সিলেট পোষ্ট ডেস্ক : এবার ব্যতিক্রমী একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলো বাংলাদেশ সরকার। ট্র্যাফিক পুলিশের কর্মকর্তা হিসেবে হিজড়াদের নিয়োগ করা হচ্ছে। তাদের পুনর্বাসন ও কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে একটি নতুন প্রয়াস হিসেবে আগামী অর্থবছর থেকে তাদেরকে গুরুত্বপূর্ণ এ পদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ১৯মে মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়ের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী সংক্রান্ত্র মন্ত্রিসভা কমিটির এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
ওই সম্মেলনে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল আব্দুল মুহিত। সভায় উপস্থিত অন্যরা হলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলী, এবং নারী প্রতিমন্ত্রী ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি। সভায় বলা হয়, শুধুমাত্র লিঙ্গ পরিচয়েই নয়, নিয়োগ প্রদানের ক্ষেত্রে হিজড়াদের শিক্ষাগত যোগ্যতাকেও আমলে নেওয়া হবে।
নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিশদ বিবরণ পরবর্তীতে সরকার কর্তৃক আরো বিশ্লেষণের পর সংশোধন করা হবে। হিজড়া, যারা না পুরুষ, না মহিলা; এরা ২০১৩ সাল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশে একটি পৃথক লিঙ্গ হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এরপর থেকে তারা এবং শিক্ষা এবং অন্যান্য অধিকারের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পেতে শুরু করেছে। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক ২০১৩ সালে সংগঠিত একটি জরিপ অনুযায়ী দেশে ১০,০০০ হিজড়া বসবাস করছে।
হিজড়া কমিউনিটি বহুদিনের অভিযোগ যে তারা সব মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত এবং সমাজের দ্বারা একঘরে হয়ে আছেন। সরকারের এই সিদ্ধান্ত নিঃসন্দেহে একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত এবং এর মাধ্যমে শুধু পৃথক লিঙ্গ হিসাবে তাদেরকে নামেমাত্র স্বীকৃতি দেওয়াই নয়; বরং কর্মসংস্থানের ব্যাবস্থা করে সমাজে তাদেরকে মাথা উচু করে বেঁচে থাকার সুযোগও দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন বৈঠকে উপস্থিত বক্তারা।