সংবাদ শিরোনাম
সিলেট বিভাগীয় অনলাইন প্রেসক্লাব’র সভাপতির মোবাইল চোরি :উদ্ধারে পুলিশের তৎপরতা নিয়ে প্রশ্ন  » «   সিলেটেের আবাসিক হোটেলগুলোতে চলছে অসামাজিক কর্মকাণ্ড: আধ্যাত্মিক ও সামাজিক অবস্থারও অবনতি  » «   সিলেট নগরীতে ছিনতাই আতঙ্ক বাড়ছে, সর্বস্ব কেড়ে নিতে মরিয়া হয়ে উঠছে ছিনতাইকারীরা  » «   সিলেটে আট তরুণ-তরুণীকে আটক করে বিয়ে নিযে সোশ্যাল মিভিযায তোলপাড়  » «   রিজেন্ট পার্ক রিসোর্ট থেকে ১৬ তরুণ-তরুণীকে আটক করে বিয়ে দিয়েছে এলাকাবাসী  » «   খেলাধুলার সঙ্গে রাজনীতির সম্পর্ক থাকা উচিত না: মির্জা ফখরুল  » «   খাদিমপাড়া ইউনিয়নের সিরাজনগরে নিরাপদ পানি ব্যবস্থাপনা নেটওয়ার্কের উদ্বোধন  » «   সুনামগঞ্জের ধোপাজান নদীতে ৬টি বালুভর্তি নৌকা আটক  » «   ৪৫ বৎসর পর রুট শিন্নি অনুষ্টান পালন করল মিটাভরাং মজলিশপুরবাসী  » «   সিলেট বিমানবন্দর থেকে লন্ডন যাওয়ার সময় অভিনেত্রী নিপুণকে আটকে দিয়েছে ইমিগ্রেশন পুলিশ  » «   তামাবিল মহাসড়কে দুর্ঘটনা রোধকল্পে হাইওয়ে থানা পুলিশের মতবিনিময় সভা  » «   দেশের কৃষকদের উন্নয়নে শহীদ জিয়া অবদান অপরিসিম: আনিসুল হক  » «   জৈন্তাপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত  » «   মাস্ক পরে গোপনে কেক কেটে প্রতিষ্ঠাতা বার্ষিকী পালন করতে গিয়ে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের এক নেতা আটক  » «   দোয়ারাবাজারে সরকারি প্রতিষ্ঠান ও উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শনে ডিসি  » «  

কেশরখালী নদী এখন সরু খাল

huuoফয়ছল আহমদ :সিলেটের কেশরখালী নদী এখন বিলীন হওয়ার উপক্রম। নদী দিন দিন ভরাট হয়ে যাওয়ার কারনে এখন সরু খালে পরিণত হয়েছে। কোথাও কোথাও নদী দখল করে গড়ে উঠেছে সুরম্য অট্টালিকা। নদী তার স্বাভাবিক নাব্যতা হারিয়ে কোথাও কোথাও জ্বলাবদ্বতায় রূপ নিয়েছে। প্রশাসনের অসাধু কর্র্মকর্তাদের যোগসাজশে এলাকার প্রভাবশালীরা নদীটি দিন দিন ভরাট করে নিজেদের দখলে নিচ্ছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। সিলেটের সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর শাখা নদী হচ্ছে কেশরখালী নদী। নদী স্থানীয় মোগলাবাজারের পাশ দিয়ে সুরমা হইতে কুশিয়ারায় গিয়ে মিলিত হয়েছে। কেশরখালী নদীকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে স্থানীয় মোগলাবাজার। শতাব্দী প্রাচীন এ বাজারটিতে দুর দুরান্ত থেকে লোক জন রঙ বেরঙ্গের পাল উড়িয়ে নৌকা নিয়ে হাট বাজার করতে আসত। তখন মাঝি মাল্লাদের ভাটিয়ালী গানে  মুখরিত হত চারদিক। নদীর মধ্যে বর্ষা মৌসুমে আয়োজন করা হতো ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ। গ্রামের মানুষের প্রানের স্পন্দনে পুরাতন সুখ দুঃখ ভুলে মিলিত হতো। কিন্তু দিন দিন নদী ভরাটের কারনে এখন আর পাল তুলা নৌকা দেখা যায়না। শুকনো মৌসুমে নদীর বুক ফেটে চৌচির হয়ে গেলেও বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানিতে নদীতে কিছু পানি দেখা যায়। কিন্তু সুরমা কুশিয়ারা থেকে কোন পানি প্রবাহিত হয়না। এতে দিন দিন নদী তার নাব্যতা হারিয়ে ভরাট হয়ে যাচ্ছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কোথাও কোথাও নদীর দৈর্ঘ্য ৮/১০ ফুটে নেমে এসেছে।  আবার কোথাও কোথাও নদী ভরাট করে গড়ে উঠেছে বাড়ী, দালান কোঠা, অট্টালিকা। নদীকে কেন্দ্র করে মোগলাবাজার এলাকার যোবকরা ১৯৮৩ সালে গঠন করেন কেশরখালী স্পোর্টিং ক্লাব। ক্লাবের উদ্যোগে নৌকা বাইচ, ফুটবল, হাডুডু সহ বিভিন্ন খেলাধুলার আয়োজন করা হতো। এছাড়া নদীকে দখলের হাত থেকে রক্ষার জন্য বিভিন্ন সময় ক্লাবের উদ্যোগে র‌্যালী, মানববন্ধনের মতো কর্মসূচি পালিত হয়েছে। ক্লাবের সভাপতি মোঃ কয়েছ আহমদ বলেন, কেশরখালী নদী দিন দিন হারিয়ে গেলেও  প্রশাসনের সদিচ্ছা থাকলে নদীটি তার হারানো জৌলুস ফিরে পাবে বলে আমরা আসাবাদী। তিনি ক্লাবের উদ্যোগে শ্রীঘ্রই জেলাপ্রশাসক বরাবর নদী বাচানোর জন্য স্মারকলিপি দেবেন বলে এই প্রতিবেদকে জানান। দক্ষিন সুরমা উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোঃ এমাদ উদ্দিন নাসিরী জানান, কেশরখালী নদী দিন দিন ভরাট হয়ে যাওয়ার কারনে নদী থেকে উৎপত্তি সরু সরু খাল ও বিলিন হয়ে যাচ্ছে। এতে পরিবেশের মারাতœক অবনতি ঘটছে। প্রভাবশালীরা প্রশাসনের অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে এসব খাল ও নদী ভরাট করছে বলে তিনি জানান।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়াার করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Developed by:

.