শাবি প্রতিনিধি: শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগের উদ্যোগে রবীন্দ্রসংগীতের ওপর সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মিনি অডিটরিয়ামে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।‘রবীন্দ্রসংগীত: বাংলা সংস্কৃতির বিশ্বায়ন’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারতের কলকাতা থেকে আগত ড. সুষ্মিতা ভট্টাচার্য।
পোগ্রামের শুরুতে অতিথিকে ফুল দিয়ে বরন করে নেন বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শিরিন আক্তার সরকার।পরে তাঁর সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আশরাফুল করিম।
ড. আশরাফুল করিম তাঁর বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশ ও রবীন্দ্রনাথ নাম দুটি একাকার। সাহিত্যেও সকল অঙ্গনে রয়েছে রবীন্দ্রনাথের সমান দখল। রবীন্দ্রনাথকে রাষ্টবিজ্ঞানিও বলা হয়। কৃষক ও খেটে খাওয়া মানুষের উন্নয়নে তিনি বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার প্রবর্তন করেন।তাছাড়া তাকে ক্ষুদ্র ঝনের প্রবক্তা ও কুটির শিল্পের প্রতিষ্টাতাও বলা হয়। এককথায় রবীন্দ্রনাথ কি ছিলেন তা বলার চেয়ে কি ছিলেন না তা বলা সহজ। রবীন্দ্রনাথ বেঁচে আছেন, তিনি বেঁচে থাকবেন।
বাংলা বিভাগের প্রধান ড.শরদিন্দুঁ ভট্টাচাযের সভাপতিত্বে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে সুষ্মিতা ভট্টাচার্য বলেন, রবীন্দ্র রচনাবলীর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় রচনা হচ্ছে রবীন্দ্রসংগীত। বাঙ্গালী সংস্কৃতির সাথে রবীন্দ্রসংগীত ্ওদপ্রোতভাবে জড়িত। দুই বাংলা ছাড়াও রবীন্দ্রসংগীত আজ সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। আমাদেও বিশ্বপরিচিতিতে ও গ্লোবাল আইডেন্টিফিকেশনেও রবীন্দ্রনাথ ঢুকে পড়েছেন। বর্তমানে মধ্যবিত্ত শ্রেনীর লোকেরা পেশাদারিত্ব হিসেবে রবীন্দ্রসংগীতকে বেছে নিয়েছে। এমনকি সংস্কৃতির সবচেয়ে মাল্টিপুল অঙ্গন হচ্ছে রবীন্দ্রসংগীত।
ড. সুষ্মিতা সেন তাঁর বক্তব্যে আরও বলেন, সম্প্রতি আমার রিসার্চে দেখা গেছে নতুন প্রজন্মের প্রায় ৮০ শতাংশ ফিউসন রবীন্দ্রসংগেিতর প্রতি আকৃষ্ট। আর ৭ শতাংশ রয়েছে যাদেও কোন আগ্রহ নেই। রবীন্দ্রসংগীত বঙ্গ সম্মেলনের মাধ্যমে আজ ইউরোপ, আমেরিকাসহ সারা বিশ্বে প্রসার লাভ করেছে।
বক্তব্য শেষে প্রশ্নোত্তর পর্বে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন ড. সুষ্মিতা ভট্টাচার্য।
সবশেষে অতিথিকে ক্র্যস্ট দিয়ে সম্মানিত করেন বাংলা বিভাগের প্রধান ড. শরদিন্দুঁ ভট্টাচার্য।