সংবাদ শিরোনাম
শাল্লার হবিবপুর গ্রামে পানিতে ডুবে এক শিশুর মৃত্যু  » «   সিলেটে গণপূর্তের উপ সহকারী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে মামলা  » «   কমলগঞ্জের শমসেরনগরে এসএসসি পরীক্ষার্থী ছুরিকাঘাতে আহত  » «   এরাবরাক নদীর উপর সেতু উদ্ধোধন-হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলার কয়েক লক্ষ মানুষের স্বপ্ন পূরণ হলো  » «   সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু  » «   ওসমানীনগরের সাজুর লাশ দেশে আসছে রবিবারে  » «   যাদুকাটা নদীতে অবৈধ ড্রেজার মেশিনে বালু উত্তোলন বন্ধে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের নিকট অভিযোগ  » «   মামলার বিচার নিষ্পত্তিতে পুলিশের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ : সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ  » «   জৈন্তাপুরে চারিকাটায় “দি মেঘালয় চা-বাগানের” লীজ বাতিল করে স্থানীয় ভূমিহীনদের মধ্যে বন্দোবস্তের দাবী জানিয়ে মানববন্ধন   » «   জৈন্তাপুরে দীর্ঘ ৩৫ বছর পর প্রশাসনের সহযোগিতায় মসজিদের জায়গার সীমানা নিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তি  » «   সিসিক নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন আরিফুল হক চৌধুরী   » «   পর পুরুষের সাথে স্ত্রীর যুক্তরাজ্য যাওয়ার খবরে পর্তুগালে স্বামীর আত্মহত্যা  » «   সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে পাখির বাসা ভাঙতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু  » «   জৈন্তাপুরে সিলেট তামাবিল সড়কের কাটাগাং এলাকায় ভয়াবহ সড়ক দুঘর্টনায় ২জন নিহত, আহত ৩  » «   জৈন্তাপুর মডেল থানা কর্তৃক ১৪৮ পিস ইয়াবা সহ ০১ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার”  » «  

সিলেটের কানাইঘাটে ব্যবসায়ী হত্যা: একযুগ পর দুই সহোদরের যাবজ্জীবন

7.jpeg সিলেটপোস্টরিপোর্ট:সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার লোভা নদীর তিন গাঙ্গের মুখে পাথর ব্যবসায়ী জহির উদ্দিনকে হত্যার দায়ে দুই সহোদরের যাবজ্জীবন কারাদন্ড, বিশ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরো ৬ মাসের সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। রবিবার দুপুরে সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিচারক মো. সাইফুজ্জামান হিরো এ রায় প্রদান করেন।যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হচ্ছেন কানইঘাট উপজেলার সাউদ গ্রামের বড়হুনার ছেলে জাহাঙ্গীর ও আলমগীর। তারা উভয়ই কারান্তরীণ রয়েছেন।আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০৩ সালের ১৯ অক্টোবর নদী থেকে পাথর বোঝাই নৌকা নিয়ে আসছিলেন কানাইঘাট উপজেলার জুলাই গ্রামের মৃত নুর উদ্দিনের ছেলে জামিল উদ্দিন ও জহির উদ্দিন। নৌকা নিয়ে লোভা নদীর তিন গাঙ্গের মুখে পৌঁছার পর জাহাঙ্গীর ও আলমগীর পাথর কিনতে দরদাম করেন। কিন্তু দরদামে না মতৈক্য না হওয়ায় জাহাঙ্গীর ও আলমগীর আরো কয়েকজনকে সাথে পাথরভর্তি নৌকা জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে।এসময় জামিল ও জহির বাধা দিলে জহিরের মাথায় আঘাত করা হয়। তিনি অজ্ঞান হয়ে পানিতে পড়ে যাওয়ার পর পাথর দিয়ে ঢিল মারা হয় তাকে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন সন্ধ্যায় তিনি মারা যান।এ ঘটনায় তার ভাই জামিল উদ্দিন বাদি হয়ে দুইজনের নামোল্লেখ করে কানাইঘাট থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার দীর্ঘ তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি মো. আবদুস সালাম অভিযোগপত্রে জাহাঙ্গীর, আলমগীর, আব্বাছ উদ্দিন, মুস্তাক উদ্দিন, ফায়াজ উদ্দিনকে অভিযুক্ত করে অভিযেগপত্র দাখিল করেন। আদালত তা আমলে নিয়ে ২০০৫ সালের ২৬ জুলাই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে মামলার বিচার কাজ শুরু করেন। দীর্ঘ বিচারপ্রক্রিয়া শেষে অবশেষে আজ রবিবার রায় ঘোষণা করেন আদালত। রায়ে জাহাঙ্গীর ও আলমগীরকে যাবজ্জীবন এবং অপর তিনজনকে খালাস প্রদান করা হয়।রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অতিরিক্ত পিপি এ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির বাবুল ও আসামী পক্ষে ছিলেন এ্যাডভোকেট সৈয়দ মহসিন আলী।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়াার করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Developed by:

.