উজ্জ্বল দাশ,ওসমানীনগর(সিলেট)::সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের ওসমানীনগর অংশে মারাত্মক ভাঙ্গণে জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে।
বিশেষ করে উপজেলার গোয়ালাবাজার, দয়ামীর, কুরুয়া, সাদিপুর এলাকায় পিচ উঠে গিয়ে মহাসড়ক পরিণত হয়েছে গ্রামীণ সড়কে। মাঝে মাঝে ইট, পাথর ও মাটি মিশ্রিত বালু আর পুরোনো পিচের টুকরো দিয়ে নামকাওয়াস্তে মেরামত করা হলেও কয়েকদিনের মধ্যেই সড়ক ফিরে পুরোনো রূপে। এমন অপরিকল্পিত সংস্কারকে লোকজন সরকারি টাকার অপচয় হিসাবেই ভাবছেন।
জানা যায়, ২০০৫ সালে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক নতুন করে নির্মাণের পর এই সড়কে আর বড় ধরণের মেরামত হয়নি। গত ১৫ বছরে ওসমানীনগর অংশে সংস্কারের বড় কোনো উদ্যোগ না নিয়ে মেরামতের নামে শুধু ছোট-বড় গর্তের উপর নিম্নমানের ইট, পাথর, বালু ফেলা হয়েছে। এবারের বর্ষায় মহাসড়কটির অবস্থা খুবই করুণ। চলতি মাসেও একাধিকবার সওজ’র গাড়িতে করে মহাসড়কে গর্ত ভরাট ও উঠে যাওয়া কার্পেটিংয়ে তালি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু মহাসড়কের এই অপরিকল্পিত সংস্কার জনভোগান্তি বাড়িয়ে তুলেছে কয়েকগুণ। বৃষ্টি হলে গর্তে জমা কাদা- পানি ছিটকে বিব্রত হতে হয় পথচারীদের। অন্যদিকে রোদের দিনে ধুলোময় হয়ে ওঠে চারপাশ।
গত ৩ মাসে ওসমানীনগরে ১৩ টি দুর্ঘটনায় মারা গেছেন ৯ জন। আহত হয়েছেন ২০ জনেরও বেশি। বিভিন্ন প্রকার নির্মাণসামগ্রী রেখে দখলে রাখা হয়েছে মহাসড়কের দুইপাশ। এদিকে রাস্তার মধ্যভাগে ছোট-বড় গর্ত থাকায় যানগুলো একটু পাশ ঘেঁষে গেলেই ঘটছে দুর্ঘটনা।
এদিকে ঢাকা-সিলেট ২১৪ দশমিক ৪৪ কিলোমিটার মহাসড়ককে চারলেনে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত গৃহিত হওয়ার পর চোখে পড়ার মতো কোনো সংস্কারই হচ্ছে না মহাসড়কে। স্থানে স্থানে কার্পেটিং উঠে উঁচু-নিচু সড়কে আতঙ্ক নিয়ে চলছে যানবাহন।
ওসমানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নীলিমা রায়হানা বলেন, ‘সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে মহাসড়কের ভাঙ্গন নিয়ে আলাপ হয়েছে। তিনি বিষয়টি দেখছেন।’
সিলেট সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে খানাখন্দগুলো সাময়িকভাবে ইট দিয়ে মেরামত করা হচ্ছে। বাজারে মহাসড়কের দু’পাশের ড্রেনেজ সিস্টেম ভাল নয়। তাই কাজ করার পরেও নষ্ট হয়ে যায়। ড্রেনেজ ব্যবস্থা নিয়ে পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।