সংবাদ শিরোনাম
সাবেক এমপি মানিকের চাচাত ভাই আলোচিত ইউপি চেয়ারম্যান বিল্লাল গ্রেফতার  » «   সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে পুলিশের অভিযান  » «   মাংস থেকে তীব্র দুর্গন্ধ, তোপের মুখে সিলেটের সুলতান’স ডাইন(ভিডিও সহ)  » «   গোয়াইনঘাটে মুজিব নামের এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ  » «   পুলিশে এবার আসছে উপপরিদর্শক (এসআই) নিয়োগেরও বড় বিজ্ঞপ্তি  » «   ৪,২০০ কনস্টেবল নিয়োগ,সিলেট সহ ৬৪ জেলায় কত জন শূন্য পদে নিয়োগ নেওয়া হবে  » «   ধর্মপাশায় আশ্রায়ণ প্রকল্পের ঘরে আগুনে একই পরিবারের ছয়জনের মৃত্যু  » «   গোয়াইনঘাটে সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ  » «   সিলেটের স্ট্রাইকার্সের মালিকানা জোর করে লিখিয়ে নেয়ার অভিযোগে মাশরাফির বিরুদ্ধে মামলা  » «   কানাডা থেকে দেশে ফিরেই আটক সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ  » «   ছাতকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীর সাথে অশোভন আচরণে অভিযোগ  » «   অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে ঢাকায় পৌঁছেছেন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস  » «   শিক্ষা ক্ষেত্রে অতীতের নৈরাজ্য বন্ধ করতে হবে : কাইয়ুম চৌধুরী  » «   ন্যায় বিচার ও সমাজ সংস্কারে নবীন আইনজীবীরা ভূমিকা রাখতে হবে-এ.কিউ.এম. নাছির উদ্দীন  » «   এবার অপসারিত হলেন সিলেট জেলা পরিষদের ১৮জন সদস্য  » «  

মা বন্দনা : ‘কেমন আছিস, কিছু হয়নি তো খোকা’

2নিজস্ব প্রতিবেদক : বিশ্ব মা দিবসে ভার্চূয়াল ভূবণেও চলছে ‘মা’ বন্দনা। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিশেষ করে ফেসবুকে স্মৃতিচারণ থেকে শুরু করে মায়ের প্রতি ভালোবাসা জানাচ্ছেন অকৃত্রিম ভাবে। মা কেমন ছিলেন, কেমন আছেন এসকল প্রশ্নের পাশাপাশি চলছে মায়ের জন্য শুভ কামনা। কেউবা আবার নিজেরাই মা হওয়ার পর সন্তানদের নিয়ে স্ট্যাটাস দিচ্ছেন। সিলেটপোস্টের পাঠকদের জন্য ‘মা বন্দনা’র কিছু স্ট্যাটাস হুবহু তুলে দেওয়া হলো।

Ripon Miah লিখেছেন-মা, তুমি কেমন আছ? যদিও দিনে ২/৩ বার তোমার সাথে কথা হয় কিন্তু আমি তৃপ্তনা। খুব মনে পড়ে যদি আমি একটু অসুস্থ হই। আমি অবাক হই ঐ সময়টাতেই তুমি ফোন করে বল, বাবা তোমার শরিলটা ভালতো? কি করে বুজতেপার তা তুমিই জান। এই জন্যই তো বলে, বিদেশে- বিবাকে যার সন্তান মারা যায়। পাড়া-পড়শি জানার আগে, জানে তার মায়।

MD Abul Kashem লিখেছেন-মা, আম্মা, মাম্মি যে নামেই ডাকা হোক না কেন মায়ের মতো এতো মধুর ডাক আর কিই বা হতে পারে? তাছাড়া পৃথিবীতে মায়ের মতো আপনই বা কে হতে পারে? সেই মাকে স্মরণ করতেই প্রতি বছর পালিত হয় বিশ্ব মা দিবস বা ‘মাদারস ডে’। আজ ১০ মে বিশ্ব মা দিবস।

১৯১৪ খ্রিস্টাব্দের ৮ মে মার্কিন কংগ্রেসে মে মাসের দ্বিতীয় রোববারকে “মা দিবস” হিসেবে উদযাপনের ঘোষণা দেয়া হয়। আর তখন থেকেই এই দিনে সারা বিশ্বব্যাপী পালিত হচ্ছে মা দিবস। বিশ্বের প্রায় ৪৬টি দেশে প্রতিবছর দিবসটি পালিত হয়। কথিত আছে, ব্রিটেনেই প্রথম শুরু হয় মা দিবস পালনের রেওয়াজ, কেননা সেখানে প্রতিবছর মে মাসের চতুর্থ রবিবারকে মাদারিং সানডে হিসেবে পালন করা হতো।

তবে সতের শতকে মা দিবস উদযাপনের সূত্রপাত ঘটান মার্কিন সমাজকর্মী জুলিয়া ওয়ার্টস মায়ের সঙ্গে সময় দেয়া আর মায়ের জন্য উপহার কেনা ছিল তার দিনটির কর্মসূচিতে।
তবে এর পূর্বে যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম ভার্জিনিয়াতে প্রথম মা দিবস পালন করা হয় ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দের ২ জুনে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট উড্রো উহলসন সর্বপ্রথম মা দিবসকে সরকারি ছুটির দিন হিসেবে ঘোষণা করেন।

আজ আমাদের মা দিবস। মা দিবসের মূল উদ্দেশ্য, মাকে যথাযথ সম্মান দেওয়া। যে মা জন্ম দিয়েছেন, লালন-পালন করেছেন, তাঁকে শ্রদ্ধা দেখানোর জন্য দিনটি পালন করা হয়।
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ভিন্ন ভিন্ন তারিখে দিনটি পালন করা হয়। ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় রোববার নরওয়েতে, মার্চের চতুর্থ রোববার আয়ারল্যান্ড, নাইজেরিয়া ও যুক্তরাজ্যে। আর বাংলাদেশে মে মাসের দ্বিতীয় রোববার।

মা দিবসের প্রবক্তা আনা জার্ভিস দিবসটির বাণিজ্যিকীকরণের বিরোধিতা করে বলেছিলেন, মাকে কার্ড দিয়ে শুভেচ্ছা জানানোর অর্থ হলো, তাঁকে দুই কলম লেখার সময় হয় না। চকলেট উপহার দেওয়ার অর্থ হলো, তা নিজেই খেয়ে ফেলা।

আনা জার্ভিস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোর ও ওহাইওর মাঝামাঝি ওয়েবস্টার জংশন এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। তাঁর মা অ্যান মেরি রিভস জার্ভিস সারা জীবন ব্যয় করেন অনাথ-আতুরের সেবায়। মেরি ১৯০৫ সালে মারা যান। লোকচক্ষুর অগোচরে কাজ করা মেরিকে সম্মান দিতে চাইলেন মেয়ে আনা জার্ভিস। অ্যান মেরি রিভস জার্ভিসের মতো দেশজুড়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা সব মাকে স্বীকৃতি দিতে আনা জার্ভিস প্রচার শুরু করেন। সাত বছরের চেষ্টায় মা দিবস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পায়।

প্রতি বছর মে মাসের দ্বিতীয় রোববার বিশ্ব মা দিবস পালিত হয়৷ নানা সূত্র থেকে জানা গেছে, প্রথম মা দিবস উদযাপন শুরু হয় গ্রিসে৷ গ্রিকরা তাদের মাতা-দেবি ‘রেয়া’র নামে পূজা করত৷ ১৯১৪ সালে অ্যামেরিকান কংগ্রেস মা দিবসকে সরকারিভাবে পালনের অনুমতি দেয়৷ তারপর থেকেই বিভিন্ন দেশে মা দিবস উদযাপন শুরু হয়৷

জার্মানিতে ‘মা’ দিবসে মা’কে কোনো কাজ করতে দেয়া হয় না৷ বাবাসহ বাচ্চারা সকালের নাস্তা তৈরি করে মায়ের জন্য উপহার সহ টেবিলে সাজিয়ে রাখে৷ সঙ্গে অবশ্যই থাকে ফুল৷ পরে মাকে নিয়ে যাওয়া হয় কোনো রেস্তোরাঁয়৷ তবে সব পরিবারেই যে এমনটা হয় তা কিন্তু নয়৷

পৃথিবীতে সবচেয়ে মধুর এবং প্রিয় শব্দ ‘মা’৷ তবে কারো কারো প্রশ্ন মা’কে ভালোবাসা দেখানোর জন্য ঘটা করে ‘মা দিবস’ পালন করার কি তেমন কোনো প্রয়োজন আছে? কেউ মনে করেন প্রয়োজন নেই, আবার অনেকের মতে উপহার দিয়ে একটি বিশেষ দিনে মা’কে ভালোবাসা দেখানোর পরিকল্পনাটা খারাপ না৷

‘মা’ দিবস আসার আগে থেকেই জার্মানিতে একেবারে ছোট বেলা অর্থাৎ কিন্ডারগার্টেনের বাচ্চাদের মায়েদের জন্য নিজ হাতে কিছু না কিছু উপহার তৈরি করতে হয় বা ছবি আঁকতে হয়৷ একটু বড় বাচ্চারা কেউ কেউ আগে থেকেই নিজেদের হাত খরচ থেকে মায়ের জন্য উপহার কিনতে কিছু পয়সা জমিয়ে রাখে৷

জার্মানিতে মা দিবস উদযাপন শুরু হয় ১৯২২ সাল থেকে৷ জার্মান মা’দের, বিশেষ করে বয়স্ক মায়েদের প্রায়ই বলতে শোনা যায় শুধু বিশেষ দিনে নয়, তাঁদের সন্তানরা যেন সময় সুযোগ পেলেই মায়েদের সাথে যোগাযোগ রাখে, মায়ের কথা মনে করে৷
মা দিবস উপলক্ষ্যে প্রতি বছরই কিছু না কিছু নতুন জিনিস বাজারে আসে৷ ফুলের ব্যবসা দারুণ জমজমাট হয়ে ওঠে৷ কত ভাবেই না সাজানো ফুল পাওয়া যায় এই দিনে৷ অন্যান্য উপহারের সাথে প্রিয় মায়ের জন্য এক গুচ্ছ ফুল সব ছেলে-মেয়ের হাতেই যেন থাকে৷

প্রতিবছরই তারিখের একটু এদিক সেদিক হলেও বারটি থাকে রবিবার অর্থাৎ বিশ্বের অন্যান্য দেশে ছুটির দিন৷ ফলে অনেক সন্তান কাছে এসে তাদের প্রিয় মা’কে ভালোবাসা জানাতে পারে৷ অনেক বৃদ্ধা মা শুধুমাত্র এই দিনটির জন্য সারা বছর অপেক্ষাও করে থাকেন, বিশেষ করে যাঁরা বৃদ্ধাশ্রমে থাকেন৷

জার্মানিতে বিদেশিদের মধ্যে তুর্কি বংশোদ্ভূত পরিবারের সংখ্যা সবচয়ে বেশি৷ তাছাড়া তারা উপমহাদেশের পরিবারগুলোর মতো একসাথে মিলেমিশে থাকতেই পছন্দ করে, যে-কোনো উপলক্ষ্যে তো অবশ্যই৷ তাই ‘মা’ দিবসও এর ব্যতিক্রম নয়৷

মানুষ যখন ভয় পায়, অসুস্থ হয়, কোনো সমস্যা বা বিপদে পড়ে তখন তারা মায়ের কাছেই ভয়ার্ত শিশুর মতোই আশ্রয় খোঁজে, আকড়ে ধরে৷ মাকেই তখন পৃথিবীর সবচেয়ে নিরাপদ আশ্রয় বলে মনে হয়৷ আর তা যে-কোনো দেশের সন্তান এবং মায়ের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য৷
দিবসটি উদযাপনে তারিখের তারতম্য বা প্রথম কোন দেশ থেকে এই দিবসটির উৎপত্তি এ নিয়ে মতভেদ থাকলেও মায়ের জন্য একটি বিশেষ দিন বরাদ্দ থাকায় তা সবার জন্যই আনন্দ দায়ক। মাকে ভালোবাসার জন্য একটি দিন থাকা মানে তা ঐশ্বরিক ভালোবাসার দিন। কারণ মা নিজেই ঐশ্বরিক একটি বিষয়। মানুষ সৃষ্টিকর্তাকে দেখতে পায় না, কিন্তু তার জন্মদাত্রী মাকে সে দেখতে পায়। মায়ের আদর, স্নেহ, ভালোবাসায় একটি শিশু পূর্ণতা পায়। তাই মায়ের কোলই হয়ে ওঠে প্রতিটি মানুষের সবচেয়ে প্রিয় আশ্রয়স্থল।

Papree Rahman লিখেছেন-একদিন আমি ছিলাম অনেক অনেক আহলাদ ও আদরের মেয়ে, আমার বাবা, মা ও পরিবারের সকলের। আজও আমি অনেক আদরেই রয়ে গিয়েছি– আমার দুই কন্যা আমাকে ঠিক আমার বাবা ও মায়ের মতোই আগলে রাখে, মমতায় ও ভালবাসায়

Monjur Mohammed তার প্রিয়বন্ধুর মায়ের প্রয়ানে উৎসর্গীকৃত কবিতায় বলেছেন,

মায়ের কছে উড়ো চিঠি
(প্রিয় বন্ধুর মায়ের প্রয়াণে লেখা)

তোমার কথা ভাবলে মাগো
কান্না আসে চোখে,
তোমার মতো ভালোবাসা
দেয় না কেন লোকে।
যদিও জানি ডাকলে তোমায়
শুনবে না তা কানে,
তবু কেন রাত নিশিদিন
ডাকে আমার প্রাণে।
প্রাণ যে আমার মরুভূমি
বাঁধলো দুখের বাসা,
চেষ্টা করেও আগের মতো
যায় না এখন হাসা।
হয়তো আমি ভুলেই কখন
ছোট্রবেলার নামে,
পত্র লিখি মাগো তোমায়
নীল আকাশের খামে।
আমরা যখন অনেক ছোট
তুমি তখন ছাতা,
সোহাগমাখা আঁচলতলে
থাকতো সবার মাথা।
আজকে মাগো আমরা বড়
তুমি গেছো দূরে,
রাতের পরে দিবস গুলো
আবার আসে ঘুরে।
তোমার আসাই হয় না কেবল
এই পৃথিবীর মাঝে,
কোথায় আছো এখন তুমি
ব্যস্ত কীসের কাজে।
চেয়ার টেবিল বিছনাপাতি
সবই আছে ঘরে,
তবু কেন শুতে এলেই
শূন্যতা গান ধরে।
একলা তুমি নেই বলে আজ
পর মনে হয় বাড়ি,
আগের মতোই এক নিয়মে
চুলায় চড়ে হাঁড়ি।
এই হাঁড়িতে তোমার হাতের
স্বাদ মিলে না মুখে,
তার করণেই খেতে এলেও
প্রশ্ন ছোড়ে দুখে।
দিন ভালো নেই দিন ভালো নেই
তুই ভালো নেই বোকা,
কেউ বলেনা সোহাগ করে
কী হলো তোর খোকা।
এই ভাবেতেও হৃদয় নিয়ে
সব মানুষের সাথে,
আমিও মানুষ তাদের মতোই
এই দেহটার জাতে।

Abu Sayeed Sarker মা দিবসে শ্রদ্ধাঞ্জলী জানিয়ে বলেছেন, আজ “মা দিবস” । আসুন সকলেই মাকে ভালোবাসি ও শ্রদ্ধাকরি। আজকে যেন অন্তত প্রত্যেকেই মাকে একটি উপহার দেই । সবাই বলি,”I Love You Ma”।যদিও আমাদের এতিম করে মা-বাবা পরপারে চলে গেছেন।খুবই মিস করছি তাদের। আল্লাহ যেন তাদের বেহেস্তবাসি করেন, আমিন।

RadioMunna.com এর স্ট্যাটাসে মায়ের স্বরূপ তুলে ধরে বলা হয়েছে,

পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মনোবিজ্ঞানী কে ?
উত্তর : মা। সন্তান কি চায় , না চায় সেটা উনি সন্তানের চোখের দিকে তাকিয়েই বুঝতে পারেন । কোনটা সত্য বলছেন , কোনটা মিথ্যা বলছেন . . . এটা বলে দিতে তাঁর মাত্র এক সেকেন্ড সময় লাগে । দুনিয়াতে সবাইকে ফাঁকি দিতে পারবেন , কিন্তু মা’কে ফাঁকি দিতে পারবেন না ।

পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ডাক্তার কে ?
উত্তর : মা । ছোট বেলায় আমার প্রচুর জ্বর হতো । জ্বরের ঘোরে আবোল-তাবোল বকতাম । মা সারারাত জেগে থাকতেন । মাথায় পানি ঢালতেন । এটা-সেটা মুখে তুলে দিতেন ।ধীরে ধীরে আমি সুস্থ হয়ে উঠতাম । আমি নিশ্চিত , মা যদি ঐভাবে পাশে না থাকতো তাহলে আমি হয়ত অনেক আগেই পৃথিবী থেকে হারিয়ে যেতাম । তাই আমার চোখে আমার “মা” ই পৃথিবীর সেরা ডাক্তার ।

পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সেবিকার নাম কি ?
উত্তর : মা। উনিই পৃথিবীর একমাত্র সেবিকা , যিনি সেবার বিনিময়ে কোন কিছু প্রত্যাশা করেন না । দিনের পর দিন , মাসের পর মাস অসুস্থ সন্তানের সেবায় কাটিয়ে দেন । সন্তানকে কোলে নিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা হাঁটা-হাঁটি করেন । ব্যাথায় পা দুটো ফুলে যায় , কিন্তু সন্তানকে সেটা বুঝতে দেন না । উনিই একমাত্র সেবিকা যিনি বলতে পারেন , ” হে আল্লাহ্ তুমি আমাকে নিয়ে যাও , বিনিময়ে আমার সন্তানের জীবনটা ভিক্ষা দাও ।”

পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ম্যাজিশিয়ান কে ?
উত্তর : মা। সন্তান যত দূরেই থাকুক , মা সব সময় সন্তানকে দেখতে পান । ধরুন আপনি হাজার মাইল দূরের প্রবাসী । যেভাবে হোক একটা দূর্ঘটনা ঘটে গেছে আপনার । ভাবছেন মা’কে কিছুই বলবেন না , মা শুনলে টেনশন করবেন । কিন্ত আপনি কিছু বলার আগেই দেখবেন বাড়ি থেকে মায়ের ফোন চলে এসেছে। “হ্যালো বাবা ! কাল রাতে তোকে নিয়ে একটা খারাপ স্বপ্ন দেখেছি , তুই ভাল আছিসতো ?”
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ও শীতল ছায়াময় বটগাছ কোনটি ?
উত্তর : মা । যত বিপদ আসুক । যত ঝড়-তুফান আসুক । আপনি তবু নিশ্চিন্ত । আপনি জানেন, আপনার কোন ক্ষতি হবে না । কারন আপনার মাথার উপর আছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বটগাছটি । আপনার কাছে আছেন আপনার “মা” ।

পৃথিবীর সবচেয়ে নিঃস্বার্থ বন্ধুটির নাম কি ?
উত্তর : মা।বিপদেই বন্ধুর পরিচয় । একবার মনে করে দেখুনতো বিপদে পড়েছেন , অথচ মা’কে কাছে পাননি এমন ঘটনা আছে কি-না ?
না নেই । কারন বিপদে সবাই আপনাকে ছেড়ে গেলেও উনি কিন্তু যাবেন না । উনি এমনই, আর এজন্যই উনাকে “মা” বলে ডাকা হয় ।

পৃথিবীর সবচেয়ে সেরা আয়না কোনটি ?
উত্তর : মা। আপনি অন্য যে কোন আয়নার সামনে যান , নিজের মধ্যে একটা না একটা খুঁত পাবেনই । কিন্তু “মা” নামক ঐ বিশেষ আয়নার সামনে গিয়ে দাঁড়ান । দেখবেন আপনার কোন খুঁত নেই । ঐ আয়নাটির চোখে আপনিই পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর মানুষ ।

পৃথিবীর সবচেয়ে দামী রত্ন কোনটি?
উত্তর : মা। এই রত্নটির যে কি মূল্য , যাদের কাছে এটি আছে তারা বুঝতে পারে না । যারা এটি একবার হারিয়ে ফেলেছে , কেবল তারাই বুঝতে পারে কি অমূল্য রত্নটি তারা হারিয়েছে ।

আসলে মা’কে নিয়ে এভাবে লিখতে গেলে কখনোই শেষ হবে না । পৃথিবীতে যত সুন্দর সুন্দর উপমা আছে সবগুলো কেবল মায়ের সাথেই মানায় ।
তাই মহামূল্যবান এই রত্নটিকে খুব যতনে আগলে রাখুন । আমার মত অসময়ে হারিয়ে ফেলবেন না যেন।

Mak Sumon লিখেছেন For my Amma, the best MOM in the world!
Happy Mother’s Day!!

Md Sharif Ahmzz লিখেছেন Many Many Happy MOTHERs day 2 all… smile emoticon heart emoticon
Love you very Much MoM..
Babor Juardar তার স্ট্যাটাসে লিখেছেন- মা নামের ছোট্ট এ শব্দটির বিশালতা আকাশ ছোঁয়া। সন্তানের কাছে তার পৃথিবী হচ্ছে মা। মা শাশ্বত, চিরন্তন। মায়ের স্নেহধারায় স্নাত হয়ে গড়ে ওঠে প্রতিটি সন্তান। মায়ের আশীর্বাদই সন্তানকে কঠিন পথ পাড়ি দিতে সাহায্য করে

Sohel Mahmud তারা স্ট্যাটাসে উল্লেখ করেছেন

আমি পৃথিবীর সেরা মা পেয়েছি।
সুচি আর প্রিয়মও।
শাওনদের মাটা কম কিসে?
কিংবা মা হিসেবে সাথী, তিথী?
রুয়ানেরটা নতুন হলেও ওই মাইতো!

চৈতির মা, নদীর মা … আরো যারা মা হবে সামনের দিনে, সবজনার উৎস কিন্তু একটাই।
আমার মা।

Jillur Rahman Joy তার অনুভূতিতে তুলে ধরেছেন ছেলেবেলা। তিনি লিখেছেন

মা মানেই ছোটবেলার স্মৃতির সুতোয় পড়া টান- আম্মা, আম্মাগো, ও আম্মা…
আব্বা চাকুরি করতে আমাদের থেকে দুরে থাকতেন, তাই আমরা অবুঝ ভাইবোনেরা আম্মার কাছেই তাবত বায়না ধরতাম; আমরা বুঝতামই না- মা কোনটা পারবেন আর কোনটা পারবেন না. আজ আমরা বড় হয়েছি, আব্বা সবুজ(!) হয়েছেন আর আম্মা আমাদের প্রিয় অবুঝ(!!)
জানি তো, আম্রাও একদিন অবুঝ হব, অবুঝ হতে হতে চির সবুজ…
আমাদের প্রিয় অবুঝ মায়ের প্রতি অশেষ শ্রদ্ধাঞ্জলি

Choyon Zaman লিখেছেন-পৃথিবীর সকল মায়ের প্রতি জানাই কৃতজ্ঞতা, মানব সভ্যতা এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য। আমরা ভাইবোনরা যাঁকে আম্মা বলি। তবে এখানে শুধু আম্মা আর আমার গল্প…

বস্তুবাদের পাঠচর্চায় চলছিল যখন হাতেখড়ি,
ছেলের গুনায় কাঁপছিল তোমার হাতের ঘড়ি;
মানত-দোয়া, তাবিজ-কবচ চোখের নোনতা ইবাদত,
ছেলের পাপ দূর করতে আসেন কত শরাফত।
হরেক রকম সূরার খতম যাচ্ছিল টাকা কাঁড়িকাঁড়ি,
সারছি তখন দুপুরবেলার রোজার মাসে ইফতারি।

`শূন্য’ থেকে বিষ্ফোরণ? মনে আসলে গোলযোগ,
তোমার ডাকে দিলাম এবার একরত্তি মনযোগ।
খুশিতে আম্মা আত্মহারা জনৈকদের পোয়াবারো,
শোকরআনার পাতের রঙ নিমিষে হয় আরও গাঢ়।

শৈশব থেকে অসুস্থতা; স্বভাবটাও খানিক রগচটা,
তবু ছেলেকে আগলে রেখে শুনেছো কত তেতো কথা।
করুণাময়ীর উপাধিতে আমৃত্যু তোমাকেই জানি,
আমার কাফনে বিছিয়ে দিও তোমার নরম আঁচলখানি।

Wahid Milton লিখেছেন-আমার মা আমার পৃথিবী………….মা দিবসে মাকে শুভেচ্ছা

রুদ্র রুহান জীবনের ঘাত প্রতিঘাতে মায়ের ভূমিকা কৃতজ্ঞার সাথে লিখেছেন। তিনি মায়ের জীবনযুদ্ধের কথা উল্লেখ করে লিখেছেন,

বাবা পড়পারে চলে যাওয়ার ঠিক সাত মাস পর বড় বোনের অনাকাংখিত অকাল মৃত্যুতে মা’ যতটা না শারীরিক, তার চেয়েও বেশী মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। সে ধকল আজও পর্যন্ত কাটিয়ে উঠতে পারেননি। মা’কে নিয়ে লিখছি আমি। মা’ সম্পর্কে কোনো সন্তানের লেখনি শেষ হওয়ার না। সবার মা যেমন হয়, আমার মা তেমন নয় বোলছিনা। অতিদরিদ্রের সংসারের পিতা যদি অক্ষম হয়, তবে একজন নারী কি করে সংগ্রাম করে সন্তানদের মৌলিক চাহিদার জোগানের পাশাপাশি নীতি নৈতিকতার দীক্ষিত করছেন এমন উদহরণ এ দেশে হয়ত অসংখ্য। আমার মা, আমাদের মা কম শিক্ষিত। অমন অজপাড়াগাঁয়ের মা’য়েরা যখন দারিদ্রের ভারে সন্তানদের কাজে পাঠিয়েছেন, মা তখন আমাদের পাঠিয়েছেন স্কুলে। নিজে কাজ করেছেন জোগাড় করেছেন আমাদের খাবার, নিজ হাতে কলাগাছের বাগান করেছেন, করেছেন সব্জি চাষ করেছেন, গাছের চারা রোপপন করেছেন। কলা আর সব্জি বিক্রি করে কিনেছি চাল ডাল তেল নুন, খাতা কলম। কখোনো বাঁশের কাগজে লিখতে পারিনি, পড়তে পারিনি দোকানীর হ্যাঙার কিংবা তাকে সাঁজানো সখের পোষাক, জুতো। আফসোস ছিল, তবে কষ্ট পাইনি মা’র কথা ভেবে। দু একদিন অন্যের বাড়িতে কাজ করে মা অন্নের জোগান দিয়ে থাকলেও বুঝতে দেননি। কত কি লিখবো বলুন! সেসব দিনের কথা শুধু কষ্ট বাড়াবে, মন খাড়াপ হবে আপনাদের, আমারও।
আজ অব্দি মন খাড়াপ, শুধু ‘মা’য়ের জন্য। শেষমেস পারিনি আমি। গত ঈদে নিজের সাথে অভিমান করে বাড়ি যাইনি। জানি, বাড়ি পৌঁছে তোমাকে ডাক দেয়ার চেয়ে বড় আত্মতৃপ্তি কিছু নেই; তবু যাইনি। মা’ হয়য়ত হেরে গেছি, নিয়মের সাথে, অনিয়মের কাছে অথবা নিয়তির কাছে বা নিজের কাছে। এমন একটা পেশায় রয়েছি, মানবতার সেবায় নিজেকে যতটাই খাঁটিয়েছি, ততটাই অর্থহীন নিরর্থক বেমানান মনে হয়েছে এ পেশা আমার। না পারছি নিজেকে সচ্ছল করতে না মা’কে ভালো কোনো চিকিতসা করাতে। ছাড়তে পারছিনা, অন্য কোনো সংস্থান না হওয়া পর্যন্ত। “মা”তোমাকে কোনো সন্তান জাগতিক কিছু দিতে পারে বলে আমি বিশ্বাস করিনা। দোয়া অটুট রেখো। মা অসুস্থ। সবার দোয়া কমনা করছি।

Probhash Amin লিখেছেন

শুভ সকাল
সবচেয়ে শান্তির জায়গা মায়ের কোল, সবচেয়ে নির্ভরতার নাম মা। মায়ের ভালোবাসাই শুধু নিঃস্বার্থ। মা দিবসের ধারণাটি আমার কাছে খারাপ লাগে না। বছরে একদিন মাকে নিয়ে স্পেশাল, মন্দ নয়। তবে শুধু একদিনেই যেন মায়ের প্রতি আবেগ-ভালোবাসা-দায়িত্ব শেষ হয়ে না যায়। আমি যে আমার মাকে অনেক ভালোবাসি, তা কখনো বলিনি লজ্জায়। তবুও ভালোবাসি, পৃথিবীর সকল মায়ের জন্য ভালোবাসা।
ছবির শিশুটির নাম মে মুই প্রু। ছবিটি গত বুধবার বান্দরবানের জামছড়ি থেকে তোলা।

বুলবুল চৌধুরী লিখেছেন

প্রায় ২০টি বছর একা থাকি; মা-হীন আছি এই শহরে। আমার কাছে পৃথির্বিতে নারী বলতে এখন অবধি মা-ই একাই; হয়তো মা একাই থাকবেন।
[মা দিবসে পৃথিবীর সব মাকে ভালবাসা]

Sumi Khan লিখেছেন- দেশমাতৃকার মতোই সন্তানের কাছে মায়ের কখনোই কিছু চাওয়ার থাকে না। আমার মায়ের ও কোন প্রত্যাশা কখনো ছিল না। শুধু একটি নির্দেশ ই ছিল-” কখনো মিথ্যে বলবে না। জীবনের কাছে কোন প্রত্যাশা না থাকলে প্রলোভন ও থাকবে না। মানুষকে ভালোবাসো, মানুষের কাছাকাছি থাকো।” সেই অর্থে যদি ভাবি , সত্যি, আমরা তিন ভাইবোন ই নিজেদের জীবন এবং কর্মে আমাদের মায়ের এ নির্দেশ পালন করার চেষ্টা করেছি শতভাগ। আমার মা নূরজাহান খান, যিনি জন্মেই তাঁর মা কে হারিয়েছেন। কোলকাতা মেডিক্যাল কলেজে আমার মা ‘কে জন্ম দিয়ে তাঁর মা জাহান আরা সিদ্দিকী টাইফয়েডে প্রাণ হারান ১৯৪৮ সালে। এ কারণেই হয়তো সমাজের অনেক সন্তানের ‘মা’ হয়ে উঠেছেন আমার জন্মদাত্রী মা নূরজাহান খান।একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে আমাদের বাড়ি ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয়কেন্দ্র। আসহাবউদ্দিনের পান্ডুলিপি, ন্যাপ কমিউনিস্ট পার্টি, ছাত্র ইউনিয়নের গেরিলা বাহিনীর অন্যতম নেতা ছিলেন বাবা।রাতের অন্ধকারের আলবদর বাহিনী বাবাকে পশুর মতো করে বেঁধে নিয়ে গেলো। বাবাকে অবর্ণনীয় টর্চার করা হলো ডালিম হোটেলে।চোখের জল মুছে মা ‘য়ের নতুন সংগ্রাম শুরু হলো। বাবা বেঁচে ফিরলেন,কিন্তু চরম অত্যাচারিত শরীর! মায়ের পরম পরিচর্যায় বাবা ২০০৭ পর্যন্ত কর্মবীর হয়েই বেঁচেছিলেন । ঘাতক জামায়াত আর স্বৈনাচার পতনের রাজপথে বাবা মা একসাথে আন্দোলন করেছেন। নিপীড়িত মানুষের পাশে থেকেছেন। জামায়াত -বিএনপি- স্বৈরাচারী এরশাদবিরোধী আন্দোলন থেকে যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসির দাবিতে আন্দোলনে সবসময়ে আমার মা রাজপথে। দেশমাতৃকার কল্যাণ আর মানবতায় নিবেদিতপ্রাণ সৎ, ত্যাগী এবং অন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রচন্ড প্রতিবাদী নিভৃতচারী প্রচারবিমুখ এই মা আমার অহংকার ! জীবনে যতো সংকটই আসুক হাসিমুখে প্রতিটি সংকট আমার মা পার হয়ে এসেছেন-তাই এই মা আমার অহংকার। নিজের জীবনের ন্যুনতম চাওয়া পাওয়া ভুলে যিনি মানুষের কষ্ট ঘুচিয়ে দিতে বিলিয়ে দেন নিজেকে-সেই মা যে কোন সন্তানের অহংকার ! জননী সাহসিকা বেগম সুফিয়া কামালের ভাবশিষ্য নূরজাহান খান বাংলা আর বাঙ্গালীর কৃষ্টি , সংস্কৃতি , নৈতিকতা এবং আদর্শ প্রাণ দিয়ে ধরে রেখেছেন;সেই মা আমাদের মাথার মুকুট। তাইতো আমরা তিন ভাইবোন অবাক বিস্ময়ে দেখি আমার মায়ের সন্তানদের মধ্যে জেলে , চামার , মেথর মুচি থেকে সমাজের সর্বোচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা, চিকিৎসক, প্রকৌশলী …কে নেই? দেশে বিদেশে অনেকেই আছেন যাঁরা অনেকদিন মায়ের কাছে আসতে পারেন না, তাঁরা অথবা দেশের শীর্ষ রাজনীতিকদের কেউ কেউ অনেক সময় বলেন , আমার মায়ের হাতের রান্না আর প্রাণখোলা হাসি তাদের কাছে সবচেয়ে মধুর স্মৃতি। আমাদের কাছে ও ঠিক তাই । তবে আজকের দিনে আরো একজনকে খুব মিস করছি, তিনি আমার খুব খুব প্রিয় খালা। যিনি সবসময়ে আমার প্রতিটি মন্দ সময়ে বা ভালো সময়ে ছুটে এসেছেন অনেক প্রতিকূলতা অতিক্রম করে। সম্প্রতি তাঁকে হারিয়েছি আমরা।তবে , প্রতি মুহূর্তে তিনি আমাদের ছুঁয়ে আছেন। খালাম্মার স্মৃতি ছুঁয়ে আছি।খালাম্মা আমার মায়ের কাছে প্রিয় বন্ধু, প্রিয় সখী এবং অনেকটা মায়ের মতোই ছিলেন। তাই তাঁর আকস্মিক প্রয়াণে বিশাল এক শূণ্যতা আমার মা’কে ঘিরে রেখেছে!প্রিয় বোনের হঠাৎ ‘নাই’ হয়ে যাওয়া কোন ভাবেই মেনে নেয়া সম্ভব নয় আমার মায়ের জন্যে। আর তাই সকাল বিকেল নীরব চোখের জলে ভাসেন আমার মা।এর মাঝেও মা তাঁর দায়বদ্ধতা আর দায়িত্বশীলতায় এতোটুকু ত্রুটি রাখেন না। নীরবে কাজ করে যাচ্ছেন অসংখ্য মায়ের চোখের জল মুছে মুখে হাসি ফোটাতে। কায়মনোবাক্যে প্রার্থনা করি, আমরা তিন ভাইবোন যেন আমৃত্যু আমাদের স্নেহময়ী মায়ের ছোঁয়া, মায়ের সান্নিধ্য আমায় ঘিরে রাখে। অনেক কষ্ট দিয়েছি মা’কে।আমার জীবদ্দশায় আর কখনো যেন এতোটুকু কষ্ট ও মা’কে না দিই। মনে মনে ভাবি,আমার জন্মদাত্রী মায়ের মতো সেবা ,ধৈর্য, সততা , নিষ্ঠা , তিতিক্ষা এবং ত্যাগের কিছুটা যদি নিজের জীবনে ধারণ করতে পারি , তবেই এ জীবন সার্থক। একই সাথে শ্রদ্ধা জানাই আমার শাশুড়ী মা সালেমা খাতুন কে , যিনি নিজের সাত সন্তানের সাথে চট্টগ্রামের কাজীর দেউড়ীর অনেককে সন্তান স্নেহে বড়ো করেছেন। আজ মা দিবসে জগতের প্রতিটি মায়ের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা ।
Md Khirul Islam তার স্ট্যাটাসে উল্লেখ করেন

পৃথিবীর সকল মাকে শুভেচ্ছা জানাই। এবং মা-
হারাদের জন্য রইল সমবেদনা।
মায়ের মমতার নির্দিষ্ট কোন দিন নেই। একজন মা,
সারাজীবনই মমতাময়ী মা। যার মমতাময়ী চরিত্র
কখনো বদলায় না, যার কোনো তুলনা হয় না…
পৃথিবীর একমাত্র নিঃস্বার্থ ভালবাসার
শিরোনামই হলো “মা”

Rafiq Molla লিখেছেন, সকল মায়ের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা ও সালাম
মা’। ছোট্ট একটি শব্দ। কিন্তু এর অর্থ এত বিশাল এত বিস্তৃত এত আবেগময়, এত ভালোবাসার, যার সীমা খুঁজে পাওয়া ভার। কবি বলেছেন, মা’র বড় কেহ নাই, কেউ নাই কেউ নাই!/ নত করি বল সবে ‘মা আমার! মা আমার!’।

Mjh Jamil লিখেছেন,

“যখন রাত্রি নিঝুম, চোখে নেই ঘুম
থাকি একলা ঘরে।
তোমায় মনে পড়ে
মাগো তোমায় মনে পড়ে।”

আমার মা আমার বেহেস্ত। মা‘কে আমি ভালবাসি সদা-সর্বদা। তাই মা জননীকে কোন দিবসে আটকে রাখতে চাইনা।

“রাব্বিরা হামহুমা কামা রাব্বাইয়ানি সগীরা -আল কোরআন।”

আল্লাহ আমার প্রিয় মা জননীকে সদা ভালো ও সুস্থ রেখ। আমীন।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়াার করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Developed by:

.