সিলেট পোষ্ট রিপোর্ট : প্রচন্ড গরমে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে জনজীবন। ফলে সিলেট নগরীর বিভিন্ন ব্যস্ততম এলাকায় ও ফুটপাতে পানীয় দোকানগুরোতে বিক্রি কয়েকগুন বৃদ্ধি পেয়েছে। বেড়েছে তরমুজ, ডাব, লেবুর শরবতের কদরও। বুধবার সিলেট নগরীর বন্দরবাজার, শিবগঞ্জ, টিলাগড়,মিরাবাজার, আম্বরখানা,জিন্দাবাজার, তালতলা,লামাবাজার, পাঠানটুলা,কমদতলীসহ নগরীর বিভিন্ন অলি-গলিতে ঠান্ডা পানির সাথে লেবুর শরবত বিক্রির ধুম পড়ে যায়। তরমুজ ও ডাবের দোকানগুলোতেও দেখা গেছে ক্রেতাদের ভিড়। সরেজমিনে দেখা যায়, শহরের বিভিন্ন বাজার,ফলের দোকান এবং ফুটপাতে স্তুপ করে বিক্রি হচ্ছে তরমুজ।দোকনগুরোতে ক্রেতাদের ভিড় লক্ষনীয়ভাবে দেখা গেছে। তবে ক্রেতারা জানিয়েছেন অন্যান্য দিনের তুলনায় তরমুজের দাম বেশি। তবে বিক্রেতাদের দাবি তরমুজের মৌসুম শেষের দিকে। এছাড়া দুইদিন ধরে প্রচন্ড গরম পড়ায় চাহিদাও বেড়ে গেছে। তাই পাইকারী আড়তেও তরমুজের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় তারা বাধ্য হয়ে দাম
বাড়াতে হচ্ছে। আব্দুল লতিফ নামের একজন রিক্সা চালক বলেন, এই খাড়া রোদে রিক্সা চালিয়ে ক্লান্ত হয়ে যাই। শরীরটা জুড়ানোর জন্য তরমুজ খেতে মন চাইলেও বেশি দামের কারনে
কেনার সামর্থ থাকে না। তাই কয়েকজন মিলে টাকা উঠিয়ে তরমুজ খাচ্ছি। ইসলামপুর মেজরটিলা এলাকায় ডাব ও তরমুজ বিক্রেতা আব্দুল মতিন। তিনি বলেন, প্রচন্ড তাপদাহের কারনে সারা দেশে বেড়েছে তরমুজের চাহিদা। তাই তরমুজ চাষীরা দাম বৃদ্ধি করে দিয়েছে। তাই বেশি দাম দিয়ে তসমুজ ক্রয় করে আসতে হয়। এ জন্য বেশি দামেও বিক্রিও করি। এদিকে,
দিনভর কাঠ ফাঁটা রোদ ও অসহনীয় গরমে নগরীর প্রতিটি দোকানে নানা মূল্যের অভিজাত শ্রেণীর বাহারী আইসক্রীমসহ ঠান্ডা পানীয় বিক্রি ধুম পড়ছে। একটু খানি স্বস্তি পেতে যে যার
সাধ্যমত মূল্য দিয়ে ঠান্ডা পানীয় পান করছে। প্রচন্ড দাবদাহে নগরীর হোটেল-রেষ্টুরেন্টসহ ফাস্টফুড দোকান সমূহের বেচা-বিক্রি অন্যান্য দিনের চেয়ে কয়েক গুণ বেড়ে গেছে।