সিলেট পোষ্ট রিপোর্ট : বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক লাগোয়া ওই গলির মুখে বড় ধরনের এই ধসে সুন্দরবন হোটেল ঝুঁকির মধ্যে পড়ায় সেখান থেকে সবাইকে বের করে আনা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বৃষ্টি শুরুর পরপর ওই গলির রাস্তার একটি অংশ হোটেলের সীমানা প্রাচীর বিকট শব্দে নির্মাণাধীন ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড টুইন টাওয়ারের পাইলিংয়ের গর্তে ধসে পড়ে।
গলির মুখের বিদ্যুতের খুঁটি, কয়েকটি গাছ, কয়েকটি টং দোকান ও রিকশা ভ্যানও ওই গর্তে পড়ে যায়।
তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হননি বলে কলাবাগান থানার ওসি মো. ইকবাল জানান।
রাস্তা ধসের খবর পেয়ে ফায়ার ব্রিগেডকর্মীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। উৎসুক মানুষের ভিড় ঠেকাতে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও র্যাব সেখানে উপস্থিত হয়।
ফায়ার সার্ভিসের পরিদর্শক সৈয়দ মুনীর জানান, রাস্তা ধসে পড়ায় পাশে সুন্দরবন হোটেলের বেইজমেন্টে ওয়াসার পাইপ ফেটে যায়। গ্যাস লাইনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ওয়াসার পাইপ ফেটে যাওয়ায় বিপুল বেগে পানির ধারা ওই ধসে পড়া অংশের মাটি ধুয়ে পাইলিংয়ের গর্তে পড়তে থাকলে আরও বড় ধরনের ঝুঁকি তৈরি হয়।
এরই মধ্যে সুন্দরবন হোটেলের কয়েকটি স্থানে ফাটল দেখা দেওয়ায় তৈরি হয় আতঙ্ক। এই পরিস্থিতিতে হোটেল থেকে অতিথিদের সবাইকে সরিয়ে নেওয়া হয় বলে ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক শাকিল নেওয়াজ জানান।
তিনি বলেন, “মাটির যে অবস্থা, তাতে হোটেল ভবনও ধসে পরার আশঙ্কা রয়েছে।”
এই পরিস্থিতিতে সিটি করপোরেশনের বিশেষজ্ঞদের নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
খবর পেয়ে ওয়াসা ও বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজনও ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। ওয়াসাকর্মীরা পানি সরবরাহ এবং বিদ্যুৎকর্মীরা বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ঝুঁকি কমানোর চেষ্টা করেন।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা উত্তরের মেয়র আনিসুল হকও ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। ধসে পড়া রাস্তা দেখে পরে তিনি যান সুন্দরবন হোটেলে।
সেখান থেকে বেরিয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “জায়গাটি ক্লিয়ার করা হয়েছে। হোটেলে কোনো গেস্ট নেই, কর্মীদেরও সরে যেতে বলা হয়েছে।”
আনিসুল বলেন, কারওয়ান বাজারে রাস্তার পাশের এ অংশটি ঢাকা দক্ষিণের হলেও খবর পেয়েই তিনি ছুটে এসেছেন।
“জায়গাটি ভয়াবহ অবস্থায় আছে। এমনকি মূল রাস্তাটিও ধসে পড়তে পারে। রাজউককে ডেকে আমরা আলোচনা করব কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়।”
তিনি সুন্দরবন হোটেল, নির্মাণাধীন ভবনসহ ওই এলাকা ঘিরে ফেলার পরামর্শ দেন, যাতে কেউ ভেতরে ঢুকে বিপদে না পড়েন।