প্রেসবিজ্ঞপ্তি : ইউনেস্কো-এর সহায়তায় ও উপানুষ্টানিক শিক্ষা ব্যুরো-র তত্ত্বাবধানে সবার জন্য শিক্ষা সক্ষমতা কর্মসূচী এর পাইলট প্রকল্পের আওতায় এনএফই ডেলিভারী ফ্রেইমওয়ার্ক নামে একটি প্রকল্প সিলেট ও রংপুর বাস্তবায়িত হচ্ছে। সিলেট জেলা সদর ও জকিগঞ্জ উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের এফআইভিডিবি কর্তৃক ২০১৩ সাল থেকে পাইলট প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রকল্পটির প্রধান উদেশ্য গ্রাম ভিত্তিক কম্যুনিটি লার্নিং সেন্টার হিসাবে প্রতিষ্টা করা। বর্তমানে বাস্তাবায়নাধীন এফএফই ডেলিভারি ফ্রেইমওয়ার্ক পাইলট প্রকল্পের ১ম ও ২য় ফেইজ সমাপ্তির পর ৩য় ফেইজের কার্যক্রম গত বছরের ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়েছে। প্রকল্পটির কার্যক্রম অধিকতর সুষ্ট, সুন্দর ও সফলভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সমাপ্তকৃত ফেইজসমূহের অভিজ্ঞতা বিনিময় ও ৩য় ফেইজের কার্যক্রম অবহিতকরণ কার্যকর উপানুষ্টানিক শিক্ষা কর্মকৌশল নির্ধারণ এবং জেলা উপজেলা পর্যায়ে পলিসি গাইড লাইন ও রিসোর্স টিম গঠনের লক্ষ্যে মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে দিনব্যাপী কর্মশালা সিলেট জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্টিত হয়। সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. শহীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও ট্রেনিং কো অর্ডিনেটর রিপন বড়–য়ার পরিচালনায় কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন উপানুষ্টানিক শিক্ষা ব্যুরো মহাপরিচালক ড. মো: রুহুল আমিন সরকার। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ব্যবহারিক স্বাক্ষরতার কারিকুলাম নির্ধারণের জন্য আমরা এফআইভিডিবিএর সেবাগ্রহণকারী এবং মাঠকর্মীদের নিয়ে কয়েক দফা কর্মশালা সম্পাদন করেছি। এর ভিত্তিতে কৃষি, স্বাস্থ্য, মহাজনী শোষণ থেকে মুক্তি, সংগঠন, সঞ্চয় ও ঋণ, নারী নির্যাতনরোধ, বিবাহ ও তালাক আইন, যৌতুকের ভয়াবহতা, মা ও শিশুর যতœ এবং চিঠি লেখার প্রয়োজনীয়তাসহ বেশ কিছু প্রয়োজনীয় বিষয় নির্ধারণ করা হয়।
তিনি আরো বলেন, প্রতিটি গ্রামকেন্দ্রে জনা দশেক আবাসিক কর্মী থাকতেন। গ্রামকেন্দ্রগুলো ক্লাস্টার নামে পরিচিত ছিল। প্রত্যেক ক্লাস্টারে কিছু কর্মী স্থানীয়ভিত্তিতে নিয়োগ পেতেন। ক্লাস্টার কর্মীগণ তিন গ্রামকেন্দ্রে ২৯টি বয়স্ক শিক্ষাদল গঠন করলেন। পুরুষ শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে ২০ জন করে আর নারী ১৫ থেকে ২০। লেখাপড়া পরিচালনার জন্য দরিদ্র পরিবারগুলোর অপেক্ষাকৃত ভালো ঘর নির্বাচন করা হলো। অনেক ক্ষেত্রেই এরকম ঘর হতো তাদের ঘুমানোর ঘর। ঐ ঘরে শিক্ষার্থীরাই চাটাই মাদুর নিয়ে আসতেন।