সংবাদ শিরোনাম
শারদীয় দুর্গোৎসব শান্তি ও সমপ্রীতির বার্তা ছড়িয়ে দেয় আবু আহমদ ছিদ্দীকী এনডিসি  » «   দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাসে জনগণ ও সংশ্লিষ্টদের সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে-সিলেটের জেলা প্রশাসক  » «   আজ যুক্তরাজ্য থেকে দেশে আসছেন বিএনপির চেয়াপার্সনের উপদেষ্টা এমএ মালিক-স্বাগত জানাবেন নেতাকর্মীরা  » «   শারদীয় দুর্গাপূজায় বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ পরিদর্শনে সিলেট মহানগর কৃষক দলের নেতাকর্মীরা  » «   ইসলামী ছাত্র মজলিস সিলেট মহানগর, জেলা ও শাবিপ্রবি’র সহযোগী সদস্য সমাবেশ অনুষ্ঠিত  » «   বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মোক্তাদিরকে সিলেট মহানগর কৃষক দলের ফুলেল শুভেচ্ছা  » «   সিলেট ৪৮ বিজিবি’র অভিযানে ট্রাক সহ ভারতীয় ৫ হাজার ৭শত কেজি আপেল জব্ধ  » «   র‍্যাব ও সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে ফেনসিডিল, গাঁজা, অস্ত্র ও দেশী- বিদেশী মুদ্রাসহ ৪ জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার  » «   সাংবাদিক আহমেদ শাকিল এর ছোট বোনের বিয়ে সম্পন্ন  » «   সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নানের জামিন মঞ্জুর  » «   গুঞ্জন উঠেছে সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়েছেন বিতর্কিত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ঊর্মি  » «   সিলেট সীমান্তে বিজিবির অভিযানে প্রায় দেড় কোটি টাকার চোরাচালান পণ্য ও পশু আটক  » «    দোয়ারাবাজারে সীমান্তে ভারতে পাচারের সাড়ে ১৪ লাখ   টাকার বিপুল পরিমাণের রসুন ও মাছ জব্দ  » «   জেলা প্রশাসকের সাথে সিলেট বিভাগীয় অনলাইন প্রেসক্লাবের সাক্ষাৎ ও মতবিনিময়  » «   শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত দেশে ফ্যাসিস্ট ও স্বৈরাচারের দোসরদের স্থান হবে না : রিজভী  » «  

কেশরখালী নদী এখন সরু খাল

huuoফয়ছল আহমদ :সিলেটের কেশরখালী নদী এখন বিলীন হওয়ার উপক্রম। নদী দিন দিন ভরাট হয়ে যাওয়ার কারনে এখন সরু খালে পরিণত হয়েছে। কোথাও কোথাও নদী দখল করে গড়ে উঠেছে সুরম্য অট্টালিকা। নদী তার স্বাভাবিক নাব্যতা হারিয়ে কোথাও কোথাও জ্বলাবদ্বতায় রূপ নিয়েছে। প্রশাসনের অসাধু কর্র্মকর্তাদের যোগসাজশে এলাকার প্রভাবশালীরা নদীটি দিন দিন ভরাট করে নিজেদের দখলে নিচ্ছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। সিলেটের সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর শাখা নদী হচ্ছে কেশরখালী নদী। নদী স্থানীয় মোগলাবাজারের পাশ দিয়ে সুরমা হইতে কুশিয়ারায় গিয়ে মিলিত হয়েছে। কেশরখালী নদীকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে স্থানীয় মোগলাবাজার। শতাব্দী প্রাচীন এ বাজারটিতে দুর দুরান্ত থেকে লোক জন রঙ বেরঙ্গের পাল উড়িয়ে নৌকা নিয়ে হাট বাজার করতে আসত। তখন মাঝি মাল্লাদের ভাটিয়ালী গানে  মুখরিত হত চারদিক। নদীর মধ্যে বর্ষা মৌসুমে আয়োজন করা হতো ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ। গ্রামের মানুষের প্রানের স্পন্দনে পুরাতন সুখ দুঃখ ভুলে মিলিত হতো। কিন্তু দিন দিন নদী ভরাটের কারনে এখন আর পাল তুলা নৌকা দেখা যায়না। শুকনো মৌসুমে নদীর বুক ফেটে চৌচির হয়ে গেলেও বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানিতে নদীতে কিছু পানি দেখা যায়। কিন্তু সুরমা কুশিয়ারা থেকে কোন পানি প্রবাহিত হয়না। এতে দিন দিন নদী তার নাব্যতা হারিয়ে ভরাট হয়ে যাচ্ছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কোথাও কোথাও নদীর দৈর্ঘ্য ৮/১০ ফুটে নেমে এসেছে।  আবার কোথাও কোথাও নদী ভরাট করে গড়ে উঠেছে বাড়ী, দালান কোঠা, অট্টালিকা। নদীকে কেন্দ্র করে মোগলাবাজার এলাকার যোবকরা ১৯৮৩ সালে গঠন করেন কেশরখালী স্পোর্টিং ক্লাব। ক্লাবের উদ্যোগে নৌকা বাইচ, ফুটবল, হাডুডু সহ বিভিন্ন খেলাধুলার আয়োজন করা হতো। এছাড়া নদীকে দখলের হাত থেকে রক্ষার জন্য বিভিন্ন সময় ক্লাবের উদ্যোগে র‌্যালী, মানববন্ধনের মতো কর্মসূচি পালিত হয়েছে। ক্লাবের সভাপতি মোঃ কয়েছ আহমদ বলেন, কেশরখালী নদী দিন দিন হারিয়ে গেলেও  প্রশাসনের সদিচ্ছা থাকলে নদীটি তার হারানো জৌলুস ফিরে পাবে বলে আমরা আসাবাদী। তিনি ক্লাবের উদ্যোগে শ্রীঘ্রই জেলাপ্রশাসক বরাবর নদী বাচানোর জন্য স্মারকলিপি দেবেন বলে এই প্রতিবেদকে জানান। দক্ষিন সুরমা উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোঃ এমাদ উদ্দিন নাসিরী জানান, কেশরখালী নদী দিন দিন ভরাট হয়ে যাওয়ার কারনে নদী থেকে উৎপত্তি সরু সরু খাল ও বিলিন হয়ে যাচ্ছে। এতে পরিবেশের মারাতœক অবনতি ঘটছে। প্রভাবশালীরা প্রশাসনের অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে এসব খাল ও নদী ভরাট করছে বলে তিনি জানান।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়াার করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Developed by:

.