সিলেটপোস্ট রিপোর্ট: নিজ সংগঠনের উপ-সম্পাদকের হাতে লাঞ্ছিত হলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শরীফুল ইসলাম। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসের সামনে গতকাল দুপুর দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল দুপুরে জবি শাখা ছাত্রলীগের উপ-প্রচার সম্পাদক আনিছুর রহমান শিশিরকে প্রক্টর অফিসের সামনে ডাকেন জবি ছাত্রলীগ সভাপতি শরীফুল ইসলাম। তিনি জবি শাখার ছাত্রলীগের উপ-সম্পাদক কামরুল ইসলাম মাসুমের বরাত দিয়ে শিশিরকে বলেন, ‘তুমি নাকি বলেছ আমার বোনকে সিরাজের (শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক) কাছে বিয়ে দিব।’
এ সময় শিশির অভিযোগ অস্বীকার করলে শরীফ ঘটনাস্থলেই থাকা মাসুমকে ঘটনা জিজ্ঞেস করলে মাসুমও তা অস্বীকার করেন।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শরীফ মাসুমকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিয়ে শিশিরের কালার চেপে ধরার চেষ্টা করেন। পরে তাত্ক্ষণিকভাবে শিশির পাল্টা শরীফের কলার চেপে ধরে তাকে ধাক্কা মারেন। এ সময় শরীফ মেঝেতে পড়ে গেলে শিশির তাকে গালাগাল করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। শিশিরের গালাগাল শুনে ছাত্রলীগের ক্ষিপ্ত নেতা-কর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিলে শরীফ ভবনের ভেতরেই আশ্রয় নেন। ঘণ্টাখানেক পর সিরাজুল ইসলাম প্রশাসনিক ভবনে প্রবেশ করলে শরীফ তার সঙ্গে বেরিয়ে ক্যাম্পাস ত্যাগ করেন।
এ বিষয়ে আনিছুর রহমান শিশির বলেন, মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে আমাকে অপদস্থ করার চেষ্টা করেছিল। আমি এর প্রতিবাদ করে তাকে ধাক্কা দিলে সে পড়ে যায়। যোগাযোগ করা হলে বিষয়টি অস্বীকার করে জবি ছাত্রলীগ সভাপতি শরীফুল ইসলাম বলেন, এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। এ বিষয়ে একাধিকবার ফোন করা হলেও তা রিসিভ করেননি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর নূর মোহাম্মদ।
এর আগে ২০১৪ সালের ৩১ জানুয়ারি ভর্তি বাণিজ্যের আর্থিক লেনদেনের ঘটনায় শরীফকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনেই চড় মেরেছিলেন শাখা ছাত্রলীগের উপ-পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম নাভিদ।
এ ঘটনায় শরীফুল ইসলাম ওই ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করলে একই বছরের ২৬ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটি তাদের ৩৪তম সভায় সাইফুলকে এক হাজার টাকা জরিমানা করে।
পরে ৫ জুন তা সিন্ডিকেট সভায় অনুমোদিত হলে এক হাজার টাকা জরিমানা প্রদান করে চড়ের মূল্য পরিশোধ করেন ওই ছাত্রলীগ নেতা।