সিলেট পোষ্ট রিপোর্ট: জেলার রানীবাজারে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের গোলাগুলিতে জীবন শেখ (২২) নামে এক ছাত্রলীগকর্মী নিহত হয়েছেন। এতে কমপক্ষে পাঁচজন আহত হয়েছেন।
নিহত জীবন শেখ নগরীর খাঁ কারিগরপাড়ার হোসেন শেখের ছেলে। এ ঘটনায় গভীর রাত পর্যন্ত ওই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছিল।
স্থানীয়রা জানান, রাজশাহী সিটি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি রবিনের সঙ্গে বোয়ালিয়া থানা আওয়াম লীগ সভাপতি আতিকুর রহমান কালুর ছেলে ও নগর ছাত্রলীগের সদস্য তুহিনের সুসম্পর্ক ছিল। বৃহস্পতিবার বিকেলে রবিন মোবাইলে ফোন করে সিটি কলেজের সামনে তুহিনকে আসতে বলেন। ওই সময় তুহিন সেখানে যাওয়ার পরপরই রবিন তাকে লোহার পাইপ দিয়ে মারধর করেন। এ ঘটনায় আতিকুর রহমান কালু বোয়ালিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত সাড়ে ১০টার দিকে রবিন গ্রুপের একদল নেতাকর্মী গুলি করতে করতে রাণীবাজার মোড়ে গিয়ে একটি ক্লাবঘরে হামলা চালায়। এ সময় ওই ক্লাবঘরে আতিকুর রহমান কালুর বড় ছেলে তুষার ক্যারম খেলছিলেন। তারা তুষারসহ বেশ কয়েকজনকে মারধর করে আহত করেন। এ সময় তারা তুষারের মোটরসাইকেল ও ক্লাবঘর ভাঙচুর করেন। এক পর্যায়ে আতিকুর রহমান কালুর লোকজন সংগঠিত হয়ে তাদের ধাওয়া করে। এ সময় দু’পক্ষের মধ্যে ব্যাপক ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘরে। পরে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন ছাত্রলীগকর্মী রাজারহাতার হোসেন শেখের ছেলে জীবন শেখ। জীবনকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আওয়ামী লীগ নেতা আতিকুর রহমান কালু বলেন, ‘তার ছেলে তুহিনকে রবিন বিকেলে মারধর করে। এ ঘটনায় গণ্ডগোল এড়াতে থানায় এজাহার দেন। তারপর তারা প্রস্তুতি নিয়ে আবারও হামলা করে।’
রাজশাহীর বোয়ালিয়া মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক মাহমুদুর রহমান জানান, ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পর রানীবাজার এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে সার্বিক পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় একটি মামলা করা হবে।