চুনারুঘাট (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি::চুনারুঘাট কতিপয় ওপর মহলের’আশীর্বাদপুষ্ট নেতা এসব চোরাচালান সিন্ডিকেটের হোতা মাদকসহ ভারতীয় নানান জাতের পণ্যের চোরাচালান ঠেকানো যাচ্ছে না চুনারুঘাটে।
পুরনো সেই ব্যবসায়ীরা ভারত থেকে বিভিন্ন জাতের মাদক দ্রব্য,চোরাই চা পাতা,চিনিসহ বিভিন্ন পণ্য বাংলাদেশে প্রবেশ করছে।প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকে ভোর পর্যন্ত উপজেলার চিমটি বিল,বাল্লা,গুইবিল, গুটিবাড়ি,দুধপাতিল, মানিকবান্ডার, টেকেরঘাটসহ সীমান্ত পথে এসব পণ্য দেশে প্রবেশ করছে।
বিশেষ করে দূর্গাপূজা উপলক্ষে চোরাকারবারিরা মাদক নিয়ে আসছে বেশি।ওইসব মাদক গড ফাদারদের সহযোগীতায় এনে নানা কায়দায় তা পাচার করে চলেছে দেশের বিভিন্ন স্থানে।আইন-শৃংখলা বাহিনীর লোকজন সীমান্ত চোরাকারবারদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে- দাবী করলেও বাস্তবতার সাথে এর কোন মিল নেই।
চোরাচালান চলছে ফ্রি স্টাইলে আগের মতই।স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধি নাম প্রকাশ না করে বলেছেন, চুনারুঘাটের বাল্লা থেকে সাতছড়ি পর্যন্ত সীমান্ত চা বাগান এবং পাহাড়ি অঞ্চল হওয়ার কারণেই পাচারকাজ সহজ হয়ে যায়।
উপজেলার সীমান্তবর্তী ইউনিয়ন আহম্মদাবাদ, গাজীপুর,দেওরগাছ,পাইকপাড়া ইউনিয়নের কতিপয় ওপর মহলের’আশীর্বাদপুষ্ট নেতা এসব চোরাচালান সিন্ডিকেটের হোতা। দেউরগাছ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুহিতুর রহমান রুমন ফরাজী জানান,মাদক ও চোরাচালানে ধংসের দ্বারপ্রান্তে চুনারুঘাট।চোরাকারবারিদের দমানো যাচ্ছে না। সম্প্রতি পুলিশ সুপার এসএম মুরাদ আলি এসবের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেন।এরই প্রেক্ষিতে গত রবিবার ভোরে ডিবির ওসি নুরুল হক মামুনের নেতৃত্বে এসআই সোহেল রানাসহ একদল পুলিশ উপজেলার চিমটি বিল এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৮টি ভারতীয় গরুসহ পাচারকারীদের আটক করেন। এ সময় চোরাই কাজে ব্যবহৃত একটি গাড়ি ও মোটর সাইকেলও জব্দ করা হয়। আটককৃতরা হলো- আহম্মদাবাদ ইউনিয়নের চিমটি বিল খাস গ্রামের মৃত নুরুল হকের পুত্র আব্দুল কাদের (২৫) ও সুন্দরপুর এলাকার আব্দুন নুরের পুত্র আব্দুল হাদি (৪৫)। অভিযানকালে তাদের অন্যান্য সহযোগিরা কৌশলে পালিয়ে যায়।
এছাড়াও আম্বিয়া খাতুন নামে এক নারীকে গত রবিবার ভোর সাড়ে ৪ টায় ২০০ পিস ইয়াবা ও ৪কেজি গাজাসহ আটক করে ডিবি পুলিশ।
পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা তাদের অপরাধের কথা স্বীকার করেছে। ডিবির ওসি নুরুল হক মামুন জানান, ওই চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে ভারত সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে এসব পণ্য পাচার করে আসছে।বিষয়টি স্থানীয়দের নজরে আসলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ভারতীয় ৮টি গরুসহ ২ ভারতীয় পাচারকারীকে আটক করা হয়েছে।
তাছাড়া চোরাই কাজে ব্যবহৃত একটি গাড়ি ও মোটর সাইকেল জব্দ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে বিজিবি শ্রীমঙ্গল সেক্টর কমান্ডার কর্নেল ইয়াছিন চৌধুরী জানান,সীমান্তে বিজিবি সতর্ক অবস্থানে রয়েছে এবং চোরাচালান রোধে টহল জোরদার করা হয়েছে। সব ধরনের চোরাচালান বন্ধে সীমান্তে নিয়মিত টহলও পরিচালনা করা হচ্ছে। বিজিবি নিয়মিত বিভিন্ন মাদকদ্রব্য সহ মালামালও জব্দ করে আসছে।