সংবাদ শিরোনাম
সিলেটে চোরাচালানে আ.লীগ নেতার ছেলের ‘আরএস’ চক্র  » «   বিএনপির বানোয়াট কথা দেশের মানুষ বিশ্বাস করে না-সুনামগঞ্জে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী  » «   ওসমানীনগরে শিক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠানে! এমপি মোকাব্বিরের হুশিয়ারী  » «   দক্ষিণ সুরমায় জুয়ার স্পটে পুলিশি অভিযান  » «   জৈন্তাপুর-কে ভূমিহীন-গৃহহীন মুক্তকরণ ঘোষনা উপলক্ষে প্রশাসনের প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত  » «   কর কর্তনের বিধি বিধান প্রতিপালনের লক্ষ্যে সুনামগঞ্জে ওয়াকিং সেমিনার অনুষ্ঠিত  » «   ওসমানীনগরের বুড়ি নদীর চরে ঐতিহ্যবাহী বারুনী মেলা  » «   দেশে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি’তে আওয়ামী লীগ সরকার কৃষকদের কল্যাণে এগিয়ে এসেছে-প্রবাসী কল্যান মন্ত্রী  » «   দক্ষিণ সুরমায় যৌতুক মামলায় প্রবাসী গ্রেপ্তার  » «   সুনামগঞ্জে সিলেটগামি ট্রাক ও সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন ঘটনাস্থলে নিহত ৩  » «   ওসমানীনগরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২  » «   নিউজার্সি প্যাটারসন সন্মাননায় ভূষিত হয়েছেন বাংলাদেশি নারী ডাক্তার রেহানা রব  » «   জৈন্তাপুরে নিখোঁজ হওয়ার ১০ ঘন্টার মধ্যে পুলিশ মোবাইল ট্র্যাকিং করে মাদ্রাসা ছাত্র-কে উদ্বার করতে সক্ষম হয়েছে  » «   দোয়ারাবাজারে জমি নিয়ে বিরোধে মামাতো ভাইয়ের হাতে ফুফাতো ভাই খুন  আটক ৫  » «   ওসমানীনগরে শিক্ষর্থীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় মামলা গ্রেফতার নেই ৩ দিনে  » «  

আমিরাতে যে খবর রাখে না বাংলাদেশ দূতাবাস

30সিলেট পোষ্ট রিপোর্ট :   আমিরাতে যে খবর রাখে না বাংলাদেশ দূতাবাসশীর্ষ নিউজ, সংযুক্ত আরব আমিরাত : মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় দু’চোখই হারিয়েছেন আব্দুছ ছালাম। থমকে গেছে জীবনের চাকা। এখন শুধুই অপেক্ষা ঘরে ফেরার। প্রিয় দেশের মাটিতে ফিরে আসার। কিন্তু কে ফেরাবে তাকে। যে দেশের সমৃদ্ধির জন্য বিদেশ যাত্রা। এতকষ্ট! সেই বাংলাদেশ দূতাবাস পাঁচ মাসেও খবর নেয়নি আব্দুছ ছালামের।

 

ছালাম এখন অন্ধ। চিরতরে নিভে গেছে দু’চোখের আলো।

 

অনেক স্বপ্ন নিয়ে দেশের সব মায়া ছেড়ে স্বপ্নের দেশ আরব আমিরাতে পাড়ি জমিয়েছিলেন তিনি।

 

বেছে নিয়েছিলেন ড্রাইভিং পেশা। সেই পেশাই কাল হলো তার। সেই সব স্বপ্ন নিভে গেলো নিমিষেই। ট্যাক্সির চাকার সঙ্গে থমকে গেলো জীবনও।

 

বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার দক্ষিণ চরদুয়ানি গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে আব্দুছ ছালাম। দুবাইতে চাকরি নিয়েছিলেন ‘দুবাই ট্যাক্সি’ নামক কোম্পানিতে।  বেশ ভালোই যাচ্ছিল দিন। কিন্তু সেই সুখ আর বেশি দিন সইলো না। ১ জানুয়ারি  নেমে এলো অন্ধকার। দুবাইয়ের রাস্তায় ট্যাক্সি চালাচ্ছিলেন তিনি। পেছন থেকে

 

‘ট্রেল্লা’ এসে ধাক্কা দেয়।ছিটকে রাস্তার বাইরে পরে যায়  ছালামের ট্যাক্সি। পথচারিদের ফোন পেয়ে আব্দুছ ছালামকে হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ।

 

‘দুবাই রাশেদ’ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। চিকিৎসকরা জানান,  ছালামের ডান চোখ সম্ভবত দুর্ঘটনাস্থলেই পরে গেছে, এখন বাম পাশের চোখটি ভালো করার চেষ্টা। কিন্তু সেই চেষ্টাও বিফলে গেছে। বাম পাশের চোখটিও রক্ষা করতে পারেননি চিকিৎসকরা।

 

ছালামের চিকিৎসার যাবতীয় খরচ বহন করেছে তার প্রতিষ্ঠান ‘দুবাই ট্যাক্সি’ কেটে গেছে পাঁচ পাঁচটি মাস। চিকিৎসা শেষে বাসায় ফিরেছেন ছালাম। এখন দেশে ফেরার অপেক্ষা। ফেরার প্রহর গুনছেন স্বজনদের কাছে। পাথরঘাটার সেই চরদুয়ানি গ্রামে। সবুজ আলোর স্পর্শে।   কিন্তু  সেই দেশে ফেরার সহযোগিতায় এতদিনেও আব্দুছ ছালামের কোনো খোঁজ নেয়নি সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস। আব্দুছ ছালামের চাচা মো. দুলাল শীর্ষ নিউজকে জানান,  দুবাই কনস্যুলেটের একজন  কর্মকর্তার সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলেছেন তিনি। কিন্তু এখনো কোনো খবর আসেনি।

 

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়াার করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Developed by:

.