সিলেট পোস্ট রিপোর্ট: রোজাদারের দোয়া কবুল হয়। বিশেষ করে ইফতারের সময়। কারণ ইফতারের সময়টা হলো বিনয় ও ধৈর্য্য ধারণের চরম মুহূর্ত। তাই ইফতার করার পর এ দোয়াটি পাঠ করা সুন্নত-
ذهب الظمأ وابتلت العروق وثبت الأجر إن شاء الله
অর্থ: পিপাসা নিবারণ হলো, শিরা-উপশিরা সিক্ত হলো এবং আল্লাহর ইচ্ছায় পুরস্কার নির্ধারিত হলো। -বর্ণনায়: আবু দাউদ
ইফতারির সময়টা আল্লাহর নিকটবর্তী হওয়ার একটা সুযোগ। এ সময়টা যেন বৃথা না যায় এদিকে খেয়াল রেখে সময়টাকে গুরুত্ব দেয়া উচিৎ। দোয়া কবুলের এ চমৎকার সময় সম্পর্কে আল্লাহ নিজে ওয়াদা করেছেন।
তাই ইফতারের সময় অন্তর দিয়ে দোয়া-প্রার্থনা করা এবং যা কিছু দোয়া কবুলের অন্তরায় তা থেকে দূরে থাকা প্রয়োজন। যেমন- হারাম বা অবৈধ উপায়ে অর্জিত খাদ্য গ্রহণ। আল্লাহ বলেছেন-
وا لِي وَلْيُؤْمِنُوا بِي لَعَلَّهُمْ ي فَإِنِّي قَرِيبٌ أُجِيبُ دَعْوَةَ الدَّاعِ إِذَا دَعَانِ فَلْيَسْتَجِيبُ وَإِذَا سَأَلَكَ عِبَادِي عَنِّ
অর্থ: আমার বান্দাগণ যখন আমার সম্পর্কে তোমাকে প্রশ্ন করে, আমি তো নিকটেই। প্রার্থনাকারী যখন আমার কাছে প্রার্থনা করে আমি তার প্রার্থনায় সাড়া দেই। সুতরাং তারা আমার ডাকে সাড়া দিক এবং আমার প্রতি ঈমান আনুক যাতে তারা ঠিক পথে চলতে পারে। (সূরা আল-বাকারা: ১৮৬)
ইফতারের আগে যখন আজান হয় তার পরের সময়টাও দোয়া কবুলের সময়। হাদিসে এসেছে প্রতি আজান ও একামতের মধ্যবর্তী সময়ে দোয়া কবুল হয়।