স্পোর্টস ডেস্ক : বাংলাদেশ সফরের দল নির্বাচনী বৈঠকের আগে সিনিয়রদের সফরে যাওয়া নিয়ে টালবাহানা এখনও অব্যাহত। এক দিকে মহেন্দ্র সিংহ ধোনি, বিরাট কোহলি-সহ সিনিয়র ক্রিকেটাররা সফর থেকে সরে দাঁড়াতে চাইছেন ক্লান্তির কারণে। অন্য দিকে, ভারতীয় বোর্ড আবার বোঝানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে বিরাট কোহলিকে।
সিনিয়র ক্রিকেটাররা বোর্ডকে জানিয়েছেন যে, গত বছর নভেম্বর-ডিসেম্বর থেকে তাদের টানা খেলে যেতে হচ্ছে। প্রথমে অস্ট্রেলিয়া সফর, তার পর বিশ্বকাপ, তার পর আইপিএল। আইপিএলের পরে শুধু বাংলাদেশ সফর নয়, জিম্বাবুয়ে এবং শ্রীলঙ্কা সফরও আছে ভারতের। কোহলিরা চাইছিলেন, প্রথম দু’টো বাদ দিয়ে একেবারে শ্রীলঙ্কা সফর থেকে শুরু করতে। কিন্তু সেই প্রস্তাবে বোর্ড আবার ইচ্ছুক নয়।
শোনা গেল, বেসরকারি ভাবে বোর্ড এটা বলে বিরাটকে রাজি করাতে চাইছে যে ইতিমধ্যেই তিনি একটা টেস্টে দেশকে নেতৃত্ব দিয়ে ফেলেছেন। সেখানে কেন তিনি পরেরটাতেই খেলতে চাইছেন না? গত অস্ট্রেলিয়া সফরে অ্যাডিলেড টেস্টে বিরাট অধিনায়কত্ব করলেও সেটা করেছিলেন স্ট্যান্ডবাই ক্যাপ্টেন হিসেবে।
পরে সফরের তৃতীয় টেস্ট খেলে মহেন্দ্র সিংহ ধোনি টেস্ট থেকে অবসর নিয়ে নেওয়ায় সিডনি টেস্টে বিরাট সরাসরি ভারত অধিনায়কত্বের মুকুট পেয়ে যান। বোর্ড মনে করছে, বিরাটের অধিনায়কত্বে ‘ব্রেক’ থাকা ঠিক হবে না। বিরাটকে চাপ দেওয়া হচ্ছে না। কিন্তু তাকে বলা হয়েছে, ব্যাপারটা ভেবে দেখতে।
বিরাটের সঙ্গে তবু সমঝোতার রাস্তায় হাঁটা যাচ্ছে। বিরাটকে বোঝানো এক প্রকার সম্ভব হলেও মহেন্দ্র সিংহ ধোনি— তার স্টান্স এখনও নড়ানো যায়নি। এবং শেষ পর্যন্ত যদি ধোনি না যান, তা হলে তরুণ টিমকেই দেখা যাবে বাংলাদেশের ওয়ান ডে সিরিজে। আগামী ১৮ জুন থেকে তিনটে ওয়ান ডে বাংলাদেশে খেলবে ভারত। একমাত্র টেস্ট ফাতুল্লায় ১০ জুন থেকে। শ্রীনিবাসন জামানার ভারতীয় ক্রিকেটে নির্বাচন কমিটিকে পুরোদস্তুর নিয়ন্ত্রণ করত ভারতীয় বোর্ড। নতুন জামানার ভারতীয় বোর্ডের প্রথম নির্বাচনী বৈঠক আজ মুম্বাইয়ে কোন নাটক নিয়ে আবির্ভূত হয়, সেটাই দেখার।