সিলেটপোস্ট রিপোর্ট ॥ সমস্ত জটিল-কঠিন রোগব্যাধি যেমন ক্যান্সার, কিডনি সমস্যা, গ্যাস্ট্রিক, হাঁপানী, যক্ষ্মা, আগুনে পোড়া, হাড়ভাঙ্গা রোগের চিকিৎসা দিতে জাতীয় প্রেসক্লাবে এসেছে আসামের ‘বাদশা’ হারুন অর রশীদ।
শনিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের ছোট হলরুমে হঠাৎ করেই সংবাদ সম্মেলন শুরু করেন তিনি।
তার দাবি, ‘কোনো রোগী আসলে তাকে শুধু তার নাম, বাবা ও মায়ের নাম বলতে হবে। নামগুলো নিয়ে বিশেষ মোরাকাবায় (ধ্যানে) বসলে আল্লাহর পক্ষ থেকে ওই রোগের জন্য যে ঔষধ নির্ধারিত হবে সেটাই দেয়া হবে। এটা আল্লাহর তরফ থেকে স্বপ্নে পাওয়ার চিকিৎসা পদ্ধতি।’
তিনি বলেন, ‘আমি যে রোগের চিকিৎসা দেই সবগুলোই আমার নিজের ছিল। স্বপ্নে পাওয়া চিকিৎসা পদ্ধতিতে চিকিৎসা নিয়ে নিজে নিজেই সুস্থ হই। এর পর থেকে আমি মানুষের চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছি।’
চিকিৎসা পদ্ধদি বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘আমার কাছে কোনো রোগী আসলে তাকে প্রথমে দুই রাকায়াত সালাতুল হাজত নামাজ পড়তে হবে। নামাজে বলতে হবে সকল রোগের চিকিৎসায় সাহায্যকারী তো তুমি (আল্লাহ)। আমাকে মুক্তি দাও।’
তিনি বলেন, ‘আমি সোহরাওয়ার্দী ও বারডেম হাসপাতালে অনেক ঘুরেছি। সেখানে রোগীদের কাছে গিয়ে আমার কার্ড বিতরণ করে বলেছি ভাল হতে চাইলে এখান থেকে বের হয়ে আমার কাছে আসেন। তখন ওই হাসপাতালের ডাক্তাররা আমার নামে মামলা করেছে।’
কতজন এবং কি কি রোগীকে চিকিৎসা দিয়ে ভাল করেছেন জানতে চাইলে ‘আসামের বিখ্যাত হেকিম’ দাবিকারী হারুন বলেন, ‘আল্লাহর রহমতে আমি সকল রোগের চিকিৎসা দিতে পারি কিন্তু আমার কাছে যদি কোনো রোগী না আসে তাহলে আমার তো কোন দোষ নাই। রোগীও আসেনি তাই চিকিৎসাও দিতে পারিনি।’
তাকে বলা হয়, বাংলাদেশে অনেক ক্যান্সার রোগী আছে একজনকে খুঁজে বের করে চিকিৎসা দেন। তাহলে আর ক্যানভ্যাস করার প্রয়োজন হবে না। এ পর্যায়ে তিনি বলেন, ‘আমি আসামের বাদশা হারুন অর রশীদ। অর্থ সম্পদের কোনো অভাব নাই আমার। আমি খুঁজতে যাব কেন? আমার কাছে রোগীকে আসতে হবে। আর আসবে বলেই তো সংবাদ সম্মেলন করছি।’তিনি ভারতের আসামের বাসিন্দা দাবি করলেও বাংলাদেশের ঠিকানা লিখেছেন পূর্ব বাসাবোর আব্দুল কাদের রোড।