহমদ চৌধুরী, কেন্দ্রিয় সদস্য সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মহিউদ্দিন আহমদ, কেন্দ্রিয় সহ-সভাপতি মো. ইয়াওর বক্ত চৌধুরী, সাংবাদিক চৌধুরী দেলোওয়ার হোসেন জিলন, কেন্দ্রিয় নেতা এমএ জলিল, জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুরাদ আহমদ, কেন্দ্রিয় সদস্য নূরুদ্দীন রাসেল, মো. হেলাল আহমদ, আছমা বেগম, উদয় জুয়েল, স্বর্ণালী দিন ডটকমের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক তাওহীদ হোসেন রাসেল, আবদুল খালিক, আজমল আহমদ রুমন, শিপন আহমদ, হাসান বখত চৌধুরী কাওছার, সাদেকুর রহমান মিছবাহ, সৈয়দ শরীফ আহমদ, শিরিন আক্তার, সিটি কাউন্সিলর শামীমা স্বাধীন প্রমুখ।