শেখ মোঃ লুৎফুর রহমান : ৫ বৎসর বয়সে হয়েছিল টাইফয়েড জ্বর মোঃ ফারুক মিয়ার(৬০)।এরপর প্যারালাইসিস রোগে তার শরীরের পেশীর কার্যক্ষমতার বাম পাশ নষ্ট হয়ে যায়।তারপরও থেমে থাকেনি তার পরিবার চেষ্টা করেছেন ভালো করার,অনেক ডাক্তার দেখিয়ে চিকিৎসা করিয়ে কোন লাভ হয়নি। একসময় সে নিজে রোজগারের জন্য যুদ্ধে নামেন। পায়ের রিকশা চালানো শুরু করেন। শুরু হয় তার নতুন জীবন বিয়ের আসরে বসেন।আস্তে আস্তে বড় হয় মোঃ ফারুক মিয়ার সংসার।বর্তমানে তার ৪ মেয়ে ও এক ছেলে স্ত্রীসহ ৭জনের সংসার। গত ৪ বৎসর আগে থেকে মোঃ ফারুক মিয়ার পুরো শরীর এর কার্যক্ষমতার নষ্ট হয়ে যায়।এখন ভিক্ষা করে সংসার চালানো ছাড়া ফারুক মিয়ার আর কোন উপায় নেই।
গৃহ ও ভূমিহীন তিনি। স্ত্রী আর ৫ সন্তান নিয়ে গত ৪ বছর ধরে অসহায় জীবন যাপন করছেন তিনি। অন্যের বাসা বাড়া করে উপযুক্ত মেয়ে ও ছোট ছেলেকে নিয়ে সিলেট নগরের বালুচরে বসবাস করছেন।আবার দুই মেয়ের লেখা পড়া চালিয়ে যেতে হিমশিম খাচ্ছেন তিনি।
মোঃ ফারুক মিয়ার ভিক্ষার টাকায় চলছে জীবন সংসার ।
মোঃ ফারুক মিয়া বলেন, ‘ভিক (ভিক্ষা) করলে প্যাটোত ভাত যায়। শরীল খারাপ হইলে ভিক্ষা করা যায়না । তখন আমার ছেলে মেয়ে নিয়ে না খেয়ে থাকি। হামার খুব কষ্ট হয় তখন।
তিনি আরও বলেন, ভিক্ষা না করলে আমরা খাব কী? বাধ্য হয়ে ভিক্ষা করেই জীবন চালাই। অপমান-বৈষম্য-লাঞ্ছনার তিক্ততার মধ্যেই যাপিত হচ্ছে আমার জীবন।