সিলেট পোস্ট রিপোর্টঃ অনন্য মামুন ও জাজ মাল্টিমিডিয়ার চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ কেন আমাদের চলচ্চিত্রের জন্য হুমকী হবে না
একটা প্রবাদ আছে সৎ সঙ্গে সর্গ বাস অসৎ সঙ্গে সর্বনাস । কথাটা যখন গুটি কয়েক মানুষের মধ্যে থাকে তখন সেটা হয় আদর্শের কথা কিন্তু একই কথা যখন দেশের বিপক্ষে যায় সেটা হয়ে যায় আতংকের । উপরের ফটোর ব্যাক্তি যার নাম অনন্য মামুন তিনি প্রথম কাজ করেন অনন্ত জলিলের মোষ্ট ওয়েলকাম সিনেমায় এই সিনেমার কাজই তাকে আলোচনায় নিয়ে আসে ।এরপর জলিল সাহেব কোন অজ্ঞাত কারনে উনাকে আর তার পরের সিনেমায় কাজ দেননি কেন আমি জানিনা । তিনি পরে সেই ইমেজ ব্যাবহার করে অতিরিক্ত টাকা কামানোর ধান্দায় পশ্চিমবাংলার এসকে প্রোডাকশনের সাথে হাত মিলান যেটার মালিক কলকাতার অশোক পতি। তার প্রতিষ্টান অ্যাকশন-কাট এন্টারটেইনমেন্ট ও পশ্চিমবাংলার এসকে প্রোডাকশন মিলে চিন্তা করে কিভাবে এদেশে যৌধ প্রযোজনার সিনেমা বানাবে । অশোক পতির লক্ষ হলো যেহুতু তাদের সিনেমা পশ্চিমবাংলায় ভাল ব্যাবসা করতে পারছেনা সেক্ষেত্রে যদি এভাবে মুক্তি দেওয়া যায় তাহলে তারা লাভবান হবে । এগুলো করতে সফল হওয়ার জন্য অনন্য মামুন ২০১৪ সালের মে সাসে নকল শিক্ষা সনদ ব্যবহার করে ধরা খান । তারপর কোন নিয়মনীতি না মেনে যৌথ প্রযোজনার চলচ্চিত্রে কাজ করার অভিযোগে চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি থেকে তাকে বহিস্কৃত করে । তিনি নির্মান করেন ‘আমি শুধু চেয়েছি তোমায়’ নামের একটি সিনেমা যা তেলেগু একটি সিনেমার হুবুহু নকল । যথাক্রমে সেন্সরবোর্ড ও আদালত সেটার মুক্তির জন্য বিভিন্ন কারনে নিশেধাজ্ঞা জারি করেন । উনি উচ্চ আদালত থেকে পে অর্ডার এনে সে সিনেমা মুক্তি দেন কোন এক অদৃশ্য হাতের ছোঁয়ায় । তারপর খুব বেশিদিন যদিও চলেনি তবুও এদেশে সিনেমাটা ভাল ব্যাবসা করে কারন বাঙ্গালী আবার নিষিদ্ধ জিনিস বেশি খায় । মুলত এরপর থেকে দাদাবাবুদের চোঁখ খুলে যায় তারা খুঁজতে থাকে কার কাধে ভর করে এদেশের বাজার দখল নিবে । তখন পেয়ে গেল বর্তমানের আরেক অতি মুনাফালোভী জাজ মাল্টিমিডিয়াকে । জাজ যাদের প্রথম যাত্রা শুরু বিতর্ক দিয়ে এখনো তাদের কোম্পানির মূল মালিককে সেটা নিয়েও সমাধান আসেনি । এরা প্রথমে এসে এই করবে ঐ করবে ঘোষনা দিয়ে শুরু করে কিছু হল ডিজিটাল করে হলগুলোকে জিম্মি করে । তাদের প্রথম দিকের ভালো কিছু কাজ আছে সেটা শ্বীকারও করছি । তাদের নিয়ে যখন আমরা সাধারন সিনেমাপ্রেমীরা যখন স্বপ্ন দেখছি সেই তারাই সেই ধারা থেকে সরে এসে এখন নিজেদের লাভ ছাড়া আর কিছুই বুঝতেছে না । এরাও অনন্য মামুনের দেখানো পথে হেটে রোমিও ভার্সেস জুলিয়েট নামের বিতর্কিত সিনেমা উপহার দিয়েছে । সেই সিনেমা আবার দুই দেশে দুই নামে মুক্তি পায় এটা কেমন যৌধ প্রযোজনা আমি সেটাই বুঝিনা এর আগে কখনো দেখেনি তো তাই । এরা এখন যৌধ প্রযোজনা ছাড়া সিনেমা নির্মান করবে না বলে ইতিমধ্যে ঘোষনাও দিয়েছে । যৌধ প্রযোজনা যেটাকে বলে সেটাতে ৫০/৫০ হিসাবে আর্টিষ্ট থাকার কথা এদের কেউই তা করেনি সেটা যা করেছে সেটা হলো নিজেদের ব্যাবসায়িক স্বার্থে যৌধ প্রতারনা করেছে সরাসরি । এখন আলোচনা হলো ঐ সিনেমা থেকে আমাদের দেশ কি পেয়েছে । এমনিতেই আমরা বর্তমানে কলকাতার সিনেমার সাথে পেরে উঠছি না যেখানে অনেক ভাল ভাল সিনেমাই মার খাচ্ছে সেখানে এ ধরনের যৌধ প্রযোজনা দেশি চলচ্চিত্রের জন্য মারাত্তক ক্ষতির কারন । উনাদের ভাষায় এতে নাকি প্রতিযোগিতা বাড়বে বাস্তবে হয় উল্টো । আমি নিজেই দেখেছি ‘আমি শুধু চেয়েছি তোমায়’ গানের রিংটোন হিসাবে অনেককে মোবাইলে রাখতে । আরও ভাবনার বিষয় হলো জাজ নায়িকা ছাড়া কোন নায়ককে হাইলাইটস করছে না । এরা যে নকল কাহিনীর সিনেমা বানাচ্ছে সেখানে নায়িকাদের ভূমিকা নেই বললেই চলে এক্ষেত্রেও ওরাই লাভবান হচ্ছে । আতংকের আর একটা কথা হলো একটু খেয়াল করে দেখুন এখন অনেকেই এ ধরনের নির্মানের দিকে ঝুকে পড়ছে যা বাংলাদেশি সিনেমার ভবিসৎ এর জন্য হুমকি হয়ে দাড়াবে । হ্যা অবস্যই আমরা লাভবান হতাম যদি যৌধ প্রযোজনা সমানে সমান করা যেত । জাজ মাল্টিমিডিয়া এরা অনেকটা সেই ব্রিটিসদের মত প্রথমে বাঙ্গালীকে ফ্রি চাঁ খাইয়ে পরে বাঁশ দিছে । এদের তথাকথিত যৌধ প্রযোজনায় আমরা কতটা লাভবান হবো সেটা সময়ই বলে দিবে । আমি বর্তমান জাজ মাল্টিমিডিয়ার কার্যক্রমকে আমাদের চলচ্চিত্র শিল্পের জন্য হুমকি মনে করি! আপনাদের কি মনে হয় তার জন্য মূল্যবান মতামত আশা করছি ।