নিজস্ব প্রতিবেদক : ‘জন্মের দেড় শতাধিক বছর পেরিয়ে গেলেও বাঙালির নিত্যদিনের জীবনযাত্রা ও সংস্কৃতিতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবস্থান আজও দীপ্যপান। বাংলা ও বাঙালির মন ও মননের প্রতিচ্ছবি রবীন্দ্রনাথ।’
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার সকালে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের মুক্তমঞ্চে শ্রুতি সিলেট সূর্যোদয়ের সাথে সাথে শুরু করে রবি বন্দনা। মঙ্গলপ্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে মাঙলিক উদ্বোধন করেন কবি তুষার কর।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন শ্রুতি সিলেটের সদস্য সচিব সুকান্ত গুপ্ত। এ সময় পরিবেশিত হয় সম্মেলক সংগীত, নৃত্য, আবৃত্তি ছিল একক পরিবেশনা। সম্মেলক সংগীত, আবৃত্তি ও নৃত্য পরিবেশন করে আয়োজক সংগঠন শ্রুতি সিলেট, জাতীয় রবীন্দ্র সংগীত সম্মিলন পরিষদ, ছন্দনৃত্যালয়, দ্বীপশিখা সিলেট, সারেগামা প্রমুখ।
একক পরিবেশন করেন রানা কুমার সিনহা, প্রতীক এন্দ, মোকাদ্দেস বাবুল, অনিমেষ বিজয় চৌধুরী, প্রণতি ভট্টাচার্য্য, নন্দিতা দত্ত, কুমকুম ভৌমিক প্রমুখ।
অত্রি ভট্টাচার্য্য ও তৃণা চৌধুরীর পরিচালনায় আলোচনা পর্বে বক্তব্য রাখেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মোহাম্মদ আরশ আলী, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম সেলিম, সুধাময় সিংহ মজুমদার, শামসুল বাসিত শেরো, সুমন্ত গুপ্ত প্রমুখ। আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন,, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একক প্রচেষ্টায় তিনি বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে আধুনিক করে তুলেছেন। জীবনের শেষ পর্যায়ে চিত্রকলা চর্চায় মননিবেশ করে সেখানে ও অনন্যতার স্বাক্ষর রেখেছেন। রবীন্দ্রনাথ যেখানে হাত দিয়েছেন সেখানে সফল হয়েছেন। সমুখের নীল আকাশ যেমন বিশাল রবীন্দ্রনাথ ও তেমন বিশাল। তাকে হৃদয় দিয়ে অনুভব করতে হয়। রবীন্দ্রনাথের রচনায় কেন্দ্রীয় বিষয় হিসেবে উঠে এসেছে মানব ,প্রকৃতি এবং দেশপ্রেম। বাঙালি তার যাপিত জীবনের অনুভুতি গুলো খুজে পায় রবীন্দ্রনাথে। জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষনা করা হয়।