শাবি প্রতিনিধি: শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের দুটি ছাত্রী হলে চার দিন ধরে পানি না থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন ওই হলগুলোর আবাসিক ছাত্রীরা।
গত ২০মে পানি তোলার পাম্পের সাথে সংযুক্ত মোটর জ¦লে যাওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি ছাত্রী হলে চার দিন ধরে পানি না থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন বলে ছাত্রীরা অভিযোগ করেছেন।
কবে নাগাদ পানি তোলার এই মোটর ঠিক হবে তাও সুনির্দিষ্ট করে বলতে পারছেন না বিশ^বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।আর এই জন্য বিশ^বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাকেই দায়ী করছেন ভোগান্তির শিকার ছাত্রীরা।ছাত্রী হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর থেকে প্রথম ছাত্রী হল ও বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী ছাত্রী হলের পানি সরবরাহকারী পানির পাম্পের মোটরটি জ¦লে যায়। এর পর থেকে পানি শূন্য হয়ে পড়ে ওই দুটি ছাত্রী হল।বিষয়টি ছাত্রীরা হল কর্তৃপক্ষকে জানালে হল কর্তৃপক্ষ ছাত্রীদের খাবার পানি সিলেট বিজিবি সদর দপ্তর থেকে এবং নিত্য ব্যবহারকৃত পানি সিলেট সিটি কর্পোরেশন থেকে দিনে একবার করে সরবরাহ করছে। সরবরাহকৃত পানি প্রয়োজনীয় পানির তুলনায় অপর্যাপ্ত বলে ছাত্রীরা জানিয়েছেন। এছাড়া পানি সংকটের বিষয়টি সাংবাদিকদের কাছে না জানাতেও হল কর্তৃপক্ষ ছাত্রীদের বলেছেন বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ছাত্রী জানান। পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতকোত্তর শ্রেণীর এক ছাত্রী জানান, পানির অভাবে হলে ভয়ংকর অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। দিনে একবার পানি দিচ্ছে, তাতে এত ছাত্রীর মাঝে কেউ পাচ্ছে , কেউ পাচ্ছে না। পুড়ে যাওয়া পাম্পের অপারেটর জাকির তালুকদার জানান, পাম্পের মোটর জ¦লে যাওয়ার পরে নষ্ট মোটরটি ঠিক করার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। মোটরটি ঠিক হতেহ কত সময় লাগবে জানতে চাইলে সুনির্দিষ্টভাবে দিনক্ষণ জানাতে পারেননি তিনি।এ বিষয়ে জানতে প্রথম ছাত্রী হলের প্রাধ্যক্ষ মাহরুবা শারমিন চৌধুরী ও বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী ছাত্রী হলের প্রাধ্যক্ষ রোকসান বেগমের মোবাইলে বারবার চেষ্টা করা হলেও তারা ফোন ধরেননি। এদিকে গত কয়েকদিনে এক লক্ষ টাকারও বেশী পানি দুটি হলে সরবরাহ করা হয়েছে বলে হল কর্তৃপক্ষ ছাত্রীদের জানিয়েছেন।
তবে এই রকম একটি পানির পাম্পের মোটর নতুন কিনতে এক লক্ষ বিশ হাজার টাকা লাগে বলে বিশ^বিদ্যালয়ের প্রকৌশল দপ্তরের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
বিশ^বিদ্যালয় ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ইলিয়াস উদ্দিন বিশ^াস জানান, এই রকম পাম্প তো সিলেটে পাওয়া যায় না। আমরা সর্বাতœক চেষ্টা করছি। আশা করছি কয়েক দিনের মধ্যে ঠিক হয়ে যাবে। বিকল্পভাবে কোন পানির পাম্প সংযুক্ত করার ব্যবস্থা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা তো একটা ‘অ্যাকসিডেন্ট’। অ্যাকসিডেন্ট তো আর বলে কয়ে আসে না।