সিলেটপোস্ট ডেস্ক::পাসপোর্ট, বিয়ে নিবন্ধন, মৃত্যু সনদ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি, জমি রেজিস্ট্রেশনসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজে জন্মসনদের প্রয়োজন হয়। এসব কাজে অনলাইনে নতুন করে জন্মসনদ নিতে সিলেট নগরীর অনেকেই ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন প্রতিদিন।
একাধিক ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জন্মসনদ পেতে জুড়ে দেওয়া হয়েছে একাধিক শর্ত। আর এসব শর্ত পূরণে তাদের হাঁসফাঁস অবস্থা
সিলেট সিটি কর্পোরেশনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বছরের প্রথমদিকে স্কুলে ভর্তির জন্য সন্তানদের জন্ম নিবন্ধন করাতে গিয়ে ঝামেলায় পড়েন অনেক বাবা-মা ও অভিভাবকরা।
আগে মা-বাবার জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর দিয়েই জন্ম নিবন্ধন করা যেত। কিন্তু নতুন নিয়মে আগে মা-বাবার জন্ম নিবন্ধন করাতে হয়, এরপর পাওয়া যায় সন্তানদের জন্মসনদ। এসব কারণে সন্তানদের জন্ম নিবন্ধন করাতে গিয়ে বিপাকে পড়ছেন অভিভাবকরা।
এছাড়া জন্ম নিবন্ধন করেননি, এমন মা-বাবার মৃত্যু হলে, তাদের সন্তানরাও জন্মসনদ নিতে পারছেন না।
নগরীর সপ্তম শ্রেনীর এক ছাত্রী নাম বলতে অনিচ্ছুক তিনি রলেন, আমার মা মারা গেছেন। মায়ের জন্মসনদ ছিল না বলে আমার নিবন্ধন হচ্ছে না, জন্মসনদও নিতে পারছি না।
নগরীর বালুচরের বাসিন্দা শেখ মোঃ লুৎফুর রহমান বলেন, আমার মেয়ে ও ছেলের জন্য জন্ম নিবন্ধন করাতে গিয়েছিলাম নয় মাস আগে। সেখানে গিয়ে জানতে পারি স্বামী-স্ত্রী দুজনেরও জন্ম নিবন্ধন করাতে হবে।এরপর আমরা স্বামী-স্ত্রীর দু-জনের জন্ম নিবন্ধন করাালাম।কিন্তু আমার জন্ম নিবন্ধনের ঠিকানায় ভুল দিয়েছে।এখন আবার সংশোধন করতে হচ্ছে। একই রকম আমার ছোট ছেলের জন্ম নিবন্ধনে ভুল করেছে গত ৬ মাস আগ থেকে আসা যাওয়া করতে করতে পায়ের জুতো ছিরে গেছে তবুও মিলছেনা নিজের ও ছেলের জন্ম নিবন্ধন।জন্ম নিবন্ধনের এই প্রক্রিয়ায় অনেক বেশি ভোগান্তিতে ভুগছি আমি ও নগরীর হাজার হাজার মানুষ।
জানা গেছে, গত মাসের (২৭ আগস্ট) থেকে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন রেজিস্ট্রার জেনারেল (অতিরিক্ত সচিব) মোঃ রাশেদুল হাসান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে দৈনিক ৩০টি জন্ম নিবন্ধন করা হবে বলে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের জন্ম নিবন্ধন বিভাগের দায়িত্বে থাকা সিসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম বলেন, আমাদের এখানে প্রতিদিন আড়াই থেকে ৩০০ আবেদন জমা হয়। এর মধ্যে আমরা আগে দৈনিক কমপক্ষে ১৫০ থেকে ২০০টি আবেদন যাছাই ও রেজিস্ট্রেশন করতে পেরেছি। এতে জনভোগান্তি কিছুটা কমেছিল। এবার নতুন নিয়ম নিয়ে আমরা যেমন বিপাকে পড়েছি। তেমনী সেবা নিতে আসা নাগরিকবৃন্দও ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। সিলেট সিটি কর্পোরেশনের পুরনো ৩৬ জন ওয়ার্ড কাউন্সিলার রয়েছেন। প্রতিটি ওয়ার্ড থেকেই কাউন্সিলারগণ আবেদন পাঠান। ওয়ার্ড প্রতি ৫টি করে আবেদন আসলেও ১৮০টি আবেদন জমা হচ্ছে। এরমধ্যে মাত্র ৩০টি আবেদন রেজিস্ট্রেশন করতে গিয়ে আমরা নিজেরাই সমস্যায় পড়েছি।